এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭

দীপাবলী নিয়ে কিছু কথা

বাংলায় ‘দীপাবলি’, হিন্দিতে ‘দিওয়ালি’-যার সংস্কৃত অর্থ “প্রদীপের সারি”। এই দিন হিন্দুরা ঘরে ঘরে ছোটো মাটির প্রদীপ জ্বালেন। এই প্রদীপ জ্বালানো অমঙ্গল বিতাড়নের প্রতীক। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র মতে, কালী হচ্ছেন অগ্নির সপ্তম জিহ্বা আর অগ্নি হচ্ছেন স্বয়ং ঈশ্বর; যা কালী বা শ্যামা নামে ভক্তদের কাছে উপস্থিত হয়। মাতৃ আরাধনার আরেক রূপ হচ্ছে শ্যামা পূজা। দীপাবলি হচ্ছে এই পূজার অন্যতম আকর্ষণ। এই দিন বাড়িঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সারা রাত প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলে ঘরে লক্ষ্মী আসেন বলে হিন্দুরা বিশ্বাস করেন।


হিন্দু পুরাণ মতে, দেবী কালী- দুর্গারই একটি রূপ। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম্য। কালীদেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুণ্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।


উত্তর ভারতীয় হিন্দুদের মতে দীপাবলির দিনেই শ্রীরামচন্দ্র চৌদ্দ বছরের নির্বাসনের পর অযোধ্যা ফেরেন। নিজের পরমপ্রিয় রাজাকে ফিরে পেয়ে অযোধ্যাবাসীরা ঘিয়ের প্রদীপ জ্বেলে সাজিয়ে তোলেন তাঁদের রাজধানীটাকে। এই দিনটিতে পূর্বভারত বাদে সম্পূর্ণ ভারতবর্ষে লক্ষ্মী-গণেশের পুজোর নিয়ম আছে। জৈন মতে, ৫২৭ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে মহাবীর দীপাবলির দিনেই মোক্ষ বা নির্বাণ লাভ করেছিলেন। ১৬১৯ খ্রিস্টাব্দে শিখদের ষষ্ঠ গুরু হরগোবিন্দ ও ৫২ জন রাজপুত্র দীপাবলির দিন মুক্তি পেয়েছিলেন বলে শিখরাও এই উৎসব পালন করেন। আর্য মাজ এই দিনে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর মৃত্যুদিন পালন করে। তারা এই দিনটি “শারদীয়া নব-শস্যেষ্টি” হিসেবেও পালন করেন।


দীপাবলি ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, মরিশাস, গুয়ানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, সুরিনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিজিতে একটি সরকারি ছুটির দিন।


প্রত্যেক সার্বজনীন আনন্দের উৎসব মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জয়কে উদযাপন করে। আলোকসজ্জার এই দিবস অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলো জ্বালার দিন। নিজের ভেতরের বাহিরের সকল অজ্ঞতা ও তমঃকে দীপ শিখায় বিদূরিত করার দিন। প্রেম-প্রীতি-ভালবাসার চিরন্তন শিখা প্রজ্বলিত করার দিন। দেশ থেকে দেশে, অঞ্চল থেকে অঞ্চলে- এই দিনের মাহাত্ম্য ভিন্ন ভিন্ন; তবু মূল কথা এক। আর আধ্যাত্মিকতার গভীর দর্শনে এই দিন- আত্মাকে প্রজ্বলিত করে পরিশুদ্ধ করে সেই পরমব্রহ্মে লীন হওয়ার দিন।


কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ প্রসঙ্গে বলেছেন-
‘‘ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো
দীপালিকায় জ্বালাও আলো,
জ্বালাও আলো, আপন আলো
সাজাও আলোয় ধরিত্রীরে।’’


তথ্য- উইকিপিডিয়া


বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭

সাম্যবাদ

সাম্যবাদ
        
........শূন্যস্থান অপশনহীন
মস্তিষ্কে চাপানো বিরাট বড়ো পাথর
বিবেকের মৃত লাশের মিছিল
একবিংশ শতাব্দীতে ...মোমবাতি জ্বলছেনা।
সিগারেটের ধোঁয়ায় ধোঁয়াশা পৃথিবীর বুকে
রক্ত নদীতে সন্তান হারা মায়ের দুফোটা অশ্রু বিন্দু।
ধর্ম তুমি আসলে কি বলোতো ?
ব্যাবসা নাকি আত্মিক ?নাকি প্যারা আত্মিকত্বায়
করো বিবাদ ..সারা সংসারময় ?
ফুটপাতে শীতের কাঁপছে শিশু
মোমবাতি বিক্রি করে সেও ,
বাবা নিঁখোজ কবে ?
রাজপথে চলন্ত বাসে ছিঁড়ে খেল নির্ভয়া
রোজ কত কেরসিন তেলে জ্বলছে নতুন বধুর  শরীর
পণের বোঝায় ভেঙ্গে গেছে মেরুদন্ড বধুর পিতার
ধর্ষিত বোনের নেই সমাজে ,আগুন পায় না সে চিতার ।
রাজা আজও উলঙ্গ
সবাই জানে ,প্রশ্ন করার কেউ নেই,
সবার লাগে যে ভয়
ভগবান কুম্ভকর্ণ ।
"তোমায় কেউ ঠকাচ্ছে ,তুমিও ঠকাও যাকে পারো "
এটাই নিময় ..নিময় না মানলে ঠকবে সারাজীবন।
যা তোমার পাপ্য তা না পেলে ছিনিয়ে নাও
নাহলে অন্য কেউ ছিনিয়ে নেবে ।
এই সংসারে কেউ যে কারো নয় ।
সব মস্তিষ্ক বিকৃত ,উল্টো সব পথ
বাঁচতে তোমায় হবেই ,মৃত আজ সাম্যবাদ ।।

সবটুকুই_তো_তোমার_জন্য

সবটুকুই_তো_তোমার_জন্য
      
অসুস্থ শরীরের একি এ কিসের ক্ষত?
একি শরীরের বেয়ে নামছে কেন শুষ্ক নদী ?
আমার কাছে থাকত যদি যন্ত্রনা সব মাপার যন্ত্র  ।
নিকোটিনে মিশে গেছে স্বপ্ন ....।
অন্ধকারে জ্বলছে মৃত প্রেমের শরীর।
নস্টালজিক ..ছেঁড়া মৃত ডাইরি হাতে আজ কবি ।।
শব্দমালাও জানে ..হৃদয় নিংরানো অপ্রকাশিত শব্দের
যন্ত্রনায়..দূর্বা ঘাসের মাথায় জমে শিশির ।
কালো মেঘে হয় একপশলা বৃষ্টি ।
গলির ওই ল্যাম্পপোস্টের আলোয়
সন্ধ্যায় জমে আজো প্রেম ,
উষ্ণ চুম্বনে ,আলিঙ্গনে ,দু-চোখে জমে প্রচুর স্বপ্ন ।।
আজো এই অমবস্যার মাঝ রাতে
যুদ্ধ করি কার সাথে ,ভিজে গেছে পাশবালিশ ।
ভাঙ্গা আয়নায় দেখছি তোমার প্রতিচ্ছবি
বর্তমান অতীতকে  করে ছোট্ট ছোট্ট ভুলের নালিশ।।
ভাঙ্গতে গিয়েও পড়ছি ধরা ,
হারিয়ে যাচ্ছে নিজের সত্বা
প্রেমের ফাঁকা ফ্রেমে হারিয়ে গেছি ।
আকাশে ভুল করে ঢোকা শঙ্খচিল আমি তোমার
হারাচ্ছে একে একে সব
আরো কত কি আছে হারাবার ভাবছি ।
তাই "আকাশ বেয়ে নামছে নদী
আমার কাছে থাকত যদি যন্ত্রনা সব মাপার যন্ত্র ।।"

অন্ধকারের_পর

অন্ধকারের_পর
    
রাতের ছুটি ,সূর্য্য উঠছে
শিশির ভেজা হেমন্তের
দূর্বা ঘাসের মাথায় হিরক  খন্ড
ওরাদের দুবেলা দু মুটো ভাত চাই
শরীর বেয়ে নামছে রক্ত নদী ।
ওদের কাছে থাকত যদি
ঝলসানো ওই রুটি ।
ধ্বংস হচ্ছে বিবেক ,মানবিকতা আজ নেই।
ঝরছে রক্ত, সমাজের ক্ষত রোদে শুকায়নি ।
নর্দমার জলে ছুড়ে ফেলছে বিষাক্ত প্রেম ।
আহত পাখি আর্তনাদে কেউ আসেনি
সমাজে স্থান নেই ধর্ষিতাদের ।
তবুও সূর্য্য উঠছে ,...আলো
অন্ধকার ঠিক সরাবে ।।

লাইট_ফ্যাসটিভ্যাল

লাইট_ফ্যাসটিভ্যাল
    
অমবস্যায় চাঁদ নেই
চাইনিজ লাইটে ঝকমকে গোটা শহর
গ্রামের ঝাঁপসা অন্ধকারে মৃত মোমবাতির
ভিড়ে ..একটা মাটির প্রদীপ উঠবেই জ্বলে ।
বস্তির গলিটা অন্ধকার ।
তোমার আমার মাঝে কাঁটাতার ।
ক্ষুধার্ত শিশু ঝলসানো রুটি যে চায়
শিশিরে হীম শীতল অশ্রু মায়ের
রাজনৈতিক দাঙ্গায় ছেলে নিখোঁজ
স্বপ্ন মিশছে নিকোটিনের ধোঁয়ায় রোজ।।
আর নয়,
রাতেও জ্বলবে হাজার মোমবাতি
বোবাটাও কথা বলবে এবার
নর্তকি ও..এবার মা শ্যামা ,মুন্ডু হাতে
ধর্ম্মের বিভাজিত ধ্বজা পুড়ে যায়।।
বঞ্চিত ওই পরাজিত পথিক ..পথ হারিয়েও
   ফ্যাসটিভ মুডে প্রেমের গান গায়।।

শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭

কোনো না কোনো দিন

#কোনো_একদিন
        @জ্যোতির্ময় রায়
আর কতটা পথ বাকি?
আর কয় পা সামনে এগোলেই
বর্তমানেকে পেরিয়ে কয়েক আলোকবর্ষ
সামনে পৌঁছে যাবো আমি ?
জনসমুদ্রে মিশে যাওয়া সত্বা
খুঁজে আনে মৃত প্রেমের লাশের তদন্ত ।
যন্ত্রনাক্লিষ্ট মুখগুলি শব হবার অপেক্ষায়
শশ্মানের কাঠ গোরায়া দাঁড়িয়ে মুক্ত প্রাণ
গল্প শোনায় ..."চেয়েও না পাওয়ার বা
পেয়েও হারিয়ে ফেলার "
ফ্যালিয়রদের কাহিনী কজন শোনে বলো ?
অথচ সংখ্যায় এরাই বেশী ।
নিজের সত্বা হারিয়ে অন্যের গানে গলা মেলাই।
ইতিহাস তখনই ভূলে যায় এদের কথা ।
আমিও এই দলেরি লোক ।
চলছি ..ঝাপসা অন্ধকারে পথহারা বার
এরই মাঝে ..খুজি আজো তোমায় ।
হয়তো কোনো একদিন ..আবার দেখা হবে ।
কোনো স্টেশনে আধবা বাস স্ট্যান্ডে
অধবা জনস্রোতে ..আমি তখন
ওই ইতিহাসহীন কোনো কবিতায় মিশে যাবো ।।

শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

জাগো মা


  জাগো_মা
  *********
@জ্যোতির্ময় রায়
ওই দূরে ওই যে দূরে শঙ্খবাজে
ভোরের এই আলোতে কার রেডিওতে
যেন মহালয়া বাজে |
মা আসছে ..কে যেন গায় আগমনী
কে যেন জপে জাগরণের মন্ত্রখানি ।
"যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন
সংস্থিতা-নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমঃ নমঃ।"
জাগো মা ..জাগো দশভুজাদুর্দশাদামিনী
গ্রহন করো মা এই দীনের প্রার্থনাখানি ।
বিশ্বজুড়ে আজ শুধু যুদ্ধ ও মারামারি
ধর্ম নিয়ে আজ ধর্মগুরুদের ভণ্ডামি
সন্তানহারা মা যে একলা কেঁদে যায়
যারা নিরীহ তারাই শুধু সাম্রাজ্যবাদীদের
আগ্রাসনিতে প্রাণ যে হারায় ।
উগ্রবাদের দানব নৃত্য যে মা আজ সব খানে
কতো অভিশপ্ত প্রেমের ভ্রুণ ছুঁড়ে ফেলা হয়ে ওই ড্রেনে ।
উচুঁনিচু এই বিবাদ বিভেদ কেন মা আজও জগৎ জুড়ে
ভালোবাসা হারিয়ে কত প্রেমিক আজ ভবঘুরে ।
ধোঁয়াশা আজো কেন বলো মা ওই অন্ধকার ওই গ্রামে,
প্রতিদিনই ওই অন্ধকার গলিতে অসুররা যে
কতো মা বোন কে খায় ছিঁড়ে ।
তাই তো মা ডাকছি তোমায় আজ আমি
ঝাপসা পথে রোজ এক পা এগোই
গাইছি আজ আগমনী ।।
ধ্বংস করো ওই উগ্রবাদের ওই আগ্রাসি
দাও মুছে হিংসাবিবাদ ,দাও মুছে পৃথ্বীর আঁখি
নির্বলেরে দাও শক্তি ,করো সাহসী ।
শান্তি আসুক মা গো এই আর্তভুবনে
প্রতীক্ষায়িত যে আমরা যে মা তোমার জাগরণে ।।
জাগো মা ..জাগো ..সত্যিকরে জাগো
জাগো হে দশভূজা দুর্গতনাশিনী জাগো
করজোড়ে ডাকছে যে সবাই
এই আর্তি একটু শুনো জগজ্জননী মাগো ।।

রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সফর

#সফর
©জ্যোতির্ময় রায়
ভিড় ঠেলে আরো একটু এগিয়ে কিংবা ট্রাফিকের সিগন্যালে
সবুজ সংকেত ।কলম্বাস তুমিও । হারানো মহাদেশীয় সভ্যতায়
হাইরোগাফ্লিক্স।ব্রেকআপ ,মন থাকলেই মন খারাপটা ফিক্স ।।
পর্দা পর পর্দা কিংবা মুখোশ কিছু ।"যা ঝুটে সব
জাস্ট কো-ফ্যাক্টর ,"আমার প্রেমে" নো পলিটিক্যাল ইস্যু ।।
ভগবানও ভয় পায় ভিক্ষে করে মানতও ।এই পথে ধরে
হাঁটো "আমার আমির খোঁজে " ভিতর থেকে কঠিন হবে তুমিও।।

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

~~****গ্রাফিক্যাল****~~

        ~~****গ্রাফিক্যাল****~~

©জ্যোতির্ময় রায়

দূর্বা ঘাসের মাথায় শিশির জমে ,কিছু শাপলাও ফুটে
পদ্ম পুকুরে ।এ পথ এঁকে বেঁকে চলে গেছে সবুজ পেরিয়ে
তোমার দেশের বর্ডারের কাঁটা তার ধরে ।সাজ সাজ রবে
শহর ।আমার দেশে মৃত্যু শোকের মোমবাতি মিছিল ।।

রোজ ভাঙছে ঘর ।অনেক আপন তোমারও হয়েছে পর ।
কাটাকুটি খেলায় এক কদম এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে ।
ক্ষত ।মেঘের আড়ালে আগুনে ঝলসানো চাঁদেও কলঙ্ক ।।
"আগার টুট গায়ে সিসে তো টুটনে দো ,পাহাড় হবেই দিল" ।।

মিথ্যের আসকারাতে জানি "দিল ভি বেকারার" ।
থাক ,অনেক হয়েছে নাটক ।"আমার আমি"
অবহেলার আশ্চার্য প্রদীপ।ভেঙ্গে ফেল খাঁচা এবার ।।

শুধু তোমায়

তোমাকে না বলা চিঠি গুলো ...আজ
     মুখ বাড়িয়ে চায়
হৃদয়ে লুকানো কথা গুলো
   তোমায় কিছু বলতে চায়
সপ্নের মাঝে তুমি আসো
  বলোনা কেন তুমি আমায় এতো  ভালবাসো ?
  তোমর সেই  চোখের চাওয়াতে
আমি যে হারিয়ে গেছি
     ওগো প্রিয়া তোমাতে ......
তুমি  আছো আমার চারিদিকে
    আমি যে ছুঁয়ে গেছি তোমায়
আমি যে মিশে গেছি  তোমাতে ...

আকাশের সেই তারার মাঝে
  তোমাকেই শুধু মন খোঁজে
তোমার সেই মিষ্টি হাসি যেন
   চাঁদের হাসির থেকেও বেশী
হালকা  ভয় হালকা  অনুভূতির
    ছোঁয়া  যায় বয়ে
যখন তুমি যাও  আমার 
    সামনে দিয়ে
বইয়ের ভিতর আছে ভূত
   সবসময় মন  যেন দল ছুট 
শুধু তোমার নেশায় ....
   মন যে শুধু  তোমাকেই চায়
Mathematics এর সমাকলন
   অথবা organic  এর reaction
Physics এর Newton এর  theory
  অথবা electromagnitism
যাই  পড়ি নাহ্ কেন
  তোমাতেই শুধু পরে থাকে
মন শুধুই  সারাক্ষণ
ওগো প্রিয়া
   আমি যে মিশে গেছি তোমাতে
শুধু তোমার একটু লাজুক
       চাওয়াতে...
শুধু তোমার একটু  চাওয়াতে ...

         

আনমনে

©জ্যোতির্ময় রায়

  হালকা বাতাস ,স্বল্প ছোঁয়া
বৃষ্টি ভেজা এই রাস্তায় ¦¦
  মুক্তা হয়ে ঝরে পড়া বৃষ্টির  জল
দূর্বা ঘাসের মাথায়
কাদা মাখা ওই কৃষকটি  আনমনে
গাইছে গান...........
চাতকের কণ্ঠে ডেকে আনা বৃষ্টিতে
দেখো সবাই ভিজিয়ে নিয়েছে প্রাণ
  দু -একটা শাপলাও  ফুটেছে ওই বিলে
সাদা বক মাছ ধরে ,মাছরাঙা ঝুপ করে
  পরে আসে জলে .....
ঘুঘু পাখিটা  দেখ্ ঘুমসুটি মেরে বসে
  আছে বাসায় ...,ফিঙে পাখিটা জলে
কেঁচো খুঁজে খায়
   থম থমে ধান জমি আছে প্রতীক্ষায়
কবে আসবে চাষা ,পাবে প্রাণ তাতে হায়
     আমি শুধু বসে বসে চারিদিকে দেখি
মেঠো রাস্তাটা চলে গেছে এঁকেবেঁকে
দূর থেকে আরো দূরে .......
যেখানে আমার প্রিয়া বসে
আছে আমার ছবি ধরে ...
বৃষ্টির সাথে  খেলছে সে আজও
   রূপকথার  রুপপোরীর মতো তার হাসি
আমার  জীবন নৌকা খানি যাছে
   যে তার  প্রেমের সাগরে ভাসি  ....
বসে আছি আমি তাই  এখনও
  উড়ো চিঠি লিখি তার নামে
জমে আছে মনে  যত কথা জমানো ।।

       

বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

শুধু তোমায়

তোমাকে না বলা চিঠি গুলো ...আজ
     মুখ বাড়িয়ে চায়
হৃদয়ে লুকানো কথা গুলো
   তোমায় কিছু বলতে চায়
সপ্নের মাঝে তুমি আসো
  বলোনা কেন তুমি আমায় এতো  ভালবাসো ?
  তোমর সেই  চোখের চাওয়াতে
আমি যে হারিয়ে গেছি
     ওগো প্রিয়া তোমাতে ......
তুমি  আছো আমার চারিদিকে
    আমি যে ছুঁয়ে গেছি তোমায়
আমি যে মিশে গেছি  তোমাতে ...

আকাশের সেই তারার মাঝে
  তোমাকেই শুধু মন খোঁজে
তোমার সেই মিষ্টি হাসি যেন
   চাঁদের হাসির থেকেও বেশী
হালকা  ভয় হালকা  অনুভূতির
    ছোঁয়া  যায় বয়ে
যখন তুমি যাও  আমার 
    সামনে দিয়ে
বইয়ের ভিতর আছে ভূত
   সবসময় মন  যেন দল ছুট 
শুধু তোমার নেশায় ....
   মন যে শুধু  তোমাকেই চায়
Mathematics এর সমাকলন
   অথবা organic  এর reaction
Physics এর Newton এর  theory
  অথবা electromagnitism
যাই  পড়ি নাহ্ কেন
  তোমাতেই শুধু পরে থাকে
মন শুধুই  সারাক্ষণ
ওগো প্রিয়া
   আমি যে মিশে গেছি তোমাতে
শুধু তোমার একটু লাজুক
       চাওয়াতে...
শুধু তোমার একটু  চাওয়াতে ...

         

মেটাস্টেবেল

মেটেস্টেবেল 

©জ্যোতির্ময় রায়


সল-} জেল ।ফেজ ট্রানজিশন ।উদ্বায়ী চেনা মুখ ।
মেটাফবিজম - অক্সিজেনের চাহিদা।সুখ কিংবা দুঃখ
কালোটাকার বিনিময়ে।দেশ,ধর্মীয় যোদ্ধার পর্ণ ছবিতেও
বিলিয়ন ভিউ । হায়না কিংবা ফেউ হিরো সিনেমার দৌলতেও ।।


নৌকাটা জল কাটতে কাটতে বিপরীতমুখী স্রোতে
বেডরুমে গোলাপী পর্দার আড়ালেও দমচাপা চিৎকার।
পোস্ট অফিস বন্ধ। নিউজ হয়না ওসব খবর।ঘর ভাঙ্গে নিভৃতে।
আতস বাজিতে আকাশে কৃত্রিমতারা ,ঝলসানো রুটি চাঁদ আবারও।।


ক্রস লিঙ্কিং # পিউরিন বেস পেয়ার ভেঙে গিয়ে যৌনতা
চুমুতে তখন ঘামের গন্ধ ভেঁজা ধ্বংস লীলা শুরু ....।।

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

আজ বাস্তবটাই সত্যি

আজ বাস্তবটাই সত্যি 

চারিদিকে অন্ধকার
   জোনাকিরা পথ দেখায়
সেই গল্পের টুনটুনি পাখিকে
   আজ গল্প বাস্তবতায়
এক দিশেহারা ...
পথিক ...আমি !
এক অচিন পথে পাড়ি দিয়ে
  হারিয়ে ফেলেছি পথ
মাঝ দরিয়ায় জাহাজ আমার
পড়েছে তুফানে ...
মেঘের আঘাত
ঝড়ো হাওয়ার দাপট
শুধু ...
     আজ জোনাকি নেই
আজ শুধু হারিয়ে
     যাওয়ার " ভয়ই  "
পথ পদর্শক এক মাত্র
       আমার ...

আগমনী






   আগমনী
************


জ্যোতির্ময় রায়


আর কয়েকটা দিন মাত্র বাকি
আগমনী হাওয়ায় নদীর বাঁকে বাঁকে কাশফুল মাথা
নাড়ায় ..ওই আকাশকে দোখো ..
নীল ..আরো গভীর নীলে কেমন সাদা মেঘের মেলা
আর ওই সবুজ মাঠে ঢেউখেলানো আগমনী বাতাস
যায় বয়ে .গ্রাম থেকে শহরে ..শহর থেকে দূরে
আরো অনেক দূরে ..বিদেশ বিভুয়ে ।
আর মনটা ..ফিরে যায় বর্তমানকে ছাড়িয়ে
অতীত ও ভবিষ্যৎ এর রুপলি পর্দার ক্যানভাসে ।।
সবাই সাঝ সাঝ বর ..
প্রস্তুত ..কি তুমিও ?
মা আসছে ..
শিল্পীর রং তুলিতে আর কয়েকটা দিন পরেই
মাটির মূর্তি প্রতিমা হয়ে উঠবে ।
ক্লাবে ক্লাবে প্যান্ডেলের লাড়াই দেখার মতো কিন্তু ।
রাস্তায় ফুটপাতে পরে থাকা পাগলটাও কিন্তু
ঠিক মিশে যাবে ভিড়ে ।
কেউবা ছক কষতে বসে গেছে কবে কার সাথে
কোথায় যাবে বলে ?
কেউ বা টিফিনের টাকা বাঁচিয়েছে
এবার পূজোয় চুড়ি আর লাল ফিতে সে কিনে দেবেই
জামা কাপড় কেনা হয়ে গেছে তোমার ?
হয়নি ? ..আর দেরি নয় ..মা আসছে কিনে নাও ।
আর যারা বাইরে থাকে কেউ কেউ প্রতীজ্ঞাও
করে ফেলেছে যেভাবেই হোক
সে এবার বাড়ি ফিরবেই
বিরহীনি প্রিয়া প্রদীপ হাতে ঠাকুরতলায় এখনো বসে
সে জানে এবার ঠিক সে আসবে
অভীমান সুরে বার বার বলছে
"এবার ওই বর্ডারের ডিউটি ছেড়ে একবার আসতেই
হবে ..এবার পূজোটা যে বিয়ের প্রথম বছর "
তুমিও প্রস্তুত হয়ে যাও
আগমনীর শঙ্খ বাজল বলে ...।।

দেশ (Country)





দেশ 




©জ্যোতির্ময় রায়



বোতাম আঁটা জামার নিচে বুক পকেটের ভিতর
কিছু চিমনির ধোঁয়ায়  আরো একটা সভ্যতার পতন ।
ঝলমুড়িতে কেটে গেছে বিকেল ।
লোকাল ট্রেনে আজও স্বপ্নরা পনেরোই আগস্ট আঁকে  ॥



নিষিদ্ধ পল্লীতে তখন গভীর রাত ,
আমার শহরে অফিস ফেরত মিছিলে সুখীগৃহকোণ।
ধানজমিতে খুশির নবান্ন । মেঠো পথ দিয়ে আসে
আগমনীর বার্তা .... ॥



ভাষ্কোডাগামার কম্পাসে সমুদ্র সফেন
কলম্বাস আজও আমেরিকা খোঁজে ... ।
রমজান হোক কিংবা দুর্গা পুজো  অন্ধকার তখন
চাঁদ সাজায়... শুক তারা  হয়ে প্রেম উপন্যাসের সূচনায় । ।

মন আমার




মন আমার 


©জ্যোতির্ময় রায়


কিছু রোদ কুড়িয়ে রাখি ,হাঁটু জল ভেঙে ।
কিছু জোনাকি ছড়িয়ে দেই ঘুমহীন রাতে ।।
এঁকে বেঁকে চলে গেছে নদীপথ ,সময়ের ফাঁকে ফাঁকে
এ পাথুরে জীবন ,বৃষ্টি খুঁজে তখন পাল ছেঁড়া নৌকায় ভাসবে বলে ।।



মাঝে মাঝে পাগলামি ,ইচ্ছেরাও দেয় পারি
সব ছেড়ে দিয়ে মেঘের ওপারে ,"আজ ভাব তো কাল আড়ি"।।
হঠাৎ দেওয়াল লিখনে "মন খারাপ" অহেতুক অযথা ,
ঠোঁটের মাঝেই শব্দ হারায়,আপন মনেই বলে কথা ।।


হঠাৎ ইতিহাসে গিয়ে ছুঁয়ে দেয় প্রেমিকার ঠোঁট ।
নিজেই নিজের বিবাদ লাগায় ,খুঁজে বেড়ায় ভুলে যাওয়ার আন্টিডোট।।

শুধু তোমাকেই (Just You)





শুধু তোমাকেই 
***********

©জ্যোতির্ময় রায়



কিছু মেঘ সাজিয়ে রাখি এখন ওই চাঁদেও ,
চুমুর উষ্ণতায় বরফ গলে গেলেও
"কই সুনামি তো হলো না"।
সুরে সুরে তাল মেলাতে গিয়ে কথা হারায় এখন ।
মৃত মন।মেটাস্টেবেল। বন্ধ তোমার জানালা ।।



রং পরে ।রং তুলির ছোঁয়ায় চোখ মায়াবী ।
পেন্ডেলে পেন্ডেলে আগমনী সাজ সাজ রব।তুমি
রূপকথার গল্প হয়ে বানভাসি তখনও ।
রোহাঙ্গির আর্তনাদ পৌঁছায় না।ধর্ম আলাদা দেশও।।


নির্বাক দর্শক বারুদে জ্বালায় সিগারেট কিংবা শীতঘুম ।
আগমনী আসে ।প্রেমিকার ছবিতে উঁকি ঝুঁকি।নিঝুম
রাত্রির কিছু জোনাকিও ফসফরাসহীন ।চশমা ভাঙা ।
আমার আমি ,তোমার তুমিতে এখনও হয়তো রাঙা ।।


সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭

তখন তুমি






হাঁটু জল ভেঙে ছেঁড়া পালের নৌকাটি ভেসে যায় 
তোমার শহরের প্রাচীর বেঁয়ে । শেষ রাতের কালবৈশাখীতে 
ল্যাপপোস্ট গুলো ভেঙে গেছে ,যানজটে রাজপথ ।। 

ভুলে যাওয়ার বাহানা গুলো চোখে ধুলো দেয় তখন ।
মন খারাপের মন খারাপ গুলো ইচ্ছে ডানায় 
মেঘের নৌকা সাজায় আরো একটা ।। 

নাটোরে বনলতা সেন তখন রংতুলি হয় ।
দত্তকি মন তিস্তার বাঁধ হয়ে আকাশের তারা গুনে ।। 
চাঁদে তখনও দুএকটা ভাঙা আয়নার টুকরো ।।

শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০১৭

তোমার রং তুলিতে




#তোমার_রং_তুলিতে
************************

জ্যোতির্ময় রায়



অভিমানটা আজো জানি তোলা আছে
ছোট্ট ছোট্ট ভুলের মাশুল চক্রবৃদ্ধিতে দুরত্ব।
কত শ্রাবন গেল ...কত মেঘ জমলো কই
তুমি যে ছবি আঁকবে বলেছিলে ,এঁকেছো ?
তোমার রং তুলিতে মনের ক্যানভাসে
শূণ্য পাতায় অবস্থান ..........।
তুমি বলতে আমার চোখ আঁকতে এক শ্রাবন মেঘ লাগবে
কত মেঘ জমলো আজো শূণ্য খাতায় আমার চক্ষুহীন প্রতিছব্বি
কানে দুল দেবে ....চুলে হলুদ ফিতে
লাল শাড়িতে তোমার পাতায় .....।
আজ কত বছর গেল ...অভিমান গুলো জমতে জমতে বারুদ
তোমায় পুড়িয়েছি ...না পাওয়ার যন্ত্রনায়
তবে নিজে পুড়েছি অনেক  ।
তুমি সব জানতে ।
ব্লাড ক্যান্সার যে আমায় নিয়েছে
তোমার থেকেও আপন করে ।
আচ্ছা তোমার তুলিতে আগুনের রং আছে  ?
আমার শাড়িতে আগুনের রং দিয়ো
আমি সেই আগুনে জ্বলতে থাকবো .....
আমার এই নিষ্টুর অভিমানি মনটা যেন ছাই হয়ে যায়
আর সেই ছাই দিয়ে চোখ এঁকো শেষবারের জন্য
 যেন চোখ খুলে দেখি তোমায় ....
আর একবার .....শুধু আর একবার ....।।

রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৭

একদম ব্যক্তিগত কিছু কথা





জ্যোতির্ময় রায় ,পিতা -লজেন চন্দ্র রায়, মাতা-
প্রভাতী বালা রায়  ,দঃ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থানার -লোহাগঞ্জে গ্রামে জন্ম ।ছোটোবেলা থেকেই সাহিত্যে আকর্ষন ছিল প্রবল তথাপি এখন তিনি বিজ্ঞানের ছাত্র ।বর্তমানে মেডিসিন নিয়ে পাঠরত BCDA College of Pharmacy and Technology তে।অচেনা পথিক ছদ্ম নামে প্রথম কবিতা লিখতে শুরু করি ।তারপর "অজ্ঞাত অচেনা"নামেও লেখা শুরু করি একসময় ,বর্তমানে "অজাত শত্রু" নামে লেখি মাঝে মধ্যেই


নাহ আমি হয়তো কবি নই ,তবে মনের কথা গুলো জমতে মনের কথাগুলো আর শব্দগুলো জমতে থাকে ভিতরে ,শব্দ সাজাই তাই ,একটার পর একটা ।
আমি ছন্দে বা তাল ,মাত্রা এসব কিছু ই বুঝি না বলতে গেলে ,তবে শব্দের পর শব্দের সাজতে ভালো লাগে ,একটা ভাষা খুঁজে পাওয়ার ..একটা অর্থ বহ  ব্যাকমালা । আর এই শব্দ সাজাতে সাজাতে ...কিছু লিখে ফেলেছি । দুর্ভাগ্য বসত একটা সিরিজও প্রকাশ করতে পারিনি ..প্রকাশ করতে যে টাকা লাগে । টাকা কোথায় পাবো । তাই এই ব্লগ । পাশে থাকবেন আসা করি ।



ছবি আঁকা শুরু করি ২০১৮ জানুয়ারি থেকে ,একদিন পেন্সিল নাড়াতে নাড়তে হঠাৎ করে ছবি হয়ে যায় প্রিয়মুখ ,তারপর থেকে এখনও শিখছি একটু একটু করে

আমি আজ পর্যন্ত যা লিখছি তার একটা ডিটেইলস দিলাম নিচে ....

কবিতার সিরিজ
****************
       কাব্য গ্রন্থ                        কবিতা সংখ্যা
       ***********                *************
 1. অপরুপা তুমি(2010)”, ------- ২৫+৫
 2. ”অচেনা পথিক(2014)”,”-------   ১০০
 3. প্রিয় বন্ধু (২০১৪-)        --------- (১০)
 4. প্রতিবাদী(2015)”,”      --------- (১৫)
 5.নষ্ট দুহিতা (২০১৪-) ----(৩)
 6.নীলাঞ্জনা তোমাকে(2015-17),দিগন্ত ব্লক ও প্রতিলিপিতে প্রকাশিত (২০১৭) ----- (৩৬)
 7.একটা গল্প ছিল(2015)”,”    ------- (১৫)
 8. আমি ভিজতে রাজি এই বর্ষায়(2016)”,” ---(১৫)
 9. রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের জেনারেল বগি(2016)” ----( ২০)
 10. পূজোর ক্যানভাস(2016)”,”  -----(১৪)
 11. আগামীর জন্য(2016-)    -----(৫)
 12. শেষ রক্ত বিন্দু(2016-)”,” ---- (৮)
 13. অব্যক্ত(2016-)”,”  -----      (৫)
 14. ভালোবেসে সখি(2016)প্রতিলিপিতে ----( ১৫) প্রকাশিত (২০১৭)
 15. তুমি যে আমার (২০১৬-) ----(২৫)
 16. স্বপ্ন সম্ভার (২০১৬- )   ---- (১০)
 17. আমার কথা (২০১৪- ) ------ (২৫)
 18. প্রেম ইজুক্যাল টু (২০১৬- ) (যৌথ ) --- (২০)
 19. অজ্ঞাত অচেনা (২০১৬-) ---- (৮)
 20. ওরা (২০১৬-') -------- (১৯)
 21. শিরোনামহীন (২০১৪-) --- (১০)
 22. কিছু কথা ( ২০১৫- ) --- (২০)
 23. আমার কলেজ ও আমি (২০১৫-)----(৩)
 24.তারে আমি চোখে দেখিনি (২০১৬-১৭ ) প্রতিলিপিতে প্রকাশিত (২০১৭) --- (২৫)
 25. আমি ২০৩০ বলছি (২০১৬- )---- (৩)
 26.. নিকোটিন ( ২০১৬- )--- (২)
 27. বৃষ্টি ভেঁজা স্বপ্নের ঠিকানায় (২০১৬ -) ---(৮)
 28. এবং ব্যক্তিগত (২০১৭- ) ---- (১০)

 29. শব্দ নিয়ে খেলা (২০১৭-)(কিছু এক্সপেরিমেন্টাল কবিতা ) --- (৮)

 30. চশমা (২০১৭- ১৮) ---- (১২৫) প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব(২০)

 31.এক্স ক্রোমোজমাল ফ্যাক্টর (২০১৭-) --- (৮)
  32. আগন্তুক (২০১৭ -১৮)----- (২৫)
  33. ইন সার্চ অফ (কিছু রিসার্চ ও এক্সপেরিমেন্ট) (২০১৭- ১৮) --- (১৫)
34. জুঁই (২০১৮- ) ---- (১৫)



 #গল্প

 1. চোর চোর(2012)”,”প্রকাশিত 2016 ঝিঙে ফুল সাহিত্য পত্রিকায়
 2. ধ্বংস হবে(2012)”,”
 3. ক্ষনিকের বন্ধুত্ব(2013)
 4. “,”আমি তার পর (2013)”,
 5. দোষী(2012)”,
 6. বউ কথা কও (২০১৭)( অসম্পূর্ন)
 7. নষ্ট ছেলে (২০১৭)(প্রতিলিপিতে প্রকাশিত(২০১৭)
 8. রং নাম্বার (২০১৭)
  9. বেইমান (২০১৮) (অসম্পূর্ন)
  10. জুঁই (২০১৮) ( লেখা চলছে)

উপন্যাস
 1. প্রফেসর হার্দিক পান্ডের ডায়রী (২০১৬- )(প্রথম অধ্যায়)
 2. এবং তারপর আমি (২০১৭ - ) (আত্মজীবনী ) (প্রতিলিপিতে ধারাবাহিক ভাবে লিখছি) ( প্রথম অধ্যায় সম্পূর্ন)

একটি হাস্যকৌতুক নাটক “টোসার দুঃখ(2013)”
নাটক :
 1. ব্রেক আপ (২০১৭ )

 ( বি:দ্র: "-" লেখা চলছে )

এবার প্রশ্ন একটাই কটা বই প্রকাশিত হয়েছে ?
উত্তর: একটাও না । টাকা নেই ।

তবে হ্যাঁ বেশিরভাগ লেখাই
আমার ব্লগে
https://jyotirmoyroybcda.blogspot.com
কিংবা দিগন্ত ব্লগে (http://www.digantopatrika.com/blog/literature/poem/tare-ami-chokhe-dekhini-jyotirmoy-roy/)
কিংবা ,ছোটো কবিতা (http://chhotokabita.com/author/jyotirmoy/
 কিংবা , বাংলা কবিতা (http://www.bangla-kobita.com/jyotirmoyk/)
কিংবা, প্রতিলিপি (https://bn.pratilipi.com/user/%25E0%25A6%259C%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AF%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%259F-%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BE%25E0%25A7%259F-fqdr87a50s?action%3Dlist_contents%26state%3DPUBLISHED&hl=en-IN)তে পাবেন

আর কিছু কবিতা ,কিছু গল্প চিরতরে ঘুমিয়ে আছে আমার ছেড়া ডাইরির পাতায় , ।

সব থেকে বেশি লেখা পাবেন আমার পেজে
https://www.facebook.com/achenapothikjyotirmoy/

শনিবার, ১৭ জুন, ২০১৭

সমাধিসত্ব স্লোগান(Samadhistwa slogan)


সমাধিসত্ব শ্লোগান 
*****************


©জ্যোতির্ময় রায় 

##
আমার শরীরে বয়ে চলে স্তব্ধ লাভার স্রোত 
সেই মেয়েটির গলায় ফাসঁ দিল ,চিরকুট  হাতে "ধর্ষিত "। 
তুমি মোমবাতি হাতে করলে রাস্তা অবরোধ । 
ভালো মানুষি কাপুরুষত্বা ,অভিশাপে ধ্বংস হোক "মুখোশি  অভিনয় যত "॥ 
বহুবাদী জন্তুতে  সমাজ শাসিত ,মুষ্টি বদ্ধ হাত আজ মৃত ..... ॥
 

##
"কি পেলে মিছিলে পথ হেঁটে ? কিছু বাস ট্রাকে  আগুন জ্বালিয়ে ?"
"তার থেকে তুমি কখনো আমি হয়ে জন্ম নিও 
আমার মতো তুমিও যেন শাস্তি পেও "
সমাধিসত্ব ছিঁড়ে খাওয়া শরীরের শেষ চাওয়া প্রার্থনাতে  .... 
ধ্বংস হোক এই ঘৃণ্য সমাজের   বিকৃত ব্যাধি যত ॥ 
 

##
সংবাদ শিরোনামে আজ বিক্রি হয় প্রতিশ্রুতির বিজ্ঞাপন ,
ভগবান নির্লজ্জ দর্শক ,সমাজের অগ্রে কালো পতাকা 
"যার আছে বেশি ,সে আরো চায় " । "চুপ কর তোর মাথা ব্যাথা অযথা "
হুমকিতে স্তব্দ সত্যিরা । "বিজয় মিছিলে মিথ্যের মাথা উঁচু এখন " ॥ 
মোমবাতি মিছিলে পুড়তে থাকে লাল নীল স্বপ্ন গুলো তার .... ॥ 

##
"নাহ আর নয় কোনো প্রতিবাদ ,নয় অবরোধ ,কিংবা সংবাদ শিরোনাম "
"কোনো সাম্য বিচার ,কিংবা রাজনীতির ঘৃণ্য রঙ কোনো ",
"আমার মৃত্যুতে এই অমানবিকতায় অভিশাপ নেমে আসে যেন । "
" যেন  এই পৃথিবী আর এক নাম হয় আমাদের বেঁচে থাকার উপাদান " ॥ 
আমার এই সমাধিসত্ব শ্লোগান "সাদা স্বপ্নরা যেন মরে না যায়  কারো আর "॥






শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০১৭

মৃত্যু(Die)


#মৃত্যু
*****


©জ্যোতির্ময় রায়


##
ওই দেখো ওই দূরে মায়াবী আকর্ষণ
ওই যে কাঁটা তার পেরিয়ে ,চীনের প্রাচীর
ওই যে শুকনো গোলাপ ,পাখি হারায় নীড় ।
নীরবে চলে যায় কত শুক তারা ,ব্ল্যাক হোলে কখন ??
           

##
সময় ,ও সময় পারবে বলে দিতে আমায়
কেন রয়ে চলে নদী ? কেন চোরা বালি ফাঁদ পেতে ?
আমার বসত বাড়ি তো আমারি !,তবুও হবে যেতে ...
ওই যে কালো পতাকার উড়ছে ,হাহাকার ,সেখানটায়  ... ॥

##
আমিও চলছি ,তুমিও ... নিরব গুপ্ত ফাঁদ,
সূর্য উঠছে রোজ ,দিনের আলোয় চোখ মেলে দেখা
তোমার চাওয়া পাওয়ার হিসাব ইতিহাসের পাতায় থাকবে লেখা ।
হাসতে কাঁদতে প্রহর কখন চলে যায় ,এই বুঝি হল রাত ॥

রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৭

তারে আমি চোখে দেখিনি








তারে  আমি চোখে দেখিনি


            ©জ্যোতির্ময় রায়






তারে_আমি_চোখে_দেখিনি।
*************************

             @জ্যোতির্ময় রায়


তারে আমি চোখে দেখিনি
কিন্তু তার চোখে আমি চোখ রেখেছি ।
রাত পাখি প্রজাপতি হয়ে গেছে
আনমনে তার কথাই ভাবতে লেগেছি ।।
মনের গভীরে ..আমার সমুদ্রে জেগে উঠে প্রবাল দ্বীপ ,
অন্ধকার এই ঘরের ভিতর হঠাৎ জ্বলে উঠে প্রদীপ।।
মনে মনে ..রামধনু রঙ্গে ছবি আঁকছে যে মন ,
ভুলে যাই কথা ,কেন যে অযথা ?
প্রতীক্ষা যে আমার ,দেখা হবে তার সাথে কখন ??




লেগেছে_দারুন
*****************



        জ্যোতির্ময় রায়


যাক নাহ্ আজ সময়টা বয়ে ঘড়ির কাঁটায় ,
যাক নাহ্ রাতটাও বয়ে ,হোক না প্রভাত ।
আমার মনে অনুভুতি আজ গুলো প্রজাপতি
বলবো কথা তোমার সাথেই আজ সারারাত ।।
 কেন জানি না ,মন তো মানে না ,একটু ছোঁয়া চায়
পাগলপারা মন আমার , হয়েছে হয়তো তোমার ইশারায় ।।
মন খুলে হায় হায় ইচ্ছে গুলো চলো উড়াই
চলো না তুমি আর আমি রূপকথার দেশে যাই ॥
আমার অন্ধকার ঘরে হঠাৎ জ্বলে উঠলো আলো
জানি না কিভাবে তোমায় লেগে গেছে আমার
                      ভীষণ ভালো .... ॥



সহসা_এলে_কি?
***************

            @জ্যোতির্ময় রায়


##
ভাল লাগে রাত জেগে তোর  সাথে কথা  বলতে
ভাল লাগে তোর চোখে চোখ রেখে জেগে থাাকতে।।
হঠাৎ করে তুই এলি ,স্বপ্নের বাগানে ফুল  ফোটালি
চাঁদের থেকেও মিষ্টি যে তোর  হাসি
তোর  মায়াবি চোখের ভাষায় আমি
রোজ একটু একটু করে যাচ্ছি যে তোর সমুদ্রে ভাসি ।।




   যাই মিশে
  *********



জ্যোতির্ময় রায়


গভীর অনুভুতিরা যখন আরো গভীর থেকে উঠে আসে ।
একলা আকাশও ঠিক থমকে দাড়ায় ...তোমায় ভালোবেসে ।
কথাগুলো ঠিক রামধনু থেকে রং নেয়।
তোমারি ছবি যে মন আঁকে ।
 তুমি যে সুন্দর ,তাই তোমাতেই যাই বার বার মিশে।।








     ওই_যে_মায়াবি_চোখে

           
               @জ্যোতির্ময় রায়


##
রাত পাখি  তুমিও জেগে আছো কি বলো ?
শুনতে পাচ্ছ আমার সমুদ্রের দুকুলে আছড়ে পড়ছে
 ঢেউ
যে নদীর পথ হারাবার কথা ছিল মরুপথে
দেখো সে এখন সমুদ্রে এসে মেশে ।
ঠিক আমিও বিপ্রতীপ কোন নৈঋতগামী ।
 ঈশান কোনে ভোরের আলো ফুটুক বা না ফুটুক
মন খারাপের কবিতা গুলো ফোটে ।।



##
জানি না ..
তোমার ওই দু চোখে তাকালেই
মন হয় হাজার আলোকবর্ষ ধরে চেনা ওই চোখ
উল্টোপথে খুঁজতে গিয়ে ফিরে এসে থমকে গেছি তোমাতে ।।


       তোর_জন্য



          @জ্যোতির্ময় রায়



তোর জন্য আমার আকাশে জ্বলে
হাজার সাঝ বাতি
তোর জন্য মনের ভিতর স্বপ্নের খেলনা ঘর পাতি ।
তোর জন্য ফোটে আমার মরুদ্যানে হাজার রকমের ফুল
তোর পৃথিবীতে জায়গা পাবো বলেই
তোর স্বপ্নেই মশগুল ।।
শূন্য ঘর আমার ছিল সাজানো একাকিত্বে ,
হঠাৎ এক আকাশ তারায় ভরে গেল ,তোর সান্নিধ্যে ।
পড়ে থাকা ছেড়া ডাইরিটা পেল  জীবন
কাঁচের খাঁচা ভেঙ্গে মুক্ত হলো যে মন ।।
তোর জন্য আমার তুলসী তলায় জ্বলে প্রদীপ
তোর জন্য বিপর্যস্ত জাহাজ পেরোলো অন্তরীপ ।
তোর জন্য সূর্য্যটা রোজ পুবের জানালায় উঁকি দিয়ে যায়
তোর জন্যই হয়তো আজ আরো কিছু তোকে
নিয়েই মন লিখতে চায় ।।







সেই_ধান_জমি_আলের_দেশে


                    © জ্যোতির্ময় রায়


##
শহরের ইট কাঠ ছেড়ে আবার সেই
ধান জমি আলের দেশে
ঘুম থেকে উঠেই দেখি নাড়কেল গাছের পাতায়
সূর্য্যটা রোজ লুকোচুরি খেলে
যেথায় রোজ পশ্চিমের মাঠে সূর্য্য ডোবে
আমবাগানের সেই গাছ মাছ খেলা
গোল্লা ছুট্ট মাঠে দুলফি ফুলে ঘাসে
ভরে যায়নি তো ?
শাল বনে হয়তো পাতা ঝরার  শব্দ
ট্রেনের সাইরেন সেখানে পৌঁছায় না কিন্তু।
প্রথম বৃষ্টিতে মাটির গন্ধটা কিন্তু
গোলাপের গন্ধটাকেও হার মানায় ।


##
হ্যাঁ গো আমি যাচ্ছি
সেই ধান জমি আলের দেশে
রাতে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক
শিয়ালের ডাকে হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গে মাঝ রাতে ।
শহরের ল্যাম্পপোস্টের আলোরা এখানে পাহারাদার
আর ওখানে নিস্তব্ধ অন্ধকার রাতে মায়াবি খেলা
তারারা বনে নেমে আসে ,জোনাকির মেলা ।







শীত_এলেই


   @জ্যোতির্ময় রায়


শীত এলেই ওই শহরের ফাঁকা রাস্তার ল্যাম্পপোস্টটা
একা পাহারাদার ,দোকানে ঝাঁপ নামানো
রাস্তার ওই ঠিকানাহীন মানুষগুলো কাঁপতে থাকে
শীতে ,ওদের দু-মুঠো ভাত জোটে না ,কাপড় পাবে কোথায় ?
কয়েকটা মাতাল আবার তখন অন্য পৃথিবীর লোক ফাঁকা ওই রাস্তায় ।।


##
শীত এলেই ম্যাঁচম্যাঁচে দিনে কম্বলটা সম্বল
কোলবালিশটা জড়িয়ে একটু প্রেমিকার উষ্ণ ছোঁয়া
এক চাঁদরে ভিক্টোরিয়া কিংবা ইকোপার্কে জমে প্রেম
পুরোনো স্মৃতির হাত ধরে ,রুপকথারদেশে ভেসে যাওয়া ।
শীত এলেই এবার স্বরসতী পুজোয় শাড়ি পড়ে দেখবো তোমায় ।।


##
বাপ্পাদার চায়ের দোকানে জমে ভিড়
হাঁড়কাপানো ঠান্ডায় উত্তপ্ত আলোচনা
জ্বলন্ত সিগারেট হাতে জাহির পান্ডিত্য
রাজনীতি বলো কিংবা ধর্ম দুটোতেই দখল
শীত এলেই স্নান ঠান্ডা জলে স্নান ,
সাহস আছে কি বল ??


স্বপ্নে কখনো
জ্যোতির্ময় রায়
শব্দমালা কলম খোঁচায়  গল্প পাতে রাতে
ভালোবাসা হয় না জানি কখনো এমনি তে ।
খেলার চলে কখনো ,কখনো বা কারন ছাড়াই
অনুভুতিরা দেয় আশকারা  ,স্বপ্নের ঘোরে
রোজ তোমার ঠোঁটে আমি চুমু খাই ।।


  ফাস্ট_ডেট

    

         © জ্যোতির্ময় রায়





##

মন না ছোড় বান্দা মন ভাসে রুপকথায়
শীতের সকালে দু এক ফোঁটা শিশির জমে
আমার দূর্বা ঘাসের মাথায় ।।
উড়ু উড়ু মন উড়ছে আবেগে
রাত শেষ হবে কখন ? কখন দেখবো তাকে ?


##
সারা রাত্রি জুড়ে শুধুই  ভাবছি তাকে
কথার পর কথা দিয়ে গল্প সাজাই রোজ
সেও কি ভাবছে সারা রাত আমাকে ?

##
সকাল বেলায় আধঘুম চোখে ছাড়তে ইচ্ছে করে না বেড ।
একটার পর একটা কাজ চলছে বেড়ে
সে যে বাসস্ট্যান্ডে বসে ,আমার এক ঘন্টা লেট ।
হাল্কা ভয় , হাল্কা অনুভুতি ,হার্ডবিট যেন চলছে ফাস্ট ,
স্বপ্ন গুলো বাস্তব হচ্ছে বুঝি এ্যাট লাস্ট ।।


##
পাশাপাশি বসে ,কাছা কাছি এসে
আরো কাছে আসা
দুরে নয় ,কাছে আসলেই যে বাড়ে
ভালোবাসা ।
তার চোখে চোখ রেখে ইচ্ছে করে তাকিয়ে থাকি
মনের গভীরে যে কথা গুলো লুকোনো আছে
তাকেই সব খুলে বলি ।
কথার ফাঁকে কথা ,গল্প গুজবে
সময় যে বয়ে গেছে কখন নিরবে ।

#
সত্যি কথা বলছি ও গো তোমায় আমি খুব
ভালোবাসি
এ ভাবে থেকো সব সময় ,চলো যেন
সারাজীবন পাশাপাশি ।।



           হয়তো_তুমি


                  © জ্যোতির্ময় রায়

আজ আকাশে চাঁদ ও শুক তারা পাশাপাশি ।
আমি সাইকেলে চেপে ,চলছি রাস্তা মেপে ।
কাল স্বরস্বতী পুজো ,বাঙ্গালীর ভেলেন্টাইন ডে।
তুমি আসবে হয়তো শারি পড়ে ,আমি দেখবো তাই।
ভিড়ের মাঝে তোমায় খুঁজে পাওয়াই সাফল্য।


অভিমান পাহাড় প্রমাণ ,আমি দুর থেকে
স্বপ্নের জাল বুনি  ,"তুমি গতকাল কেন আসনি "
আমি হয়তো তখন ট্রেনের চাকার শব্দ শুনতে শুনতে
আকাশ মাপবো ,তারারা জ্বলবে যেমন জ্বলে।
দুরে ওই ল্যাম্পপোস্ট গুলো সরে যাবে একটার পর একটা ।
তোমার ডাক নামটা হয়ে ওঠে ওই শুক তারার নাম ।
আমার আকাশে জ্বলতে থাকে সব সময় ।



Happy propose day
বলবো_কি_করে?
*****************
                

                       © জ্যোতির্ময় রায়


দিন গেল  ,রাত গেল সময় বয়ে যায়
এই শোনো কিছু কথা আজ বলো তোমায়
রোজ ভাবি মনে,মনে ,হয় না তো বলা
মুখে আসে ঠিকই ,ভুলে যাই ফের ,দুজনের দুটি পথে চলা ।
জানি না কিভাবে ,কেন ,লেগে গেছে তোমায় ভালো ।
যদি রাজি হও ,দুটি পথ এক হবে ,অন্ধকারে জ্বলবে আলো ।
রুপকথার দেশে রোজ স্বপ্নে পক্ষীরাজে চাপি
আনমনে ,ভীষন একলা লাগলে যে তোমাকেই আমি ভাবি ।
তুমি যে হয়ে গেছো আমার স্বপ্নের নিকোটিন
রাত যে কখন কাটে ,তোমায় নিয়ে ভাবতে
ভাবতে ভালো লেগে ,চলে যায় কখন যে দিন ।
ভালো লাগে তোমাকে ,কাছাকাছি পেলে
ভালো লাগে তোমাকে ,পাস দিয়ে হেঁটে গেলে ।
ওগো তোমার সমুদ্রে ভেসে গেছে যে মোর মনের নৌকা খানি ।
তুমিও ভালো বেসে ফেলেও ,মুখ লুকাও জানি ।
তোমার জন্য মোর অন্ধকার আকাশে তারা খেলে রাশি রাশি ,
বলবো কি করে "তোমায় যে আমি খুব ভালোবাসি "।।



Happy  promise day
11 /02/17

ছাড়বো_না_তোমার_হাত
***************************



                   © জ্যোতির্ময় রায়

          


এই যে ,হ্যাঁ তোমাকেই বলছি
আমার হার্ট বিটের আওয়াজ পাচ্ছ কি ?
আমার সমুদ্রে যে নৌকা ভাসে
তোমাকে স্বপ্নে মন ছুঁয়ে যায় ,
তোমার আকাশে যে শঙ্খচিল ভুল করে আসে ।
মিশে যাও তুমি শুধু  আমার কবিতায়।।
নির্জন রাস্তায় ,নিস্তব্ধ দুপুরে ,শুধু তুমি আর আমি
পাশা পাশি চলা ,না বলা কথা গুলো তোমাকে বলা
আমার হৃদরাজ্যে তুমিই যে এখন রানী ।
আজ শুনলাম নাকি প্রোমিজ ডে
গোপনে জড়িয়ে গেছো তুমি আমার নিভৃতে ।
ও গো পারবো না আমি এনে দিতে
কখনো ওই আকাশের চাঁদ ,
তোমার মন খারাপের দিনে ,থাকবো পাশে
অন্ধকারে ছাড়বো না কোনো দিন তোমার হাত ।।
তোমার একাকিত্বে থাকবো পাশে,
যদি ফোটাতে পারি  তোমার মুখে হাসি
সেটাই আমার বড়ো পাওনা ,সেটাই আমার কাছে
সবচেয়ে দামী বেশী ।।



হ্যাপি ভেলেন্টাইন্স ডে
*******************

           জ্যোতির্ময় রায়


স্বপ্ন সাজাবো বলে নীল স্বপ্নের করি নেশা ।
হয়তো কিছুই দিতে পারবো না আমি
তোমায় ,আছে শুধু এক সমুদ্র ভালোবাসা ।।
কালও ছিলে যেমন ,এখনো তেমনি
আমার হৃদয়ে রাজত্ব যে তোমার
থাকবে ঠিক তেমনি গভীরে আমার ।।
তোমায় নিয়ে হাজার স্বপ্ন ,বাসা বাঁধে মনে অনেক আশা ।
হয়তো একদিন সময় বদলে যাবে ,
পৃথিবী থেকে হয়তো যাবো চলে দূরে
তবুও তোমার তরে রয়ে যাবে এ এক আকাশ ভালোবাসা ।।




এই_শোনো
************


             জ্যোতির্ময় রায়


##
এই শোনো ..শুনতে পাচ্ছ কি ?
আমার ঘরে উড়ছে জোনাকি ,
দেখতে পাচ্ছ কি ?
তোমার চোখে মুখে ঠোঁটে 
গোলাপ ছুঁয়ে ,হারাচ্ছি রোজ আমিও যে
তোমার ভালোবাসায় ........।।


##
এই শোনো ..শুনতে পাচ্ছ কি ?
আমার সমুদ্র তীরে আছড়ে পড়ছে ঢেউ
মনের গভীরে ,ঘুম সাগরে ,
কাগজের নৌকা ভাসাচ্ছে কেউ ।
তুমিও গোপনে ,সব কিছু বুঝে নিয়ে , দুরে চলে যাও ।
ভালোবেসে আমাকে ,কেন তুমিও মুখ লুকাও ??

##
যত কাছাকাছি থাকা যায় ,ভালোবাসা বেড়ে যায়
ইচ্ছে গুলো মেলেছে ডানা
তোমায় ছাড়া আমারও ,কিছুই যে ভালো লাগছে না ।
যদি রেখে দিতে পারো ,থেকে যেতে পারি
ফিরে যেতে দিও না ।।
এই শোনো ..তুমি শুনতে পাচ্ছ কি ?
ভালোবাসো বলে ,বলতে লজ্জা তুমিও পাচ্ছ কি?
না না  আর দুরে নয় ,কথা রেখে না জমিয়ে গোপনে
যত কথা আছে সব বলো ,যা আছে তোমার মনে ।।



ইকুয়্যাশন (Equation)
 ******************


        © জ্যোতির্ময় রায়

কাটাকুটির খেলা ।
ভাঙ্গা কাঁচের জানালায় রোদ আসে ,
কক্ষ পথে নেই কোনো ইলেকট্রন ।
ছায়া মাঝে শুধুই ছায়া ,পরমানু বিস্ফোরণ ।
মুখোশ ধারী আত্মারা বারুদের গান ভুলে গেছে
ইট বালি গুলো পুড়ছে দধিচীর হাড়ে ।
রক্ত গোলাপ ফুটে সাহারায় ।
হিসাবে ফের ভুল হয় ।
শূন্য থেকে ইনফিনিটি হঠাৎ নির্দিষ্ট সমাকল ।
সময়ের হাতছানিতে চেনা অচেনা শুধুই ফসিলস্।
মেলে না উত্তর ,মন খারাপ সবার ।কান্না লুকিয়ে হাসে ।
তাজমহল ভেঙ্গে যায় তুবও ভালোবাসে ।।


ভালোবাসি_এর_মাঝেও_তোমাকে
 ***************************

                   @জ্যোতির্ময় রায়



রোজ রাত্রি ভোর হয় ,ঘুমহীন রাত্রিরা
একেকটা  ডাইরীর পাতা  .....
নস্টালজিয়া মন রোজ গল্প শোনায়
কিছুটা অতীত পুড়তে থাকে সিগারেটে ।
স্বপ্নকে ধরবো বলে ,এক পা এগোই
ক্ষতটা অনেকটা গভীর ॥
ট্রেন ছেড়ে দেয় তারপর ,
একটার পর একটা স্টেশন পেরোয় ......
আমি ঘামের গন্ধে বিশ্বাসী
দেশলাই বাক্সে কথা জমে ,
বৃষ্টি ভেজা গোলপের কাঁটা আলপিন
ওয়ালপেপারে ছবিটা থাকে তোমার
 জানালায় চোখ রাখি ,হাজার কাটুক
             ব্যস্ততায় দিন ॥


এই টুকুই চাওয়া
***************

জ্যোতির্ময় রায়

স্বপ্নের ছাই রঙ্গা হাতটা ধরে
একটা স্বপ্নের মরুভূমি
আটলান্টিক মহাসাগরে তলিয়ে
যাক না টাইটানিক ....
বসন্ত উৎসবে প্রেমিকার উষ্ণ ছোঁয়া
প্রথম রঙ মাখাবো তোমায়
এই টুকুই তো চাওয়া ॥




তোমাকে_ছুঁয়ে_দিতে
 ******************
    
    ©জ্যোতির্ময় রায়


জানালায় দু একটা বৃষ্টির ফোটা
চশমার খুললে ঝাঁপসা পৃথিবী
আলো আঁধারে ছায়াবাজির খেলা
মাটির গন্ধে মিশতে থাকে ঘাম
অ্যাড্রিনালিন দেয়ে সিগন্যাল ...
চৌমাথা মোড়ে একা পাহারাদার  ল্যাম্পপোস্ট ,
নষ্ট হতে যদি ভয় না থাকে
তবে কাক চক্ষুর আড়ালে
উষ্ণতা মাপবেই থার্মোমিটার ....।
গোলাপের কাঁটায় এঁকে দেবো চাঁদের কলঙ্ক ।।


হঠাৎ_ঘুম_ভেঙে_যাওয়া_রাতে
   ************************

                 © জ্যোতির্ময় রায়



তিনটে তিরিশ ,নিস্তব্ধ পৃথিবী
চোখ খুলেই  দেখি নিথর মৃত্যুর মিছিল ।
বেডের দুপাশে দুজন হয়তো স্বপ্নের দেশে ।
সিলিং ফ্যানের ঘুম পাড়ানি গান ,
পাঁচ ইঞ্চি স্ক্রীনে ফুটে উঠে প্রেমিকার মুখ,
কোলবালিশে জড়ানো তার চিবুক। 
আমার অ্যাড্রিনালিন দেয় যৌবন ডাক ,
জানালার ওপাশে ল্যাম্পপোষ্টে বসা,
রাত পাখিটা গান ভুলে গেছে হয়তো
প্রিয় গানটা ,না হয় হেডফোনে, যতক্ষণ
ইচ্ছে বাজতে থাক ।।


হাতছানি
********


©জ্যোতিময় রায়


শূন্য থেকে ইনফিনিটি
আলোক বর্ষ দূরে নতি ।
ধূসর কালো আমার শহরে
দু একটা বৃষ্টির দাগ চশমায় আটকে
প্রতীক্ষায় থাকে চীনের প্রাচীর
চাঁদ থেকে যদি কেউ বেনামী চিঠি পাঠায় ।।
ব্যালকনিতে লাল গোলাপ সিগন্যাল ,
ভুল করে শঙ্খ চিল আকাশে
             আর উড়ে না ॥



একা_লাগে
 **********

     ©জ্যোতির্ময় রায়



হঠাৎ তুমি ডাক পাঠালে ,
আমার বেনামী চিঠির গায়ে প্রেম আঁকা ,
সর্পিল অর্কিড ছোবল মারে  চাঁদে
অপেক্ষা আর প্রতিক্ষায় মাঝে
হঠাৎ শূন্যের আবির্ভাব ॥
HPLC তে ঠিক মেপে নেয় % পিউড়িটি (purity)
অন্তরজালকের  জ্যামে আটকে গেছে কথা
তোমার পৃথিবীতে বুঝি রাতটা অনেকটা 
ছোটো এখন ,আগের থেকে ?
হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে দেখি
কখন আমি হেঁটে গেছি
 ইকো পার্ক থেকে সিসি টু ॥




  রং
****


©জ্যোতির্ময় রায়


বারুদের পোড়া গন্ধ ,
পোড়া ইটের গায়ে পৃথিবী আঁকা ,
বৃষ্টি পরে ফের ,রামধনু চাঁদ ॥
ফ্রেম বন্দী কিছু  লাল নীল আবীরের সেল্ফি
টাইম লাইনে রং বসন্ত ....... ।
হারিয়ে ফেলি প্রিয় মানুষটাকে ভিড়ে মাঝে ॥
রাত হলেই লাল ,নীল তখন সবুজের প্রতীক্ষায় ...
বৃষ্টি এবার নেই ,চাঁদ জানালায় আসে না ॥



সে_যে
 ******

    ©জ্যোতির্ময় রায়


আকাশে নীল চিরকুট
আমার বুক পকেটে ডেয়ারি মিল্ক
ঠোটের একটু উষ্ণ ছোঁয়ায় এক পশলা বৃষ্টি ....
জানালার কাঁচে আঁকি বুঁকি
আরও একটু অপেক্ষায় আজও থাক না হয় চাতক ॥
ফ্যাকাশে ক্যানভাসটা গোলাপী
A + B =1 < পাওয়া ॥
শূন্য থেকে ইনফিনিটিতে ক্রমবর্ধিত্ব প্রেম ॥


 ভালোবাসি_শুধু
 ************

   ©জ্যোতির্ময় রায়


যত দূর  চোখ যায়
একটা নীলচে পর্দা জানালায়
তুমি  ছুঁয়ে দিলে আমার রং তুলি
লাল ,নীল ,হলুদ আবীরে সবুজ সিগন্যাল
চৌমাথা মোড়ে আর গাড়ি থামেনি ॥
পারলে একটু মেঘ ধার দিও আমাকে
আমি দূর্বা ঘাসে বৃষ্টি হয়ে পড়বো
শিউরে উঠবে তোমার শরীর
আর একটু ছুঁয়ে দিতে .... ॥



প্রতীক্ষা_নাকি_অপেক্ষা ?
 *******************

         ©জ্যোতির্ময় রায়


ক্যালেন্ডারে ক্রস চিহ্ন
পাশা পাশি চলমান দুটি পথ
স্বপ্নময় নীল আকাশে শুক তারা উঠে
কাঁটা তারের  ইমেগ্রেশন লেটারে  রং তুলি
জলছবিতে ফুটেতে থাকে "কালা চশমা "
কাগজের নৌকা মোহনায় হয়তো আটকে গেছে
শ্রাবণ আসবে ,বৃষ্টি হবে হয়তো
পর্ণমচী ঠিক ঝেড়ে ফেলবে পাতা আবার
  বসন্ত আসবে ,কোকিল ডাকবে বুঝি
  বেলকনিতে  আটকে থাকে
            শুকনো গোলাপ সিগন্যাল ॥



আমার_আমি
 ***********

     ©জ্যোতির্ময় রায়


ধ্বংসে প্রতিচ্ছবি চশমায়  ,
সিগারেটের আগুনে পুড়ে গেছে অনুভূতি
আমার আকাশটা হারিয়ে গেছে ,
চিমনির ধোঁয়ায় .......
একটার পর একটা ইট সাজাই
  দীর্ঘ শ্বাস মানেই দম চাপা অভিমান শুধু ...... ... ॥




যদি_তুমি_চাও
**********



   © জ্যোতির্ময় রায়


আমার বুকে একটা হিমালয় জেগে উঠে
রিখটার স্কেলে ৮.৯ .....
মেঘেও কার্বন মনো অক্সাইড নেয় কিছু
শাহাজানের তাজমহলে গোলাপের বুকে ক্ষত ...
ভালো থাকার চেষ্টা গুলো কালাহারি পেরোয় ।
মন ,যদি চাও যেতে ,যেতে পারো ,
কাগজের নৌকা ভাসে ঝড়ের অন্তরীপে ...।
ডুবন্ত টাইটানিক সেফটি বোট ।।
সেকেন্ডের কাঁটা হিসাব দেয়
কতটা গভীরে তোমার অস্তিত্ব ??
প্রিয়গানে নিরবতা পালন করে ড্রয়িং রুম।
মোমবাতি মিছিলে আমার মনের লাশ
তুমি আজ তাই মনখারাপের রাতের ঘুম ।।



তোমাকে_ভালোবেসে
     ****************


      ©জ্যোতির্ময় রায়



নতুন ,আরো একটু নতুন করে বাঁচতে শেখা ..... ।
অক্ষাংশ থেকে আমার সূর্য এখন দ্রাঘিমাংশে
এক টাকাতে শুরু ষোলো টাকায় শেষ
পুরোনো ফ্লাশ ব্যাক নেই ,আছি বেশ ॥
সাহারায় বসন্ত উৎসব যন্ত্রনা দিয়ে
কিছু জল ছবি এঁকেছি তোমায় নিয়ে .....
                  এখন ॥
তোমার অভিমান গুলো আলপিন
দীর্ঘশ্বাস , হয়তো কিছুটা কার্বন মোন অক্সাইড
বৃষ্টিতে যায়নি গোলে তাজমহল ....... ।
অভিকেন্দ্রীক আমি বিঁধে গেছি তোমার
রাখা ক্যাকটাস সিগন্যালে  ....... ॥







তোমার_আমি
  ***********


©জ্যোতির্ময় রায়



হয়তো একদিন শব্দরা হারিয়ে যাবে
হিমালয়ে বর্ণমালার আত্মগোপন ।
থেটিসের বুকে ফসিলস এ হয়তো আটকে
যাবে কিছু কথা কিংবা অশরীরী প্রেম .... ।
আমি পদ্ম পুকুরে টাইটানিক হয়ে
চিমনির ধোঁয়ায় বেনামি চিঠি লিখবো
হয়তো কোনো এক শ্রাবণে তাজমহল ভেঙে যাবে ... ।
বারুদের পোড়া গন্ধটা ঘামের গন্ধকে দেবে প্রতিশ্রুতি
তবুও আমি .... মরূপথ হেঁটে যাবো
বিন্ধ্যপর্বত হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে
  মেঘের অপেক্ষায়  ..... । ।



   তুমি_এলে_তাই
    ************

©জ্যোতির্ময় রায়


কাগজের নৌকায় বেনামী চিঠি ,লেখা প্রেম
ঝড়ের অন্তরীপ পেরোয় আমার জাহাজ
ভারত খুঁজেতে আমেরিকা আবিষ্কার ,
         আমি তোমার কলম্বাস ..... ।
কথা ,শব্দ ,বাক্য .... অনুভূতি নিয়ে রোজ খেলি
কখনো বা সুরে সুরে ..... নীল দরিয়ায় পারি
তোমার আকাশ কাছে ডাকে
ব্যাকনিতে রাখা গোলাপ সিগন্যালে
 অভিকেন্দ্রীক আমি ...... জল ছবিতে আঁকতে
থাকি তোমার দুটি চোখ .... আমার গভীরের ক্যানভাসে ।
আমার ধ্বংসের শহরে  ,বসন্ত উৎসবে মাতোয়া ।।



পিছু_টান
 ********


©জ্যোতির্ময় রায়



সামনে এঁকে বেঁকে ওই মৃত্যুর বালিয়াড়ি
তাতে দিগন্তের গৌধূলি সাজ
সিলিং ফ্যানের ঘুমপাড়ানী .... মন ঘুমাও একটু ।
ধান জমি আলে টুপ টাপ বৃষ্টি রাম ধনু আঁকে
যে শিকলে বন্দী ছিল গাঙ চিল
মুক্ত ডানা  .... নীল রঙ ভীষণ প্রিয় যে ॥
প্রশ্নটা তোলা থাক ... থাক না ওই চাঁদে
কলঙ্কটা শোভা পায় বুঝি ,প্রেম ?
ঝাঁপসা পথে কিছু ছায়া
যোগ বিয়োগে হিসাব মেলায় .... ॥


রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৭

নীলাঞ্জনা তোমাকে (Nilanjana tomake )




একটি প্রেমের গল্প .... কবিতা আকারে



নীলাঞ্জনা তোমাকে
***************

উৎসর্গ : আমার প্রাক্তন প্রেমিকাকে ও তোমাকে

  জ্যোতির্ময় রায়

              (১ )
পুরনো অ্যালবাম থেকে হঠাৎ একটা ছবি মাটিতে পড়ে গেল ....ঝাপসা আলোয়
একটা মুখ ভেসে এলো
কিছু কথা ,কিছু ব্যাথা কিছুটা মধুর খেলা
আজ মনে পড়ে গেলো ...
অভির l
একটা সিগারেটের পুড়ে যাওয়া মুহূর্ত গুলো অনুভব করতে করতে ...একটা দীর্ঘ শ্বাস নিল সে .....

নাহ একটুকুও ভাবছি না
*******************

একটুকরো আগুন জ্বলছে
সিগারেটের ধোঁয়ার ফাঁকে
এস্ট্রেতে ছাই ভষ্ম জমে
নীলাঞ্জনা সত্যি বলছি ভুলে
গেছি তোমাকে l
স্নায়ুতে চলমান রক্ত প্রবাহ
অড্রিনালের ক্ষরিত হরমোন
একি এ কিসের উদ্দীপনা
অমাবস্যায়া কেন চাঁদ খুঁজে যে মন ?
আগুনে ঝলসানো হৃদয়টা
কেন কালবৈশাখী চায় ?
সব নিঃস্ব কেন আজ
চন্দ্রাকর্ষনের জোয়ার ভাটায় ?
কবিতা খুঁজে ভাষা কাব্যের ,
এ কেমন হ্যালোজীনেসন
স্বপ্ন হারায় জীবনের l
অ্যালকোহলিক মন ....মরীচিকায়
যাই দেখি ,মনে হয় যেন সবই অভিনয় l
হিস্ট্রি খাতার পাতায় গল্প ছড়ানো
মস্তিষ্কে অব্যক্ত ভাষার তরঙ্গ
আবর্জনা l
সত্যি বলছি নীলাঞ্জনা তোমাকে
একটুকুও ভাবছি না l

      (২)
লোকে বলে প্রথম প্রেম সত্যি ভুলা যায় না
কিন্তু কিভাবে সে প্রেম হয় ...কিভাবে ভাল লাগে তাকে ....কেন ভাল লাগে ...
কেউ কি বলতে পারে ?
নাহ ...হয়তো কিছু কথা মনে থাকে ..
কিছুটা ....হারিয়ে যায় স্মৃতির পাতায়
#হিস্ট্রি_ক্লাস
*************

অতীত এসে বর্তমানে গল্প শোনায়
আর ভবিষ্যৎ বর্তমানে লুকোচুরি খেলে l
হিস্ট্রি ক্লাসে বসে চুপচাপ
শাহাজাহানের শিল্পনির্দশন
"আজও যে কাঁদে তাজমহলে
শাহজাহানের মন "
নিঃশব্দ গল্প শুনছি
পাশের বেঞ্চে ..."তুমি" ও গো নীলাঞ্জনা
মাঝে মাঝে হাসির ঝিলিক
উপচে পড়া জোয়ারের মতো
আর আমি ,স্বপ্নে মশগুল
স্যারের গল্পে আমি শাহাজাহান
বেগম যে তুমি ও গো মমতাজ l
ইতিহাসের পাতায় ,
কি করে বলি তোমারি যে এই হৃদয়ে রাজ ?
ঘন্টা বাঁজে ,ক্লাস শেষ হয়
আমার হৃদয়ে গড়ে উঠে একটা
তাজমহল l

                        (৩ )
ছোটো বেলায় ভালোলাগা লোকটার মুখে হাসি ফোটাতে বা ইমপ্রেস করতে শুধু তার কাছেই সব বদমাশি ,দুষ্টুমি ...হারিয়ে যেত ...ভদ্র ছেলের মতো থাকতাম সব সময় ...
প্রথম প্রপোজ ...যখন করি তখন হল্কা ভয়
হল্কা উত্তেজনা ..একটা লজ্জা ...মনে পড়ে সেই সব দিন ?

প্রথম প্রপোজ
**************
টিউশন ছুটি অঙ্কের
সাইকেল নিয়ে আমরা কজন বন্ধু
নিতাম পিছু রোজ তোমার l
তোমরা শুধু মুচকি হেসে
ভেংচি কেটে যেতে
রাস্তায় প্রতিদিন সাইকেল নিয়ে
আমার হিরো সাজার প্রচেষ্টা বিফল
"যা চেন পরে গেল !"
হাসতে তুমি
ক্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকতাম
ছোট্ট মনের বড় আয়নায়
ভেসে আসত তোমার মুখ রোজ
একদিন বিকেল বেলা ...
একটু ভয় ,একটু উত্তেজনা ...
বড় একটা দম নিয়ে...
.তোমায় প্রথম বলা
 তুমি রইলে শুধু চুপ .....l

          (৪ )
আচ্ছা কেউ কি বলতে পারে প্রেম কেনো হয় ?
কেউ কেউ আবার বলে প্রেম হয়ে যায় ..
কোনটা সত্যি ..কোনটা মিথ্যা ...সেটা জানি না ...তবে জানি ...
একটা অনুভব ...একটা অন্যরকম অনুভূতি ..যা মুখ ফুটে বলা যায় না l
#প্রেম_হয়_যে_কেন_?
************************

প্রেম যে কেনো হয় ..কেউ কি তা জানে ?
কেনো তার কথাই আনমনে পরে যে মনে ?
প্রেম যে আগুপিছু ..হায় ভাবে না কিছু
অনুভূতিরা খেলে যায় ...হৃদয়ের গোপনে l
কি যে হয় ,কেনো এমন হয় ?
খামখেয়ালে ভুলে যায় সব কিছু কেন যে মন ?
চুপি চুপি ক্রমশ বারে যে আকর্ষণ l
গল্প গুঞ্জনে ...যাই মিশে বারে বারে
ইচ্ছেরা ডানা মেলে যে আকাশে উড়ে l
এভাবে তুমি গল্পে এসে মিশে যে যাও
সারাদিন তোমাতে মজে যাই
রাতেরই স্বপ্নে তোমাকেই খুঁজে পাই l
আমাকেও তুমি একটু ভালোবাসা দিয়ে যাও l l
"পেরোবো দুজন মিলে পরীদের রাত
রেখে কাঁধে কাঁধ ,চোখে চোখ আর হাতে হাত
কি করে জানবো আজ সারদিন
তোমাতেই কতটা হয়েছি বিলীন l "
এ যে মন হামেশাই, তোমাকে কি করে বোঝাই
কি যে হয় ,কেনো যে হয় ..
খামখেয়ালে তোমাকে পরে মনে
হাওয়াতে ইচ্ছে উড়াই l "
প্রেম হয় যে কেনো কেউ কি জানে ?
প্রেম আগুপিছু ভাবেনা কিছু ...
এলোমেলো সব গুছিয়ে নি ..
পাগল এমন তোমাকেই ভাবে ..
বারে বারে তোমার দিকে তাকাই .
..........তোমারি টানে l


          (৫ )
যখন প্রথম প্রথম কাউকে ভালোলাগত
তাকে শাড়ি পড়ে দেখবো বলে সরস্বতি পুজোয় তার জন্য বসে থাকতাম কখন আসবে সে ...?
তার শাড়ি পড়ে বৌ সাজা দেখতে মন যেনো ব্যাকুল হয়ে যেত .....
মনে পড়ে সেই সব দিন ....?
হলুদ শাড়ীতে
**************

আজ সরস্বতী পুজো
অনেক দিনের একটাই প্রত্যাশা ,
তোমার শাড়ি পড়ে বৌ সাজা l
সকাল সকাল কনকনে ঠান্ডায়
স্নান ........অনিচ্ছায় ,
তোমার মধ্যাকর্ষণ টানে যে
মন তোমার কাছেই বারবার ছুটে যায় l
সকাল সকাল তাই স্কুলে তে আসি
আজ বলবোই "তোমায় আমি সত্যি খুব ভালোবাসি "
অমি বসে আছি স্কুলের বারান্দায় ,
কখন আসবে তুমি ?
রাস্তার পানে তাই চোখ দুটি বারেবারে চায় l
সবাই চলে এসেছে
শুধু তুমি আসোনি ,
তোমার জন্যই বসে আছি
অঞ্জলী যে এখনো আমার দেওয়া হয়নি l
বেলা যে ও গো বয়ে যায় ,
এখনও বসে আছি তোমার প্রতীক্ষায় l
রীনা ,বিনা ,দিপালী ,মৌমিতা ,
রুম্পা ,ঝুম্পা ,সান্তনা ,সঙ্গীতা l
সবাই এসেছে ,শুধু তুমি আসোনি ,
তোমায় দেখবো হৃদয় ভরে
তবে কি বিফল প্রত্যাশাখানি l
"কি রে মুখটা কালো করে কেন বসে ?
যদি সে আজ না আসে ?"
এমন সময় আমি অন্যমনস্ক
"নাহ্ আর যায় না যে থাকা "
হটাৎ হৃদপিন্ডে রক্ত চাপ বেড়ে যায়
সামনে তুমি ,আমি ভ্যাবাচ্যাকা l
কি একটা বলবো ভেবেছিলাম
মাথায় স্নায়বিক তরঙ্গে চুম্বকীয় আবেশ ,
ইসস্ ভুলেই গেলাম
তবে হলুদ শাড়িতে তোমায় লাগছিলো বেশ l l

(৬ )
মাঝে মাঝে এমন হতো ....তার সামনে দাঁড়ানোর সাহস যেনো উড়ে যেত
তাকে সেই প্রথম প্রেম পত্র পাঠানো ...আর তার নিস্তব্ধতা ....কেমন একটা দোটানা অনুভূতি ...হঠাৎ তার কথা না বলা ..

#একলা_বিকাল
*****************

গৌধূলি বিকেল ,আকাশে সিঁদুরে মেঘ
মনের ভিতর ধূসর মরুভূমি
"শূন্য "তোমার মনের গাণিতিক সমাধান l
নীল আকাশের সাথে কথা কই
সন্ধ্যা নামে , গরুর পাল নিয়ে আজও
বাড়ী ফিরছি ...শুধু ছন্দহীন কবিতায়
শালিক ফিরেছে বাসায়
নাহ্ ! বকও ক্লান্ত ,প্রতীক্ষায় থেকে থেকে
মাঠের শেষ প্রান্তে একটা সিঁদুরে
মেঘের আড়ালে সূর্য্যের বিদায়
"আজ পাঁচ দিন কথাহীন তোমার সাথে "
তুমি জেনেছ তাই ......
পেনবাক্সএ রেখেছিলাম চিঠি
" তোমায় ভালোবাসি "
তুমি নির্বাক ....আমি আর তোমার
সামনে দাঁড়াতে সাহস পাই না
তোমার থেকে কোন উত্তর নেই কেন ?
আমি বুঝি না l l



(৭)
কখনো কখনো ...এমন হয় যে প্রিয় মানুষটার সামনে যেতে লজ্জা লাগে
প্রপোজ করার পর তার সামনে দাঁড়াতে পারি না ...তখন কেউ একজন ইন্টারমিডিয়েট এর কাজ করে

#তোমার_উত্তরের_প্রতীক্ষায়
****************************

যতো দিন যায় আমার ডায়রী খাতাটা
আস্তে আস্তে ভর্তি হয় ,
তোমায় লেখা না পাঠানো চিঠি গুলো
আমার রোজ খেলনা বাক্স এ পরে রয় l
আজ চার মাস কথাহীন
নীরব মোদের পৃথিবী,
কতটা ভালবাসি একদিন
ঠিক বুঝবে জানি l
কাল যখন আমার সামনে দিয়ে গেলে ,
হৃদয়ে এলো ঝড় ,একটা ভয় মেশানো ভাললাগাতে আমায় ভরে দিলে l
তোমার কথা অনেকের কাছে
আমি করি জিজ্ঞেস ,
এখন তাই জয়ন্তীই আমাদের ইন্টারমেডিয়েট l
কত চিঠি পাঠাই তার হাতে
সে বলে তুমি পড় কিন্ত নো রিপ্লে ,
অপ্রকাশিত যন্ত্রণায় তাইতো হৃদয় জ্বলে l
আর কতো দিন বলো থাকবো
তোমার উত্তরের প্রতীক্ষায় ?
কত দিন কত রাত যে ওগো
একলাই চলে যায়.......l

(৮)
প্রিয় মানুষটার সাথে কি ঝামেলা করে ঠিক থাকা যায় ?
যায় না নাহ্ !....কেউ পারে না থাকতে
তাই .....
#নতুন_করে
*************

গাণিতিক সমস্যা গুলি যেমন সচ্ছ
সমাকলনের প্রমাণ ....
নির্দিষ্টের মধ্যে লুকিয়ে থাকে নির্দিষ্ট মান l
ত্রিকোণোমিতির sin,cos ,tan θ (থিটা )
উপপাদ্যটা বুদ্ধির খেল কিন্তু সোজা l
আমি গাণিতিক জগতে বিদ্যমান
বাস্তবে দ্বিঘাত সমীকরণের মান
চেয়েও না পাওয়া,কিংবা অন্য সমাধান l
"ম্যাথটা করে দে না "
পুরনো এক স্বর এলো কানে
তুমি যে সামনে থাকবে সেটা কে যানে ?
সমপাদ্যের সূক্ষ মানে গন্ডগোল l
আঠারো মাস পর কি তোমার হৃদয়
গলে হলো অবশেষে জল ?
আমি ভূগোলের জোয়ার ভাঁটার অন্তরে
করেছি ভুল ,সেটাতো চব্বিশ ঘন্টায় দু বার হয় ,
ম্যাথ করে দিলাম চটপট তোমায় খাতায় l
তুমি "thank u "বলে যাচ্ছিলে চলে
এতো দিন পর কি নিমজ্জিতমান হিমশৈল কি গেল তাহলে গলে ?
"ওই শুন না .." ..".কি .....?"
ইসস ...আবার গেলাম ভুলে
"পাগোল "বলে গেলে চলে ....
নতুন নয় পুরনো সুর কিন্তু নতুনত্বে ভরা ,
হৃদয়ের হালকা ভয় মেশানো অনুভূতিরা ,
আবার দিল বুঝি নতুন করে ধরা l l


(৯)
বেনামী চিরকুট
**************
পর্ণমোচীর পত্র ফলন শেষ,
আকাশে টুকরো কুয়াশার আবেশ l
কোকিল ডাকে যে কহু সুরে,
তুমি আছো যে প্রিয়া আমার পুরো হৃদয়টি জুড়ে l
মনের মৃত অরণ্য যে পেল জীবন ,
ফুলে ফুলে ভরে গেছে সারা বন l
গান পেল সুর ...মনের কবিতায় এলো ছন্দ ,
"কি গো ?
কি ভাবছো এতো ? তোমার মনে কি
আমায় নিয়ে চলছে এখনো দ্বন্দ্ব ?"
অভিকর্ষ টানে বেঁধেছো যে আমায় তুমি ,
নাহ্ ! ছুটে যেতে পারি না মুক্ত বেগে আমি l
শিরায় শিরায় মধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের প্রবাহ তোমার ,
সত্যি বলছি
তোমায় ছাড়া কাউকে ভাবি না আরl
তোমার চুম্বকীয় টানে আবেশীত যে মন ,
হালকা ভয় মেশানো অনুভূতিরা খেলে হৃদয়ে ,
পাশে দিয়ে যাও তুমি যখন l
আমার পেন বাক্সে বেনামী চিরকুট উদ্ধার,
"পাগলামি করছো কেন তুমি আবার ?"
"আমি ছিলাম তোমার ,আছি এখনো তোমার "
আমার মনে ফাল্গুনী পূর্ণিমার আগমন ,
এতো দিন পর ভাষা পেলো বুঝি মন l
"আরে একি ?এটাতো তার হ্যান্ডরাইটিং না "
মনে আবার তৈরী হলো আর একটা ধোঁয়াশা l l


(১০)
হোলি এর সময় প্রিয় মানুষটাকে রং মাখানোর একটা ইচ্ছা থাকে l তার নরম গালে রং মাখিয়ে ভালোবাসার রঙ্গে রঙ্গিন হতে চায় মন
#হোলি_হে
**********
এলো রে রংএর বাহার
জানালা বন্ধ ,দরজা বন্ধ
চুপটি করে বসে কেনো প্রিয়া আমার
রাধা তুমি ,কৃষ্ণ আজ যে আমি
রং মাখাবো তোমায় যে আজ
বসে আছো কেন হয়ে অভিমানী ?
সব কিছু আজ খুশির রংএ দেবো রাঙ্গিয়া ,
প্রেমের রংএ ভরিয়ে দেবো ওগো আজ কে দুনিয়া l
মন আজ যে মাতোয়া ..বসন্ত উৎসব ,
এসো ওগো প্রিয়া অভিমান ভুলে সব l
 আর বসে না থেকে এসো
একটু রং তোমায় লাগাই
মোদের এই ভালোবাসার পৃথিবীটাকে
আরও রঙ্গীন করে সাজাই l
এই নাও রং ,আমায় মাখাও বেলা বয়ে যায় যে ,
প্রাণ খুলে ,হাসি মুখে বলো হোলি হে l l

(১১)
কখনো কখনো এমনও সময় আসে প্রিয় মানুষটাকে ছেড়ে দূরে চলে যেতে হয়
কিছু করার থাকে না ...তখন শুধু একটাই সান্তনা ..দিয়ে প্রিয় মানুষের মুখে একটু অশ্রু মিশ্রিত হাসি দেখতে চায় ...আর বলা হয়
#অপেক্ষা_করো
******************

তুমি ভালো থেকো ,ডায়রি খাতার পাতায়
আমি অন্ধকার আকাশের ঘুমঘুম জ্যোতিষ্ক
তোমার কক্ষপথে বিচরন l
মাধ্যমিক পরীক্ষাটাও শেষ
বাবা বললেন মেদিনীপুর যাও
বাড়ীতে আর রাখা যায় না
একটু শুধরে আসবে ,গুরুকুল জীবন l
তোমায় প্রতিদিন জ্বালানো আর
অগ্নি বাষ্পের নির্গতন তোমার চোখে
অসম্ভবের ....কিছু ভালোলাগা
মনে বসন্ত ডাকে "পাগল একটা "
আজ অবসান ...হয়তো গল্পটা এখানেই শেষ l
তুমি ভালো থেকো ...নিয়ে আমাদের
চাঁদ আকাশের গল্প ..
সঙ্গী শুধু স্কুলের স্মৃতি
আমি নিরুদ্দেশ l
কিন্তু তুমি যে ব্লাড সার্কুলেশনের
জোয়ার ভাঁটার বর্তমান ...আর থাকবেও
ফিরে যদি আসি কখনো
দেখা হবে l
আর হ্যাঁ মাঠে যেও কিন্তু
বিকালের গোধূলি সন্ধ্যায়
হয়তো আমায় পাবে ....অনুভবে l
মেঘের আড়ালে হারিয়ে যাবো
বেঞ্চে যে নাম লিখেছিলাম
ওটাই কথা বলবে দেখো ..আমার
শুধু তুমি ভালো থেকো
বৃষ্টিতে ভিজে ...নিয়ে অভিমান মিছে মিছে
কোনো এক কাক ভোরবেলায়
ফিরবো ...একদিন
তুমি অপেক্ষা করো l l

(১২)

#কেমন_আছে ?
*****************

দিন কাটে ,রাত কাটে ,সময় যে বয়ে যায়
নিমেষেই কত কথা গল্প হয়ে যায় l
সেই কবে ...কতো দিন দেখিনি
আমাদের সেই পশ্চিমের মাঠ
আচ্ছা এখনো কি গোল্লাছুট খেলে
বরবউ খেলা হয় ? আম গাছ থেকে
পরে গিয়ে দীপুর যে হাত ভেঙ্গে ছিল
গাছমাছ খেলা ..ঠিক হয়েছে ?
দূপুর রোদে শিমুলডাঙ্গায় মাছ ধরতে যেতাম
মায়ের বুকুনি ..তবুও ঘুড়ি উড়ার নেশা ...
ডাংগুলি হাতে ....এখন সব ঝাঁপসা l
মনে কি পড়ে তোমার কখনো আমাকে ?
আনমনে ভুল করেও একবার ?
ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চে বসে করতাম ডিস্টার্ব
বিরক্তকর ...সেই অংকের স্যার ক্লাস নেয় ?
স্পোটের সময় ক্লাস নাইনয়ের ছেলেদের
সাথে সে কি মারপিট ফুটবল খেলায় কেমন আছে ক্লাসের বেঞ্চগুলি
পরীক্ষার একমাত্র সম্বল l
লোহাগঞ্জের চৌরাস্তায় এখনো দাঁড়াও ?
অপেক্ষা করতে আমার জন্য ..
এখনো করো ?
তুমি কেমন আছো ?
নিশ্চই মোটা হয়ে গেছো আগের থেকে ?
চুলে ফিতে এখনো বাঁধো ..লাল ফিতে ?
সরস্বতী পুজোয় শাড়ি পড়েছিলে এবার ?
হলুদ শাড়িতে তোমায় কিন্তু দারুণ মানায় l
কেমন আছে আমার টগর ফুলের বাগান ?
ফুল ফোটে ?প্রজাপতি আসে মধু খেতে ?
মায়ের কোলে মাথা রেখে অনেক দিন ঘুমাইনি জানো ?
বাবা যে পড়তে না বসলে ধমক দিতো
আর আমি তো কেঁদে একাকার ..
মায়ের কাছে করতাম নালিশ
বাবাকে বকে দিতো ....
অনেক দিন মা কে নালিশ করিনি l
কেমন আছে তোমার ভুলু ...?
এখনো কি কামড়ায় আগের মতো ?
কালবৈশাখী ঝড়ে আম কুড়াতে যাও ?
ইসস্ সেবার মাথায় আমের ডাল ভেঙ্গে পড়েছিল
সে কি ব্যাথা ...বিছানায় ছিলাম তিনদিন l
আজ এই বৃষ্টির দিনে খুব ভিজতে ইচ্ছে করছে
আমার কয়েক ফোঁটা অশ্রু বৃষ্টিতে মিশে গেছে
স্মৃতির পাতায় ....
কেন জানি না মাঝে মাঝে
আমার ভিতরে অঝোরে বৃষ্টি হয় l

(১৩)
আমি_ফিরেছি
*****************

দেখতে দেখতে পাঁচ পাঁচটা বছর কেটে গেল
তুমি হয়তো ভুলেই গেছো আমায়
আমার অস্তিত্বের যে নির্দশন
আজ হয়তো ধুয়েমুছে গেছে ...বৃষ্টির জলে l
আমি বাস্তবটাকে কল্পনায় আঁকছি
বদলে যাওয়ার .....নিশ্চই বদলে গেছে সব ?
লোহাগঞ্জের সেই চৌরাস্তার মোড়ে
নিশ্চই জমজমাট হয় এখন ?
অনেকদিন পর বাড়ি যাওয়ার আনন্দটাই আলাদা
কল্পনারা মেঘের আড়ালে জমে
"টুপটাপ করে বৃষ্টি পরে
আমার ধানদূর্বার মাথায়
 আমি শিউরে উঠি খেঁজুর পাতার মতো
কালবৈশাখী ঝড়ে যেমন কাঁপে l "
চারটায় বালিচকে ট্রেন ..
জিনিসপত্র যা নেওয়ার নিয়েছি
আস্তে আস্তে সূর্য্য বিদায় জানাল
আমি স্মৃতির আধখানা চাঁদ হয়ে
সন্ধ্যায় উঠছি ...সরেসরে যাচ্ছে
মাঠ গাছপালা বাড়িঘর ....সময়টা তো
অনেকটা বয়ে গেছে ....সবার অলক্ষ্যে l
হাওড়াতে দাদা এসেছিল ...সেও বাড়ি যাবে
আমায় দেখে জড়িয়ে ধরলো
"অনেক বড়ো হয়েছিস তো
সেই ছোট্ট বেলায় দেখেছিলাম "l
নটায় শিয়ালদহে ট্রেন ...গৌড় এক্সপ্রেস
ট্রেনে ভিড় ভালই ছিল জেনারেল কোম্পর্টমেন্ট
যায়গা পেয়েছিলাম বসার ...
চোখ লেগে এসেছিলো ..ক্লান্ত ছিলাম
অনেক কাজ করেছিলাম যে l
"উঠরে ..মালদা এসেছি "
চোখ মুখে জল দিলাম ...
পুব আকাশে সূর্য্য উঠেছে ...
ট্রেনের চিমনীর ধোঁয়ায় আকাশটা
পরিষ্কার দেখলাম ...পাখি উড়ছে ট্রেনের
সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার বিফল প্রচেষ্টা l
গঙ্গারামপুর স্টেশন ..দাদাকে বললাম
"ঠিক যায়গা তো ?" সব যে অট্টালিকা
ট্রেগারে চেপে চল্লিশ মিনিট ..
"একি এটা কোথায় ?এটা কি সেই চৌরাস্তার মোড় ?"
চিনতে পড়লাম না ...বদলে গেছে সব
পা রাখলাম ...বাবা এসেছিলো নিতে
বাবাতো অবাক "এক নম্বর দুষ্টু ছেলেটা
কি করে এতো শান্ত হলো ?
সাদা পোশাকে ,মাথায় এতো বড়ো টিকি
থাকলে কে চিনবে বলো ?
চেনা রাস্তা ..সেই আমের বাগান নাহ্
সেই পশ্চিমের মাঠ ...
সব একই আছে শুধু বদলে গেছি আমি l
আমায় পেয়ে মায়ের চোখে জল আনন্দধারা
পাড়ার অনেক লোক জমে গিয়েছে বাড়ীতে
"বেশ মানিয়েছে সাদা পোশাকে
সন্ন্যাস নাকি ?
"নাহ বাহ্মচর্য ..."
ভিড়ে মাঝে ছিলে কি না মনে নেই
আসলে চিনতে পারিনি তোমায় ...l

(১৪)
#হঠাৎ_দেখা

পথ চলতে চলতে ....আজ রাস্তা ঠিকানাহীন
চলেছি অচিন ঠিকানায়
মৃত স্বপ্নের লাশ হাতে নিয়ে
স্মৃতিরা পুড়ে গেছে কবে তপ্ত রোদে
" নাহ আর বৃষ্টি হয়নি কখনো
ভিজেনি আর বৃষ্টিতে ...আমার মরু উদ্যান l "
লিটমাস পেপারের রং বদল
pH মিটারে মেপেছি জীবন l
আণবিক সামঞ্জস্যতায় সমবায়বতা
ঠিক থাকার দুর্নিবার সংগ্রামে l
পাঁচ বছর হিমবাহের সঙ্গে মিশে ছিল
ভালোবাসা ....নাহ শুষ্ক বাতাসে
বাষ্পীভূত হয়নি আর আগের মতো
শুষ্ক নদীর শেষ চিৎকারে
হঠাৎ তোমার দেখা ....
টুপটাপ শব্দ শুনতে পেলাম
চোখের কোনায় বৃষ্টি দু ফোঁটা l
আমার হঠাৎ পরিবর্তনে l
স্বর্ণ লতা এসে জড়িয়ে ধরলো
আমায় ....কিছু বুঝার আগে l


(১৫)
তোর জন্য

তোর জন্য আজ প্রদীপ জ্বালালাম সন্ধ্যা বেলায় ,
ভুল করে তোর যেন পথ না হারায় ।
তারারা বাজায় আজ সানাই শর্বরী ,
তোর জন্য পাঠালাম মেঘের তরী ।
তুই আসবি বলে পথ চেয়ে যে থাকি ,
গৌধূলি বেলায় মেঘের আড়ালে তোরই ছবি আঁকি l
তোর জন্য ঘাট থেকে জল এনেছি আমি ,
পাখির ডাকে শুনতে পেলাম তোর আগমনী l
তোর জন্য বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে ,
অঙ্গে অঙ্গে মোর তোকে ছোঁয়ার অনুভূতি জাগে ।
তোর জন্য কতো বার বৌ সাজি গোপনে ,
তোর জন্য কোকিল ডাকে ,ফুল ফোটে যে মনে ।
আমার আকাশ হারিয়ে সাজিয়েছি তোর আকাশ খানা ,
তোর জন্য ইচ্ছেমতীর বাঁকে মেলেছি আজ ডানা ।

(১৬)
#তুমি_ও_আমি_মিলে

চলো আজ তুমি ও আমি মিলে
পাখা মেলে যাই দুজনে উড়ে
রূপকথার দেশে কিংবা অচিন ঠিকানায়
চাইলেও কেউ যেন মোদের খুঁজে না পায় l
চলো আজ রামধনু রং এ যাই মিশে
ওই সাদা মেঘে চলো যাই ভেসে
তুমি খেঁজুর পাতা হও আমি বাতাস
আমি যখন বইবো তুমি মাথা নাড়বে
তোমার অনুভবে আমি নেবো দীর্ঘশ্বাস l
কিংবা গ্রীষ্মের তপ্ত দহনে ফুটবে তুমি চম্পা হয়ে
আমি ওগো স্রোত হবো ...
তোমার বুকে যাবো বয়ে l
বাদল ধারায় ঝরবে বলো বৃষ্টি হয়ে তুমি
তপ্ত দিনে আসবে বলে অপেক্ষাতে থাকবো আমি l
কান্না হাসির মজার দেশে
থাকবো মোরা ভালবেসে
ভালবাসায় ভুলে যাবো যন্ত্রণা গুলো সব
তুমি আর আমি মিলে
চলো পেরিয়ে যাই আজ এই ছায়াপথ l l

(১৭)
ভালোবাসা  কি অপরাধ
*****************
কাউকে ভালোবাসা কি অপরাধ ?
কেন ট্যেরা চোখে দেখে তবে সমাজ ?
তোমার আমার সম্পর্কটা জানাজানি হয়
তোমার দাদা লোকজন নিয়ে এসে
আমায় ধমকি দিয়ে যায় l
বাবা আর বাবু বলে ডাকে না
মাও কেমন চুপচাপ ..
যেনো করেছি কোনো গুরতর অপরাধ l
তোমায় ভালোবেসে ...
বিকাল বেলায় মাঠের দিকে যাই
তুমি আর আসো না ..
তোমায় নাকি ঘরে বন্ধ করে রেখেছে
তোমায় ছাড়া ওগো থাকা যে আর যায় না l
সন্ধ্যা নামে সূর্য্য ডুবে ...
নিদ্রাহীন কাটে যে রাত ..
অজান্তেই হয় যে প্রভাত l
তোমার জানালার কাছে সেই রাতে
যখন গেলাম তুমিও নিদ্রাহীন
তোমার পিঠে দেখালে রক্তের দাগ
আমায় শিহরিত করল
ভালোবাসা কি সত্যি অপরাধ ?

(১৮)
অপেক্ষা করো একটু
**************
পালিয়ে যাবো বলে করলাম পরের রাতে
তুমি হয়তো জানালা ভেঙ্গে এসেছিলে
আমার জন্য অপেক্ষাও করেছিলে
আমি ছিলাম নিরুদ্দেশ
চাকরিটা হয়ে গিয়েছিলো
বাবা জোর করে সকাল বেলায়
মায়ের দিব্যি খাইয়ে .
দিল পাঠিয়ে কলকাতায় ...
সবকিছু হলো এক নিমেষেই শেষ l
আমি আসবো ফিরে ..
এক মাসের মধ্যেই
গুছিয়ে নেই সবকিছু
তুমি না হয় অপেক্ষা করো
আমার জন্য আর একটু l l

(১৯)
#অপেক্ষা_করেছিলাম
আমি অপেক্ষা করেছিলাম
একটা হিমালয়ের জন্য ..
আমি অপেক্ষা করেছিলাম
একটা সিঁদুরে মেঘের জন্য ...
সূর্য্য ডুবেছিল ...গৌধূলি বেলায়
দিনশেষে নেমে এসেছিলো আঁধার l
আমি অপেক্ষা করেছিলাম ..
একটা আশ্রয় ...একটা নিদ্রাপূর্ণ রাতের
তোমার আমার পৃথিবীতে ছোট্ট একটা আকাশ
সাত সমূদ্র তেরো নদী পেরিয়ে এসেছিলাম
একটা নীল পদ্মের জন্য ...l
একটু ভালোবাসা পাবো বলে .
মনের ইচ্ছার স্বধীনতা ...l
তুমি এলে না ..
আমি তবুও বসেছিলাম স্টেশনে ..
তুমি আসবে বলে ....আসোনি
বৃথা প্রতীক্ষা আমার l
অশ্রু বাষ্প হয়ে উড়ে গিয়েছিলো
 মস্তিষ্কে স্নায়বিক আন্দোলনে
শিরাউপশিরায় হয়েছিল সুনামি
না তবুও তুমি আর আসোনি l
তবুও অপেক্ষা করেছিলাম আমি l l

(২০)
#ঝাঁপসা_কাঁচে

ঝাপসা কাঁচে শিশিরের প্রলেপ
আয়নায় প্রতিচ্ছবি ...ডিমলাইটের
আলোয় দেখলাম একটা সমুদ্র
আমি হাতড়ে বেড়াই ডুবুরীর বেশে
মুক্তা খুঁজি ...প্রবাল কীটে.....l
সবটা গুছিয়ে ভবিষ্যৎ কে করেছি
স্বপ্নের তাজমহল ...স্বপ্ন দিয়ে l
বাড়িতে ফেরার পথে ...
তোমার ঝাপসা মুখটা দেখি
একটা বিয়ের গাড়ির জানলার আড়ালে
আমারি ভুল ছিল সেদিন তোমায় কথা দিয়ে
নিরুদ্দেশ হয়েছিলাম আমি
ঝাঁপসা আলো ...ঝাঁপসা পথ
সেদিন কিছুই ছিল না যে আমার
আজ আছে ..শুধু তুমি নেই
মুখটা আজও তাই ভাসে কাঁচের
শিশির ভেজা ঝাঁপসায় l l

(২১)
ভালোবাসার মানুষটি যখন কথা রাখে না ,যখন প্রিয় মানুষটা কথা দিয়ে ছেড়ে যায় ,ভালোবাসাটা তখন কিন্তু থাকে না
একটা দম চাপা অভিমান তখন হিমালয় বা চীনের প্রাচীর হয়ে যায়  তারপর
যেখানে সে নেই
************
যেখানে খোলা আকাশ ,যেখানে একলা বাতাস
গায় বেঁচে থাকার গান l
যেখানে আধমরা এই মনটা ফিরে পাবে প্রাণ l
স্মৃতির পাতায় লিখে রাখা সব কথা
পড়লে মনে দেবে না যে আর ব্যাথা l
স্বপ্নরা আর দেখাবে না তার মুখ
কোথায় গেলে পাবো বলো এই সুখ l l
জানালা জুড়ে রোদের খেলা
সূর্য্য কবে ডুবে গেছে, বয়ে গেছে বেলা l
শিশিরে কণায় মিশে গেছে মন
আমিও ভুলে যেতে চাই তার মতন l
বিকালের সেই একসাথে চলা
চোখে চোখ রেখে না বলা ,কথা বলা l
এমন এক ঠিকানায় মন হারিয়ে যেতে চায়
সারা পৃথ্বী খুঁজলেও যেনো সে আমায় না পায় l
যে রূপকথায় জমে না মেঘ
চোখে আসে না জল
যেখানে সে নেই এমন একটা গল্প বল
মনে যেনো না পরে তাকে
চোখে যেনো না আসে আর জল l l






(২২)

এর পর দু বছর কেটে গেছে
অভি আর বিয়ে করেনি
টুকরো স্মৃতির মাধুর্যতা নিয়ে আছে
ভালোবাসা কিন্তু মরেনি
বাবা ,মা অনেক বার বিয়ে দেওয়ার
চেষ্টা করেছিল ...নাহ রাজি করানো যায়নি l
গ্রাম থেকে একবারে কলকাতায় চলে এসেছিলো I
তার কথায় সে নীলাঞ্জনাকে ছাড়া
আর কাউকে ভালোবাসতে পারবে না .l
একদিন ......

#বদলে_ফেলেছি_রং

রাস্তায় জমাট ...ভিড়ে ..কাগজের নীড়ে
মুখ খুঁজি ...একটা মুখ
গড়িয়া হাটের মোড়ে বা ঢাকুরিয়ায়
শুকনো পাতায় শিশিরের কণা
বেনামী চিঠির ভাঁজে গল্প লেখা
তোমার সাথে এভাবে হবে যে দেখা
আমি ভাবিনি ...আমি ভাবতেও পারিনি l
প্রথমে তোমায় চিনতে পারিনি
চোখ গেছে জ্বলে ..একদিন অশ্রু ফেলে ফেলে
পুরোনো ক্যানভাসে তোমার ছবি
এখনো তোমার চোখটা যে আঁকা হয়নি
তোমার চোখ আঁকতে গেলে
এক শ্রাবণ মেঘ লাগবে ...l
আজও পড়ে আছে ...ওভাবেই l
আমি বদলে গেছি জানো ..
অন্য কোনো রং এ আবার ছবি আঁকতে শিখেছি ...l
(২৩)
যখন প্রেম একদিকে আর অন্য দিকে পরিবার ,একদিকে স্নেহময়ী মা এর আচল অন্য দিকে
প্রেমিকার চুমু …….. কোন দিকে যাবে বলো তুমি ?
#কিছু_করার_ছিল_না_আমার
****************************

ফের ভাইরাসের আক্রমন
ফের আক্রান্ত শ্বেতরক্তকনিকা
তাও কি ইমিউনোসিস্টেমে ভারস্যাম ঠিক আছে ?
তবে সাইক্লোনটা ব্লাডব্রেন বেরিয়ারে
সোডিয়াম -পটাশিয়াম পাম্প ব্লক ..
নিউরোনে ..ইলেকট্রিক শক ..।
অতীতটা ফের ...বাস্তবতায় শব্দ তরঙ্গ ।
সাপ লুডো খেলছে ..দফায় দফায় পদস্খলন ।
তবুও নীলাঞ্জনা ..ভুলতে পারিনা তোমায় ।
ভাবছো তুমি ...ধোকা দিয়েছি আমি
দুরে সরে গেছি ..কেন্দ্র থেকে অনেটা দুরে।
প্রতিদিন খয়ে খয়ে চকমকি পাথর
জ্বলেছে আগুন ..গভীরে
নাহ্ ..বোঝাতে তোমায় পারবো না
শব্দমালা ..নেই বোঝা বার
আমার কিছু করার ছিল না সেদিন
হিসাবটা বদলে গিয়েছিল দ্বিঘাত সমীকরনে
সত্যি-মিথ্যার অংকটা না হয় মিলিয়ে নিও
যদি আনমনে কোনোদিন মনে পড়ে আমায় ।।



(২৪)
#আবার_ভুল_করি
********************************
কেমন আছো ?
ভুল করে কখনো আমায় মনে পড়ে?
একবারও মনে পড়েনি ?
জানো তোমায় ছেড়ে এই কলকতায়
এসে নিজেকে জানতে পেরেছি
আমি ফিরে তো গিয়েছিলাম তোমার
 কাছে ..না তুমি ফিরে আর আসোনি
ঠিকই করেছো ..ভবঘুরে পাগলটা
আজ অনেকটা মানুষ হয়েছে ।
এই জনস্রোতে মিশে গেছি এট লাস্ট।
নাহ্ গো আর চলন্ত বাসে উঠতে বা
লোকাল ট্রেনে ঝুলতে কষ্ট হয় না
মেট্রোর দমচাপা ভিড়ে ঠিক নিজের জায়গাটা
করে নেই রোজ ..এই সময়ের হাইওয়েতে ।
অপিসে অনেক কাজ ব্যস্ত জীবন ।
হ্যাঁ জানো ঠিক তোমার মতোই
জয়িতা ..খুব কথা বলে ..।
জয়ি বলেই ডাকি আমি
বাপ-মা নেই দুই বোন আর এক ভাই
ভাইটি ছোট্ট, ক্লাস ফাইভ
মনে আছে তোমার ক্লাস ফাইভের কথা
তোমার পেন বাক্সটা এখনো আমার ড্রয়ারে ।
আমার সাথেই কাজ করে তবে ..জুনিয়র ।
মাঝে মাঝে ভুল হয়
"নীলাঞ্জানা" বলে ডেকে ফেলি তাকে।
ঠিক তোমার মতো অভীমানি চোখে
আমার দিকে তাকায় ...আবার ভুল করি তখন।।



(২৬)
প্রেম যয় ,প্রেম আসে ….. আবার ভালো লাগে কাউকে ,ভালোবাসে ফের অতীত কে ভুলতে
ভুলে কি কেউ যায় বলো …… ?
ঠিক তোমার মতো
হ্যাঁ গো ঠিক তোমার মতোই জয়ি
জোড় করে রাখি পড়িয়ে দিয়েছে আমায়
ঠিক দশটা বছর পিছনে
তুমি সেবার রাখি পড়াবে সবচেয়ে দামী
রাখিটা এনেছিলে ,তেমনি জয়িও এনেছিল
আর খুব শক্ত করে বেঁধে ঠিক তোমার
কথা গুলোর পুণরাবৃত্ত
"এই যে রাখিটা পড়ালাম ...
কেন জানো ?
কেন ?
কোথাও কখনো যদি হারিয়ে যাই
যদি কোনো দিন তুমি আমায় ভুলে যাও
কমসে কম আজকের এই দিনটায়
তোমার হাতে যখনি কেউ রাখি পড়াবে
আমায় মনে পড়বে ।"
হ্যাঁ তোমায় তো সব সময়ই মনে পড়ে আমার
আজ জয়ি সেই জায়গাটা করে নিল ….. ।






(২৭)


বেশ ভালো আছি

হ্যাঁ গো খুব ভালো আছি আমি
কেমন আছো তুমি ?
আমায় মনে পড়ে ?ভুল করেও কখনো ?
জানো আমার স্বামী খুব ভালো মানুষ
তুমি যে সেই ছোট্ট বেলায় পুতুলটা দিয়েছিলে
জন্মদিনে ..এখনো অক্ষত ।
বিয়ের পড় নিয়ে এসেছি সেটাকেও
ও সব জানে ..তোমার কথা ।
সেই তোমার হারিয়ে যাওয়া
আমি প্রতীক্ষায় স্টেশনে ,পালিয়ে যাওয়ার জন্য
নাহ্ তুমি তো আসো নি
আমি অপেক্ষা করেছিলাম তবুও ।
ফিরে তো আর আসোনি তুমি কথা দিয়ে ?
বাবা বিয়ে ঠিক করল ,আমি না করিনি
কার ভরসায় থাকবো বলো ?
যে কথা দিয়েও ,কথা রাখে না ,
তাকে ভরসা করা কি যায় ?
আজ ভালো আছি ,
আজ নতুন জীবনের ছবি রোজ আঁকি
ছোট্ট সংসার ,তিন জন সদ্যস
তুমিও তো বলতে আমাদের ছোট্ট একটা
সংসার হবে ,তুমি আমি আর একটা ছোট্ট সোনা ।
ঠিক তেমনি তোমার মতো করেই সাজানো
ও হ্যাঁ আমার একটা ছোট্ট সোনাও আছে
নাম দিয়েছি অভি ..তোমার ডাক নাম
আমার দেওয়া ..,নিশ্চয়ই তোমারও
ছোট্ট সোনা হয়েছে ,ছেলে হলে নীল
আর মেয়ে হলে অনি , তাই তো ?
নাকি নীলাঞ্জনা রেখেছো নাম ?
নাহ্ কেন রাখতে যাবে বলো ?
ভালো তো তুমি বাসোনি আমায়
যে ভালোবাসে সে কি কখনো ছেড়ে যায়?

(২৮ )
দশ বছর পর ……..
আবার একদিন

#ডাক_নাম
অনেক দিন পর দেখা হলো হঠাৎ,
শিয়ালদা স্টেশন এ ভিড়ে মাঝে
হঠাৎ ,একটা খুব চেনা হাত ছুঁয়ে গেল ।
মৃত সেই চেনা স্পর্শ গুলোর জীবাশ্মে ঘাস ফুল ॥
ভুল হল বুঝি আমার ,পুরোনো অভ্যেস যায়নি বুঝি এখনো ??
দেখলাম সেই পুরোনো তুমি
এই নতুন আমিকে ফের ডাকলে ,ডাকনামে .....
তুমি শুধলে "কেমন আছি আমি ?"
বল্লেম ভালো আছি আগের থেকে অনেক
"চশমাটা পাল্টাও নি এখনো "
"নাহ ! এখনো সব দেখতে পাই পরিষ্কার
চশমার আড়ালে সব, চলে যাওয়া দিন গুলিও ॥"
তুমি চুপ করে রইলে শুধু ,
আমি বল্লেম " বিয়ে করেছি ,একটা ছেলেও আছে "
নাম রেখেছি "অপু " তোমার দেওয়া ডাক নাম
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললে "ট্রেন চলে এসেছে,যাই ??"
যাবার বেলায় বলে গেলে " ভালো থেকো অপু "
ভিড়ের মাঝে আস্তে আস্তে হারিয়ে গেলে
দার্জিলিং মেল ,দশটা দশ ..... ॥


(চলবে )
সংক্ষিপ্ত …