এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮

জীবনাঙ্ক



                @জ্যোতির্ময় রায়

##
ছক কাঁটা সমীকরণে  উত্তর মেলেনি কারো
দিগন্তে সূর্য্য ডুবে গেছে
চোশমার আড়ালে খোঁজে গোধূলির আলো ।।
কাটাকুটি খেলায় বাদ দেবার কঠিন হিসাবে
স্বপ্নরা অর্ধমৃত ।।

##
ভালোবাসার চাওয়া পাওয়ার হিসেবে
জীতে নেওয়া মন ..
দূর থেকে আরো দূরে চলে গেছে
বুঝতে পারেনি কেউ ,নিকোটিনে
পুড়েছে কখন ।।

##

সহজ সরল গণিতে গুন আর ভাগ
যোগ বিয়োগে ..চলে যাচ্ছে সময়
ব্যস্ত তুমিও নদীর মতো
না বলা কথার পাহাড়ে জমেছে যন্ত্রনার  বালুচর
চোখের সামনেই প্রশ্ন জাগে
আপন কে ছিল তোমার ?কে হলো পর ?

##
জটিল রাশিতে আবার জ্যামেতিক পরিমাপ
অতীত থেকে স্মৃতি টেনে ,ভবিষ্যতের করছো হিসাব।
নিজের কাছেই প্রশ্ন করছো ,খুঁজছো উত্তর
মিলছে না অঙ্ক তবুও ,অনেক কাঁটাকাটিরও পর ।।

##
 জটিল রাশিটাকে করে নাও সহজ
উৎপাদকে বিশ্লেষণ হোক কষ্ট গুলোকে সব
বর্তমানকে ভালোবাসতে শেখো
             এটাই যে বাস্তব ।।

শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

একটি suicide note

আমি নষ্ট দুহিতা
-----------------:--------

একটি suicide note

প্রিয় দাদা ,
               
               মোর প্রণাম নিস l তুই ভাল থাকিস রে ...বৌদি কে তুই বকিস  না ..সে তো তোর আপন ....তোর কাছের প্রিয় মানুষ ...ওর কোনো দোষ নাই .....ওয় ঠিকে কহিছে ...মোর মত পাপিষ্ট ...কেহ নাই ..মুই লক্ষ্মী ছাড়া ..আজন্মা্ কেহ নাই রে l

দাদা সেই দিন তুই বাড়িত ছিলি নাই
সেই দিন কুনা থাকি যে পাঁচটা চেংরা আসি ইস্কুল থাকি আসিবার পথে হাত পা বাঁধি গাড়িত করি নিয়া গেলl
শহরের একটা পাঁচ তালা হোটেলত l দাদারে কেমন করি কহিম মুই তোকে ....ওমরা পাঁচ জন মিলি .....................মোর রক্ত মাংস গড়া দেহ টাক খাবলি্ খাবলি্ ছিঁড়িয়া খাইল ...জামা ছিড়া্ই মুখ বন্ধ করি ............
পরের দিন আরো বারো জন যে কুনা থাকি আসিল .......
মোর দেহ টাক ...........................

দাদা মোর কি দোষ ছিল কহেক ..মুই ত ভাল করি ইস্কুল থাকি আসিয়াছিলা্ম বাড়িতে ?

বাপ মা মারা যাবার পর তুই ত মকে ছোট্ট থাকি মানুষ করিয়াছিলি্ ....তুই আদর করি মোর মাথাতে লাল রঙ্গের ফিতা বাঁধি দিতু আর  কহিতু  মুই এ তোর মা বাপ রে ....
কেহ কাঁদা্ইলে্ বকে দিতু ওকে
তুইত সব কিছু জানিস দাদা .....মুই কি আজন্মের ফল ?

সেদিন রাইতে যখন দেখেনু্ দরজা খুলা কোনো মতে ছিঁড়া্ জামা পরি বাঁচি বার লাগি পালাই ছিনু রে .........
ভয়ে ভয়ে কোনো মতে দুদিন বাদে যখন বাড়ি আসিনু  বৌদি মোকে্ তারাই দিল ....মুই নষ্ট বলে ....l

পুলিশের কাছে নিয়া গেল গেস্টমামা ....পুলিশ কতো কথা শুনাইল ....লাথি মারি দূর দূর করি তারাই দিল মোকে্ ......
গ্রামের লোক গুলা গ্রামে ডুকিবা দিল নাই রে .....মুই নষ্ট বলে .......

দাদা তুই ত জানিস সব কিছু ...তুই কেনে চুপ ছিলু রে .....তোর আদরের বোন .....কে তুইও দূর করি দিলি

মোর যে বাপ মা তুই য়ে .....তোর কাছেই তো মোর সব আবদার ...
কেমন করি তুই তারাই দিলিরে মোকে .......মুই নষ্ট বলে ?.....

দাদা তুই ভাল থাকিস রে l বৌদির কোন দোষ নাই .....বৌদি ত  টিকে কহিত ......মুই পাপিষ্টা্ মুই নষ্ট ....
মোর বাঁচি থাকি কোনো লাভ নাই .........রে
কোনো লাভ নাই .........

                                 ইতি
      তোর নষ্ট বোন .......দুহিতা

অচেনা পথিক
29/12/15

রক্তে রাঙ্গা সেই সকাল



আচ্ছা সকালটা যদি অন্য রকম
হতো ,সূর্য্য যদি পূর্বে না উঠে
পশ্চিমে উঠত ......কেমন হতো ?
যদি দিনের বেলায় চাঁদ দেখা
যেতপূর্ণিমায় ......

ভাবছ নিশ্চই .."পাগোল  "
আরে না না ..এটা পাগলামি নয়
একদম সত্যি বাস্তবতা ...
আমরা প্রতিদিন কত কথাই না বলি
কখনো বা বিদ্রোহী কলম চালাই
বদলানোর ....পরিবর্ত্ণের
কৃষকেরা সিনেমার হিরো হয়
আমাদের রক্ত লেখায় ...অথবা
মিছিলে ...স্লোগানে ..
বস্তির অন্ধকারে আলো জ্বালাবো
বলে হাহাকার করি কবিতার খাতায়
কিংবা ভোটের আগে
প্রতিশ্রুতি টা তো কমন ব্যাপার
"কই বদলায় কি কখনো ??"

কত মিছিল হয় ,পার্টিতে পার্টিতে
লড়াই হয় ...ক্ষমতার
বদলাবে বলে
কিন্তু বদলায় নাহ্
আজও পথের ধারে কিংবা
স্টেশনে্  কতো
পথ শিশু ...একটু ভাত খাবে
বলে ভিক্ষে চায় ...
এখনও গ্রামের কতো যায়গায়
শুধু সবুজ ঘেরা অন্ধকার ..
চা বাগানে না খেতে পেয়ে মরে
কত শিশু .....
অথচ আমরাই তাদের নিয়ে
করি বাড়াবাড়ি ...নামি আন্দোলনে
কিছু লাভ হয় কি ?

তাই সেই সকালটার কথা বলছি
যেদিন সত্যি করে সূর্য্য উঠবে
রক্তে লাল হয়ে
যেদিন বস্তির অলি গলি তে জ্বলবে
আলো,যেদিন একটু পেট ভরে
ভাত খাবে পথ শিশু
যেদিন সত্যি কৃষক ,দিন মজুর
হবে হিরো ......
যা পশ্চিমে সূর্য্য উঠার সামিল ....

অচেনা পথিক
29/12/15

তুমি যে আমার



রাতের আকাশটা আজ পরিষ্কার
ছায়াপথ বেঁয়ে আলোকবর্ষ দূরে
তোমার মনের বসত বাড়ি ।
টেলিষ্কোপে বার্তা পৌঁছায় ।।
আজ রাতের শহরে ল্যাম্পপোষ্টের
আলোয় শীতে জমে যাওয়া শরীর হাত পা সেঁকে
নেয় ..মনের অনুভুতি গুলি ।।
আমার সাহারার বুকে মরুদ্যানে
ক্যাক্টাস ফুল ফোটে ..।।

##
অলস সময় থমকে দাঁড়ায় চৌরাস্তার মোড়ে
চায়ে কাপে নুইয়ে পড়া বিস্কুটাও জানে
ঠোঁটের উষ্ণতা  ।
তোমার কাছে মন ভালো করার নামে
ভাট বোকা ,ন্যাঁকামো ...।
সত্যিটা না হয় বুঝে নিও কখনো ।।

শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

আবদার



গ্রামে ফেরিওয়ালা এসেছে
অনেক ধরণের চুড়ি ,মালা
চুল বাঁধার ফিতে,নেলপালিশ ,
ছোটোদের খেলনাপাতি  ,চিরুনী
সেভটিবিন ,আরো অনেক কিছু
রকমারী জিনিসে ভরা তার দোকান
গ্রামের প্রায় সব মহিলা
বিশেষ করে মেয়েরা  দলবেঁধে
ঘিরে ধরেছে তাকে
কেউ বা চুড়ি,কেউ বা চুল বাঁধার
 ফিতে ,কেউ বা সেভতিবিন
নিচ্ছে বোতাম না থাকা
জামায় লাগাবে বলে

"মা মা আমি ওই পুতুল টা
নেব !দাও না !"
ভিড়ের এক কোণে বসে থাকা
ছোট্ট মেয়েটি তার মা বলল
"না ওসব নিতে হয় না  মা
তোর তো বাড়িতে ভুলু আছে৷"
"না ওটা নো্ংরা  ....আমি নেব "
বলে কান্না শুরু করল
"চ এখান থেকে "
টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল তাকে
সেতো জানেনা
দিন আনা দিন খাওয়া
দিন মুজুরের জন্য যে
ওসব নয় ...
একশো টাকা দিয়ে কিনলে যে
কাল ওদের  না খেয়ে থাকতে হবে ...

অচেনা পথিক
27/12/15

আমি কৃষকের ছেলে


হ্যাঁ !আমি কৃষকের ছেলে
হ্যাঁ !আমার বাবা চাষা,
মাঠে চাষ করে
লাঙ্গল বায় ...দিন মজুরও খাটে
কখনো
তো ?

হ্যাঁ !আমি প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে
হ্যাঁ !আমাদের বাড়িতে এখনো কেরোসিনের হারিকেন জ্বলে
ইলেকট্রিকের আলো কি
আমরা চোখে দেখিনি
তো ?

তাই বলে কি হাল ছেড়ে দেবো
পড়াশুনা ছেড়ে মাঠে চাষ করবো
 আমার বাবার
মতো তোমাদের সব অত্যাচার
সহ্য করব ?
মুখ বুজে ...........

নাহয় তোমরা জানো অনেক কিছু
অনেক আইন কানুন
অথবা  ওসব তোমার বাবার কেনা
তাই বলে কি
প্রতিদিনই রক্ত চুষে খাবে আমাদের
জানি না বলে
নাকি কায়দা কানুন আমাদের জন্য
নয় ?

তোমাদের আছে অনেক জানি
অনেক টাকা ,অনেক বাড়ি ,গাড়ি
আমার কিছু নেই
শুধু এই কুঁড়ে ঘর আর লাঙ্গল ছাড়া
তাই বলে কি
আমাদের লাথি মেরে
 দূরে তাড়িয়ে দেবে ?

মনে রেখো
তোমাদের যে অন্ন যোগায়
তোমাদের সুখের জন্য যারা
রক্ত মাংস জল করে
তাদের ছেলে আমি
তুমি কি জানো
একটি ফসল ফলাতে কিকি
লাগে ?
কাকে বলে রোদ বৃষ্টিতে সারাদিন ভেজা ?
জানো কি হাড়কাঁপানো শীতে কিভাবে হাঁটু জলে ধান লাগতে হয়?
আমরা জানি

তবুও কেন সহ্য করবো
তোমাদের ভন্ডামি
শুধু তোমরা ক্ষমতা আছে বলে
সব কিছু কেনার
টাকা দিয়ে ??

অচেনা পথিক
28/12/15

অনেক দিন পর ফের

অনেকদিন পর লিখছি তোমায়
 নীলচে খাম সমান্তরাল রেখায়
 অন্য নামের চিরকূটময় ছোঁয়া ।।

বেশ ছিল ,পাঁচ সিকের গল্পগুলো।
তারপর অনাদরে ঘাস হয়েছিল পশ্চিমী মাঠ,
দু একটা দূর্বায় সুযোগ সন্ধানী ফড়িং ।।

বেলা শেষের গান তখন রেডিওতে,
ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখা লোমকূপ
চুমুতে শিহরণ ,ধোঁয়াশা এক বিকেলে
ঝালমুড়ির মত ফুরিয়ে যাওয়া রাত্রি।।

হ্যাঁ আবার লিখছি তোমায়
 আমার পশ্চিমী মাঠের বুকে সবুজ ঘাসে
প্রথম ভালবাসার গোলাপ ছুঁই
আগুনে সেঁকে নেওয়া হাত পা ।

©জ্যোতির্ময় রায়

ছেলে বেলা

সন্ধ্যার আবছা অন্ধকার তখনও
নামেনি নদী পথে ।
বালিয়াড়িতে এক পা
এগিয়ে জীবন্ত স্বপ্ন গুলো ।।

ভিনদেশি মনে দিনগোনা ,
ছোট থেকে একদিন অনেকটা বড়
আমবাগানে খেলে গাছ-মাছ
 শৈশবি স্মৃতির রং তুলি ।।

আজ কাল ফিরে যেতে বারণ
সে পথে ,আমলকি বন আর নেই ।
রাজপথ ধরে সেও পরিযায়ী
 বন টিয়ার মতো ।।

বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

সরষে ফুল



©জ্যোতির্ময় রায়

জীবন্ত লাশের মিছিলে
আরো এক সকাল রোদ বিক্রির দরকষাকষি ।
  তুষার পাতে ছেয়ে গেছে
 ততদিনে রাজপথ ।।

সন্ধ্যা নামার ঠিক আগে শরীরও
 উনুনে সেকে নিয়েছে হাত পা ।
সরষে ফুলের ঠোঁটে মিতালি রহস্য
   কথা কিনেছে অন্য নামে ।।

তারপর ?
     একটা আস্ত দু-মুখো সাপের কমিক্স ।
   ফর্ণিমনসার স্তূপে সভ্যতার প্রতিচ্ছবি
     আরও একটা বিজ্ঞাপনে ছেঁয়ে গেছে
           পৃথিবীর মানচিত্র ।।

মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

ঠিক গল্প নয়



পড়ন্ত বেলা তখন ।
সিঁদুরে মেঘের আড়ালে সূর্য যাচ্ছে পাটে
দু এক ফোঁটা শিশির ভিজিয়েছে পা
     শরীরে তখন অন্য পৃথিবী ।।

হাজার স্কোয়ার ফিটে স্বপ্নের বাড়ি
দশ বাই দশের ঘর ,
চেনা অথচ অচেনা রাজপথে 
লালসি জিভ আর কান্না ।।

স্বপ্নগুলো সস্তায় বিকিয়ে গেছে
ঘরের খোঁজে ,সময়কে ফাঁকি দেওয়ার
অস্পর্দা ।মিটার স্কেলে গলন্ত চিবুকে
তখন ঘুম ঘুম অভিনয় "বেশ ভালো আছি " ।।

তারপর সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে
 সাবেকি চাওয়া পাওয়া ।
ঠোঁটের উষ্ণতা মাপে
     লোমকূপের ঘাম ঘাম স্তুতি ।।

চলিতে চলিতে



(রাজবংশী ভাষা ,টাঙ্গন নোদিৰ বাঁকে বাঁকে )

নোদিৰ বাঁক ধৰি যাইতে যাইতে
যেন্না সূর্য গিছে ডুবি ,কয়েকটা
সপনের ঠিকানা তখন চাঁদ ছুঁইয়া যায় ।।

এদিকত সময়েৰ হাতছানিত জীবন
চলে টলমল । হাড়ায়া হা হুতাশ ,
 কাপড় ভিজাইল কতটা জল ।।

মোর শহর তখন ঘুমের দেশত
সখি তোকে হাতরায় ।
এলায় আসি এলায় হারাইস
মায়াবী ছলনায় ,তাহঃ কিন্তুক
সীমানা বৰাবৰ দুইটা দেশতে
    একটায় আকাশে তারা গুনে ।।

রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

হে বীর



তুমি জানো তোমার মাঝেও
রক্ত আছে ?আর সেটা লাল
তুমি কি জানো তোমার মাঝেও সেই
ক্ষমতা আছে বিশ্ব জয় করার ?
এই তো কদিন হলো তুমি
তাড়িয়ে ছিলে ইংরেজ
রক্ত সেদিনও ছিল
আজও আছে
শুধু রক্তের মধ্যে সেই ত্যাজ্ টা নাই
আজ তুমি মিছিল দেখলে বলো
বেকার সময় নষ্ট
অথচ সেই মিছিলেই  হয়তো তুমি
দিয়েছিলে প্রাণ
ফাটিয়ে ছিলে গলা
দিয়ে স্লোগান
আজ দেখ তোমার দেশে
মা বোনের চোখে জল
হিংস্র পশুর মতো ছিঁড়ে খেয়েও
দিব্যি ঘুরে বেড়ায় আজ
পায় না অপরাধীরা শাস্তির ফল
কৃষকের রক্ত চুষে খায়
শ্রমিকের হাঁড় আরো চায়
হে বীর তুমি আজ কোথায় ?

রাস্তায় আজও মাতৃ হারা
শিশুর কান্না
আজও অনেক গ্রাম আছে
হয়না যেখানে দুবেলা
টিক ভাবে রান্না
ভোট সময় আসে কত জন
শহর থেকে ছুটে
ভোট হয়ে গেলে আবার সেই
গ্রামের  অন্ধকারই জোটে

আজও  মিছিল হয় ,আজও রক্ত ঝরে সাধারন মানুষের
স্লোগান আজও দেওয়া হয়
কিন্তু পরিবর্তন আর হয় না

হে বীর তোমার রক্তে আছে
সে ত্যেজ ...আছে সুভাষের
রক্ত ..তুমি জেগে উঠো তাই
মেদিনী কাঁপাতে
তোমার মা বোন কে বাঁচাতে
আগ্নেয়গিরির মতো
যদি না কাপুরুষ হও .......


অচেনা পথিক
23/12/15

ভালো থেকো


©জ্যোতির্ময় রায়

                (১)

অল্পদরে বিকিয়ে যাওয়া মনে
চাওয়া-পাওয়া,হিসাবটা গোলমেলে
কত তলে জল ,কিংবা কার কতটা ভিটে
ভালো থেকো তবুও মন খারাপের অসুখে ।।

ভালো থেকো দুষ্ট মিষ্টি কিছু অভিনয়
ভালো থেকো হালকা চাওয়া ,হালকা ভয় ।
ভালো থেকো অল্প অভিমান অল্প ভালোবাসা
ভালো থেকো অনিচ্ছায় আরো কাছে আসা ।।

ভালো থেকো চুমুক দেওয়া চা'এ ,
ভালো থেকো শিশির ছুঁয়া পায়ে ।
ভালো থেকো ফেলে আসা দিন ,
ভালো থেকো রং তুলি ,হয়ে রংহীন ।।

ভালো থেকো মন খারাপ
যা পুরোনো তা পুরোনোই থাক ।
নতুন করে ভালো বেসে ,ভালো থেকো
ভালো লাগার গল্প গানে ,নিজেকে ভালো রেখো ।।

শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮

শুধু তুমি পাশে থাকলে



মরীচিকার হাতছানি ....ছুটে চলা
মরু পথে ...শুধু স্বপ্ন নিয়ে ...
অন্ধকারে ...একটু আলোর আসায়
আর  আমার  কল্পনায়  .
ধোঁয়াশা  স্বপ্নে শুধু ভিজে মাটির গন্ধ
dairy  খাতায় প্রতিদিন
লিখে রাখা  ..না পাওয়ার  হিসাব
সব অভিমান ভুলে থাকতে পারি
শুধু তুমি পাশে থাকলে
প্রাণ  খুলে আবার বেসুরো গান
গাইতে পারি ....
নদীর মত বয়ে চলব
তারার মাঝে তোমায়  খুঁজব
তুমি থাকো  বা  নাই থাকো
আমার মাঝে তুমি থাকবে
আমার কবিতার ভাষা হয়ে
শুধু তুমি পাশে থাকলে
ডায়রির  পাতায়  মিশে যাবো তোমার
সকল দুঃখ কে নেবো
আপন করে ..হাসবো 
তোমার  একটু পাগলামি তে
শুধু তুমি পাশে থাকলে ......l.



                                 অচেনা পথিক
                                   22/12/15

আমার কথা



            জ্যোতির্ময় রায়

##
হ্যাঁ আমি ভবঘুরে ,আমি একটা বদ্ধ পাগোল ।
কথার মাঝে বলি কথা ,বকি আবোল তাবোল ।।
ভিত্তিহীন যুক্তিবাদ আমার কাছে মৃত ।
বর্তমান মানে বেঁচে থাকা ।
না গো আমি কবি হতে চাইনি কখনো
তবুও কথা গুলো কবিতা হয়ে যায় ।

#
আমার ভালোলাগে কথা নিয়ে খেলতে
কথার ফাঁকে কথা ..তবুও হয় না বলা
কতকিছুই না ভাবতে থাকে মন
চলতে চলতে থমকে দাঁড়াই ,হয় না আর চলা ।
গভীরের যে যন্ত্রনাটুকু তোলপাল করে সমুদ্র
সুনামীতে ধ্বংস হয় পৃথিবী ।
বলা হয় না মুখ ফুটে ,লাল নদীতে হয় জোয়ার ভাঁটা।
কি করবো বলো ?
প্রশমিত করে ভাট বোকা ।।

#জানি আমি বিরক্তিকর ,
জানি সোজা কথা সহজ ভাবে বলি ,
তেল মারতে আমার ভালোলাগে না
ভিতরের গভীরতা কি এমনি মাপা যায় বলো ?
               কখনো যায় না  ।।
কাঁচের খাঁচায় আটকে গেছি আমি
    ভেঙ্গে গেছে ..আয়না ।।

খেলা


রোদ কুড়োতে কুড়োতে দিগন্ত রেখায় ইতিটান এঁকেছে রংতুলি ।
কোথাও ছাই রঙের আকাশ ,কোথাও আগুনের ফুলকি,
সবুজ টেনে ,হলদে হয়েছে  ধূসর নীল নদের গতি পথ ।
নক আউট হতে হবেই ,আড়াই চালে চেকমেট তারপর ।।

কিংবা অল্প দামে বিকিয়ে দিয়েছে শরীর
"দু মুটো  ভাতের চাহিদা অনুযায়ী "।
গদি পেলেই উল্টো ডিগবাজি ।।

তুমি আমি সব জেনেও দর্শক ।
সেলেব্রেটি ততদিনে এ দেশে ধর্ষক ।।
সুইচ ব্যাঙ্কে আত্মঘাতী কৃষকের সুদ বাড়ে ।
নিউজ হয় না ওসব ।

শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮

এবং আমি তারপর

#এবং_আমি_তারপর

   (পাঁচ )

আজ একটা সত্যি কথা বলবো তোমায় । নীহারিকা ... ও নীহারিকা ? শুনতে পাচ্ছো কি ? হয়তো না। তুমি তো অন্য পৃথিবীর মানুষ এখন । আমি ভিন দেশী তারা । তোমায় আমি ভালো হয়তো বাসি না ,প্রিয় বন্ধু যে তুমি ,সেই যে প্রেম বলে লোকে ন্যাকু ন্যাকু কথা ,এসবের উর্দ্ধে তোমার অবস্থান । এভারেস্টের চূড়ায়  টাইটানিক পোজ তোমাতে মানায়  ॥ খাঁচার পাখি আকাশ পায় ,কথা গুলো ভাষা পায় । অথচ সত্যি বলছি তোমায় ভালো বাসি না আমি  ,সেই ক্ষমতা হয়তো আমার নেই । তবে তোমার চোখে তাকিয়ে থাকতে হয়তো বারণ নেই ,তোমার শরীরের গন্ধটা গোলাপের গন্ধকে হার মানায় । তাই রহস্য আমার কাছে তোমার শরীর ,তোমার মন ,তোমার সব কিছুতেই ॥ তোমার ঘামের গন্ধে পারফিউম হতেও ইচ্ছে করে আমার । তোমার হৃদয়ে মাথা রেখে ইচ্ছে করে তোমার পাহাড়ে হেঁটে বেড়াই  । তোমার নাভি পদ্মে হয়ে ফুটতে ইচ্ছে হয় মাঝে মাঝে ,নদীতে সাঁতার কাটি
আমার ঘাম বৃষ্টি হয়ে যায় ... রহস্য সমাধান হয় না । দূর্বা ঘাসের সুড়সুড়িতে খিলখিল করে উঠা শরীরের বিষাক্ত লাভায় .... শেষ চিঠি লেখা । নীহারিকা তুমি থেকো ভালো আকাশে ,তুমি বলতে না  মেঘ সরিয়ে সূর্য উঠবে
উঠছে ... ঘন গাঢ় লাল রঙ্গা একটা সূর্য আমার আকাশের  বুকে ,রাতের তারারা সেই সূর্যের আড়ালে হারিয়ে যাবে একদিন ॥
রহস্য তবুও থেকে যাবে হয়তো .... । ।

(সংক্ষিপ্ত)


অনেকটা দিন পর




কেমন আছো মাধবীলতা ? কতটা সুখে ?
শেষবার ছায়াপথ হাঁটতে চেয়েছিলে ,তারাদের ভিড়ে
সস্তার স্বপ্ন গুলো গল্প আকাশ কিনেছিল বিজ্ঞাপনী অসুখে ।
আজকাল শিশির ছুঁয়েছে শরীর ,পারদ উষ্ণতা মাপে ধীরে ধীরে ।।

মন খারাপ হয় ? রোজকার চায়ের কাপে
টা'এর আবদার,জং-ধরা সিন্দুকে ।
শিকল পায়ে।আলোকবর্ষ দূরে উড়ে যাওয়ার গল্পে
তুমি বেঁধে দিতে চোখ।আজ ভালো আছি এই অতি অল্পে ।।

হঠাৎ কি মনে করে ফের ,ঘরে ফেরার গান ?
তুমিই তো চেয়েছিলে আমাদের গল্পের অবসান ।
আজ দূর থেকে আরো দূরে আমিও বদলে ফেলেছি ডাকনাম।
তুমিও বদলে ফেলো ঠিকানাও ,অপেক্ষা আর কেউ করবে না
        রং বদলে ফেলেছে নীল খাম ।।

মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

জুঁই





"ভালোবাসি" এ কথা বলতে সাহস নেই তার। তাই মুখ বুজে সব সয়ে রই

কোনো এক শীতকাল যেন ,জড়িয়ে চাদর।বাড়ছে ভিতর ভিতর সে "জুঁই"

©জ্যো তি র্ম য়

সিরিজ (#জুঁই 30)

জুঁই



সে চোখে মায়া লেগে আছে।হারানো ভাষা যত
আমার শহরে শীত নেমে আসে।শীত ঘুম তার পুষে রাখে ক্ষত।

©জ্যো তি র্ম য়

("না পারা ছবি গুলো বুঝি এইভাবেই পেরে উঠি ...
        মায়ায় কিংবা না জানা টানে...)

সিরিজ #জুঁই(২৭)

জানি একদিন



জানি একদিন ওই দুচোখ খুঁজবে           
   আমায় ...........
যেমনি করে খুঁজেছি আমি
একদিন থেমে যাবে ভাষা
    স্বপ্নের ...
যেমনি করে দেখেছি আমি
  যানি ওই দুহাত ছুঁতে চাইবে আমায়
যেমনি করে চেয়েছি আমি
      ভরে যাবে ওই দুচোখ অশ্রুতে
যে ভাবে কেঁদেছি আমি
    চোখের ভাষায় লুকিয়ে থাকা
স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে
      যে ভাবে ভেঙ্গেছে আমার
জানি ওই দুচোখ খুঁজবে আমায়
                একদিন .......
যেমনি করে খুঁজেছি আমি
     

রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

আরো একটু উষ্ণতা চাই



       

##

রাতের শহরে ..নিস্তব্ধতায় দাঁড়িয়ে ল্যাম্পপোস্ট
দু একটা কুকুরের উদ্দাম উল্লাসে ঘুম ভাঙ্গে না
বাড়ির ছাদে চাঁদ উঁকি মেরে চলে যায় ।।
পরিষ্কার আকাশে তারারা বুঝি পাহারাদার ।
শীতের রাত ..দু একটা গাড়ি ছাড়া   জন শূন্য রাস্তা ।
..চৌমাথা মোড়ে দু একটা মাতাল অন্য পৃথিবীর লোক ।।

##
"আরো একটু কাছে এসো ,আরো কাছে
তোমার শরীরের উষ্ণতাকে ছুঁতে দাও
জমে যাওয়া শরীর আমার তোমার শরীরে
স্বর্ণ লতার মতো উঠবে বেয়ে ।"

##
ছেঁড়া কম্বলে রাত কাটে ,ফুটপাতে
ঠান্ডা  লাগলে কি হবে অভ্যেস হয়ে গেছে ।।
কাগজ পুড়িয়ে হাতপা সেঁকে নেওয়া ।।

##
আরো একটু উষ্ণতা চাই ,হ্যাঁ প্রখঢ় তাপদাহ
ওই মিছিলের মুষ্টি বদ্ধ হাতে ,ক্ষুধার্ত ওই
মানুষের মুখে ..চিৎকারে ,আর্তনাদে
পুড়ে যেতে শীতের  রাতে রাজার কম্বল ।।

চশমা (৪০)



রাস্তার দুপাশে সারি সারি মৃত্যুর স্তুপ
জলকাদাময় ,ঈর্ষান্বিত চোখে লালসি জিভ ।
মেয়ে মানুষ নাকি নরম শরীরে আঁচড়ে দেওয়ার
মতো নখে শিক্ষা গুরু নাকি ধর্ম নামক স্তুতি ?

জবাব আসে ? এক একটা মোমবাতি মিছিলে
মুষ্টিবদ্ধ হাতে পথ অবরোধ ,রাস্তা অবরোধ 
আর ওদিকে রিপোর্টারের ক্যামেরায় পুড়ে যাওয়া
মুখ আবার জ্বলে জ্বলে উঠে ,সমাজে ।
আমরা বলি "ধর্ষিতা" ঠাঁই হয় না আর
সভ্য সমাজে। সোনাগাছিই বসত বাড়ি তার ।
অথচ সে বাঁচতে চায় ,আমরা বাঁচতে দেই না ।।

বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

পিকনিক মানে




ব্যস্ততার মাঝে....মন যেতে চায় উড়ে l
নীলসীমানায় কিংবা আরো বহুদূরেll
অজানা পথে বেসুরো গলায় গাইতে গান l
হারিয়ে যাওয়ায় ভেসে আসে ইচ্ছামতীর কলতান ll
নদীর বাঁকে কিংবা জঙ্গলে একসাথে l
বন্ধুদের সাথে ...পাগলা মনের চাওয়াতে ll
জটলা বেঁধে নতুনত্বের নেশায় l
হাওয়ার মিষ্টি ছন্দে মন ভেসে যায় ।।

##
ময়ূর কেমন মেলেছে পেখম
প্রজাপতিও মেলেছে ডানা l
আজ হারিয়ে যেতে নেই য়ে মোদের মানা ll
গল্প আর গানে ভেসে চলো যাই l
পিকনিকের এই দিনটিকে চলো স্মৃতি বানাই ll
প্রেমের বন্ধনে বাঁধি এই দিনটিকে আরো l
থাকে যেন মোদের বন্ধুত্ব এভাবে
দূরে চলে যাই না যদিও কোন দিন ..হাজারো ll

##
যেখানে সেখানে জটলা
কেউবা প্রেমিকার হাত ধরে l
মিশে যায় অরণ্য স্বপ্নে ধীরে ধীরে ll
গভীর থেকে আরো গভীরে
ভালোবাসায় ভরপুর ..চারিদিক l
বেঁচে থাকুক প্রেম ,বেঁচে থাকুক বন্ধুদের সাথে
এলোমেলো পথে একসাথে চলা
স্মৃতির পাতায় ... পিকনিক l l


Tuesday, December 13, 2016
9:16 AM

স্বপ্ন চোখ



      পাহাড়ি নদী ।
      ঝর্ণা জল এবার "তুই কিছু বল" ।
সাপেছোবল নাকি ইস্ট্রোজেনেটেস্টি।
(নো অবজেক্টসন অন ইউর হিস্ট্রি,ওনলি কেমেস্ট্রি )
     উষ্ণপারদ ছুঁয়ে যায় শরীর যদি ।।

চুমু/চুরমুর। রোদে পোড়া খেঁজুর ।
প্রেম প্রেম গন্ধে ভরা ডাকটিকিট।
  ছায়াপথে নেমে ,ভুল কুড়িয়ে "কোনটা ঠিক?"
তবুও এক চাদরে ফের তাজমহল।
  ঘাম মিশেছে জলে ,জল মেপেছে কত তল ?

ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি





পুরোনো দিনের মুখ আজকাল বৃষ্টি ভেঁজা দেওয়ালে আঁকি ।
স্বপ্নরাও জ্বলে হয়ে অমাবস্যার জোনাকি ।।
ট্রামের লাইনে দাঁড়িয়ে আমিও হারাই বেনামী ইস্তেহারে।
ওরাও চলে যায় ,চেনা হতে হতে ,অচেনায় যায় ফিরে ।।

ভিড় ঠেলে আরও একটু পা ফেলে কাপড় বাঁচিয়ে চলা।
কথার পাহাড় জমতে থাকে ভিতরে ,তবুও হয় না বলা ।।
সময়টাও কেমন কেটে যায় হঠাৎ আসা কোনো জ্বরে ।
গুনতে গুনতে হিসাব ,চাওয়া পাওয়াও ,আবির ছড়ানো কাপড়ে।।

বালির উপর ছক কাটা কিছু দাগ ঢেউ এসে দেয় মুছে ।
দিন যায় দিন আসে ,আমিও চলেছি উড়ো স্বপ্নের পিছে পিছে ।।
এরই মাঝে মৃত স্মৃতিকেও আলমারিতে সাজিয়ে রাখি ।
চলতে চলতে ঝরে পড়া মেঘেকেও আঙুলে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি ।।

বুধবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮

দেখা যদি হয়



সন্ধ্যা নামে যেখানে
একলা আকাশ সেখানে
থমকে দাঁড়ায় l
কত আশা ভালোবাসা
 এক পলকে কেন যে হারায় ?
কথা ছিল এক সাথে
পেরিয়ে যাবো ছায়াপথ ,
বাঁচবো ভালোবেসে
হাতে হাত রেখে করেছিলে শপথ l
আজও আছে ভালোবাসা
 শুধু হারিয়ে গেছে ঠিকনা ,
উড়ে গেছে পাখি বহুদূরে
        মেলে ডানা l
না ফেরার ঠিকানায় ....
তবুও যদি রাত শেষে
আবার তোমার সাথে দেখা হয় l

রং পেন্সিলে আজও
 মন যে তোমার ছবি আঁকে ,
স্মৃতি গুলো বারে বারে
আমায় পিছন ফিরে যে ডাকে l
আঁধার ঘনিয়ে আসে
মেঘ জমে আকাশে
অঝোরে বৃষ্টি হয় ,
পৃথিবী যে রঙ্গমঞ্চ
শুধু করি তাই বাঁচার অভিনয় l
তবুও তোমাতেই  পরে আছে যে  হৃদয় ,
রাত শেষে যদি আবার
তোমার সাথে দেখা হয় l

            

ভালোবাসি



বসন্তের আগমন ,
 সৌরভে ভরে যায় আম্র মুকুলের গন্ধে 
আমার হৃদয়ের উঠোন l
সবুজের আড়ালে নেড়া মাথায়
শিমুল ফুল উঁকি মারে  ,
আর পড়ন্ত বেলায় দক্ষিণা বাতাস
কোকিলের গানে আচ্ছন্ন করে l
"না গো আমি কোকিলের মতো
ডাকতে পারি না "
তবে তোমার তরে ...গ্রীষ্মের চাতকের
মতো প্রতীক্ষা আমার ,
তুমি যে ছন্দ ওগো জীবনের
আমার লেখা কবিতার l l

মৌসুমী বায়ু বার্তা আনে ভালোবাসার ,
অভিমান ভরা সুর যেন হায় কাছে আসার l
হয়তো ভাবছ তুমি
    বড্ড পাগল আমি l
"পড়াশুনায় মন না দিয়ে
মন শুধু থাকে পরে অবাস্তব চিন্তায় "
কি করবো বলো ,অ্যালকোহলের মতো
মিশে গেছো যে শিরায় শিরায় l l

"আয়নায় মুখ দেখলে তুমি পাগল
হয়ে যাও আমার মতো
তোমার প্রতিবিম্ব "
বাস্তব আর কল্পনা যে এক ওগো
আজ  আমার কাছে
মন যে লোহার খাঁচায় বদ্ধ l
       পড়াশুনার চাপে ...
উষ্ণতা যে আজও ওগো থার্মোমিটারেই মাপে l
তবুও হৃদয়ের সব অংশ জুড়ে ,
তুমি যে আছো আমার মনের জানলা ঘিরে l
তুমি যে মেঘলা আকাশের  চাঁদনী আমার
তারা তো আছে ,থাকবেও রাশি রাশি ,
সত্যি বলছি তোমায় আমি বড্ড ভালোবাসি l l
     

            

একটু শুধু অপেক্ষা করো




যাচ্ছে দিন ,বয়ে যাচ্ছে সময়
হারিয়ে যাচ্ছে একে একে সব
গোলমেলে এই হিসেবের দুনিয়ায়
বদলে গেছে ধারাপাত ।
চোখে যা দেখছি,দেখে যে ধারনাটা মনে জন্মাচ্ছে
এক নিমেশেই কেমন বদলে যায়
যখন উল্টো পথে ...অন্য কোনো গান
তোমারই কোনো প্রিয়জন গায় ।।

স্বপ্ন দেখা ...একপা দুপা  করে তার পিছুপিছু
ছুটে চলা ...হাতের নাগালে এসে
যদি হঠাত্ ভেঙ্গে যায়
চেনা পথ ...তখন যেন হঠাত্ হারায়
           তোমার স্বপ্নের হারানোর ঠিকানায়।
অশ্রু হয় বাস্পীভূত ....জমে মেঘ
তোমার আকাশের বুকে
যদি গল্পটা শেষ হওয়ার আগেই
কথা গুলো হঠাত্ হারিয়ে যায়।

তবুও পথ  চলা ...মেঘের মলাট
সরিয়ে ঠিক জানি উঠবে সবিতা
হয়তো ছন্দ থাকবে না
তবুও ঠিক তোমায় নিয়ে লেখা হবে
অন্য কোনো কবিতা
বৃষ্টি ঠিক হবে ...ফের মাথা নাড়াবে
তোমার মনের ধান-দূর্বারা আবার
শুধু তুমি অপেক্ষা করো একটু ।।

চাকুরীটা যে খুব দরকার



আজ কি বার ? ইস্ ভুলে গেছি
বল না রে অন্বেষা !
আজ কাল না সব কেমন যেন ভূলে যাচ্ছি
যেন মনে হচ্ছে সব কেমন গোলমেলে
সব উল্টো পাল্টা নিয়ম-কানুন
শুধু প্রশ্ন একটাই "কেন এরকম?"
এই দেখ না ..কত টাকা খরচ করে
গ্যাজুয়েট আমি ..60% মার্কসও আছে ।
আমাদের মতো দিন আনা দিন খাওয়া
পরিবারে বলতে একমাত্র আমিই
 এই পড়াশুনার লাইনে ।
বাবা বলেছেন আর কোনো মতেই চালাতে
পারবেন না ..একটা কিছু করতেই হবে এখন
যে কোনো একটা চাকুরী হলেই চলবে
পাঁচ কিংবা দশ হাজারের ।।

প্রায় প্রতিদিনই "কর্মক্ষেত্র" ও "জিবীকা দিশারী"
পড়ি ...আমার যোগ্যতার একটা চাকুরী চাইতো ।
যাই দেখি ...সবতেই অ্যাপ্লিকেশন ফি লাগবে
কত ফিলাপ করবো ...এতো টাকা কোথায় ?
তাও তিন চারটে করেছিলাম ..
সাথে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউও দিয়েছি তিন বার
সব কিছুতেই পাশ হলাম ....।
কিন্তু চাকুরীটা আর হলো না
কেন জানিস ?
আমি চাকুরীদাতাদের  তিন লাখ টাকা পেট পুজোয়
দিতে পারিনি ....তাছাড়া আমার কোনো বড়ো
নেতার সঙ্গে ভাবও নেই ।
কাকলিকে যে কথা দিয়েছিলাম একবছরের
মধ্যেই একটা চাকুরী আমি পাবো
পাইনি ....।
আবার ছোটো ছোটো দুটি বোনও আছে আমার
বাবা আর যে সেরকম  কাজও করতে পারে না
সংসার চালানো এখন দুর্বিসহ ।
বল কি করবো আমি ?
কি উপায় আছে এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবার ?
একটা  চাকুরী আমার যে খুবই দরকার ।।

তোমায় নিয়ে


মেঘ জমতে থাকে আস্তে আস্তে
জমানো অশ্রু হয়ে ছিল বাষ্পীভূত একদিন ।
তুমি চাঁদ হয়ে তাকাতে চীনের প্রাচীর
আমি দূর থেকে দেখতাম ....আজো তাকাই
একই ভাবে .....মেঘলা আকাশ
বর্ষা আসবে ...ভিজাবে আমায়
খেজুর পাতা বাতাসে যখন মাথা নাড়ায়
 শিরশির করে উঠে শরীর ...
ঠিক তেমনি বৃষ্টি ভেজায় .....আমার মরূভূমি ।।
জানো মাঝে মাঝে খুব ভাবতে ভালো লাগে
তোমায় নিয়ে ....একটা রূপকথার দেশে
হাতে হাত রেখে ,কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
পেরিয়ে যেতে নকশী কাঁথার মাঠ
মেঘের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে ...
 বাস্তবটা হয় পরিষ্কার ...তারপর
 দু একটা শব্দ বেরিয়ে আসে হৃদয়ের
অন্তঃপ্রকষ্ঠো থেকে ...
আর কবিতা হয়ে যাও তুমি ।।
 আজ ....আমি ভবঘুরে প্রেম খুজি
 ক্যাকটাশ অরন্যের মরুউদ্যান ।
জানালায় চোখ রাখি ..
কাঁচের গা বেয়ে বৃষ্টির জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে
পড়ে আমার গভীরে ।
একটা ছবি এঁকেছি জানো 
আকাশে ...ওই নীলে ,মেঘ দিয়েছি নাম
তোমার ছোঁয়ায় ওগো জানো পায়
 আমার মনের শুষ্ক দূর্বাঘাস যে প্রাণ।।
তোমায় নিয়ে তাই লেখি ওগো
 আমার হৃদয়ের কবিতা
আমার হৃদয়ের কলমে যে ওগো তুমিই সবিতা ।।

এই শোনো



         
##
এই শোনো ..শুনতে পাচ্ছ কি ?
আমার ঘরে উড়ছে জোনাকি ,
দেখতে পাচ্ছ কি ?
তোমার চোখে মুখে ঠোঁটে 
গোলাপ ছুঁয়ে ,হারাচ্ছি রোজ আমিও যে
তোমার ভালোবাসায় ........।।

##
এই শোনো ..শুনতে পাচ্ছ কি ?
আমার সমুদ্র তীরে আছড়ে পড়ছে ঢেউ
মনের গভীরে ,ঘুম সাগরে ,
কাগজের নৌকা ভাসাচ্ছে কেউ ।
তুমিও গোপনে ,সব কিছু বুঝে নিয়ে ,দুরে চলে যাও ।
ভালোবেসে আমাকে ,কেন তুমিও মুখ লুকাও ??

##
যত কাছাকাছি থাকা যায় ,ভালোবাসা বেড়ে যায়
ইচ্ছে গুলো মেলেছে ডানা
তোমায় ছাড়া আমারও ,কিছুই যে ভালো লাগছে না ।
যদি রেখে দিতে পারো ,থেকে যেতে পারি
ফিরে যেতে দিও না ।।
এই শোনো ..তুমি শুনতে পাচ্ছ কি ?
ভালোবাসো বলে ,বলতে লজ্জা তুমিও পাচ্ছ কি?
না না  আর দুরে নয় ,কথা রেখে না জমিয়ে গোপনে
যত কথা আছে সব বলো ,যা আছে তোমার মনে ।।

মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রফেসর হার্দিক পান্ডের ডাইরি(প্রথম পর্ব (১))

#প্রফেসর_হার্দিক_পান্ডের_ডাইরি
**********************************

        \*********√*******\\
         \*            *          *"\\
          \*             *          *\\
            \*********^********"\
               '"""""""""""""""""""""

            @স্বপ্নপ্রিয় দাশগুপ্ত ওরফে অজ্ঞাত অচেনা

           (প্রথম পর্ব )
                (এক)
       *****************

সকাল ..নাহ্ দশ বছর হলো চোখে দেখিনি ।সূর্য্য ডোবা বা উদয় সেই ছোট্টো বেলায় যা দেখছি সেটাই এখনো মনের কল্পনায় আঁকিবুকি মারে ,সিঁদুরে মেঘের আলাড়ে সাদা বকের বাড়ি ফেরা বা ওই পরন্ত বিকেলে সরষে ফুলের হলুদ চাদরে মুড়ি দেয় মাঠ ।এখন শুধু চাঁদ দেখি ..রাতের অন্ধকারে চাঁদ থাকুক বা না থাকুক আকাশ ভরা তারাদের মেলাই অন্ধকারে পথ দেখায় ।। মায়াবি স্বান করে জোছনায় বারান্দার কলকে ফুলের গাছটাও ।মনের সমুদ্রে পথ হারায় ইচ্ছেরাও ..ভুল করে ঢোকা শঙ্খচিল সেও আসে না আর ।রক্তের ছোপ ছোপ দাগে রঙ্গিন ব্যালকনির পর্দা গুলো ..আর বেডে মায়াবি ঘুমের নেশা নিকোটিনকেও হার মানায় ।তবে হেরে যাওয়া সেটা নয় ..হেরে গেলেই অভিনয় গুলো পরপর পরিষ্কার হয় আর তখন চেনা মুখ গুলো মনে হয় কয়েক হাজার বছরের পুরোনো ।।মাঝ রাতে হিংস্র পরুষের শরীরও তখন অনুভুতির চরম মাত্রায় কমলা লেবুর খোঁসা ছাড়িয়ে মিষ্টি রস চুসে খায় ।অবলা সেই নারীটি পরের দিন হয় নষ্ট মেয়ে নিউজ পেপারের হেড লাইনে ।।সুইসাইড বোমার থেকেও ভয়ঙ্কর আতঙ্কে ভরে যায় জীবন ।আর্তনাদে ভরে যায় সংসার ।।

আজ রবি বার ছুটির দিন ।স্টেশনে আড্ডা বসে চায়ের দোকানে ।সময় কাটে ঘড়ির কাঁটায় টিক টিক শব্দও হারায় ট্রেনের সাইরেনে ।আনন্দবাজার পত্রিকা ,১২/১২/২০৩০ রবিবার ।হেড লাইন  বিখ্যাত  বিজ্ঞানী প্রফেসর হার্দিক পান্ডে নিখোঁজ ।

তারপর .......

(ক্রমশ )

প্রফেসর হার্দিক পান্ডের ডাইরি(প্রথম পর্ব(২))

#প্রফেসর_হার্দিক_পান্ডের_ডাইরি
*********************************

   @স্বপ্নপ্রিয় দাশগুপ্ত ওরফে অজ্ঞাত অচেনা
            (প্রথম পর্ব)
              (দুই)
********************************
শালার এই নিউজ পেপার গুলোও হয়েছে ,খবর পেলেই খবর নিয়ে কারবারি ,আর তাতে কয়কশো গুন বারাবারি তো আছেই ।অতো বড়ো বিজ্ঞানী হারিয়ে যাবে ? বিশ্বাস করা যায় ? তবুও শালার এমন ভাবে লিখবে পাবলিকে বিশ্বাস করতেই হবে ,পাবলিক যে নিউজ এখন পড়ে না ,খায় ।এই তো গত বছর তিনি প্রথম জেনেটিক ইঞ্জেনেয়ারিং ,ন্যানোটেকনোলোজিতে পুরষ্কার পেলেন ।আর এখন কোনোকিছু হারিয়ে গেলে খুজে পাওয়া তো সহজ ।এতো বড়ো বড়ো টেলিসকোপ ,এতো স্যাটেলাইট ..মামুলি ব্যাপার ।

মেদিনীপুর কলেজ ,১৩/১২/৩০
মেডিয়ায় ভর্তি বাইরে ,এই কলেজেরই প্রফেসর ছিলেন হার্দিক পান্ডে ,ছিম ছাম চেহারা ,৫'৫" হাইট ,শ্যামবর্ণের ।তবে ক্লাসে যখন লেকচার দিতেন   সবাই মন্ত্রমুদ্ধ সাপের মতো শুনে যেত ।রোবোটিক্সে শুধুমাত্র উনার জন্যই গোটাবিশ্বে একটা আলাদা পজিশনে মেদিনীপুর কলেজ ।হঠাৎ স্যার হারিয়ে যাবে কেউ ভাবতেও পারেনি ,গোটা কলেজে শোকের ছায়া ।সিআইডি এসেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ।প্রিয় ছাত্রদের মধ্যে বিক্রম ছিল সব থেকে প্রিয় । " কাল শেষ বার তুমি স্যারকে কোথায় দেখেছিলে ?"
"ওনার ল্যাবে " সাধারণত স্যারের ল্যাবে কারো ঢোকার পারমিশন নেই ।আমি একবার ডুকেছি তবে স্যার আমাকে পুড়োটা দেখায়নি "।
"কোন দিকে ল্যাবটা ? চলো ...।
বিক্রম নিয়ে গেল । ফিজিক্স ল্যাবের পেছনে দরজায়  একটা বড়ো বিবেকানন্দের ছবি দেওয়ালে আটকানো ।পাশে একটা টেবিল ,টেবিলে বসানো নানারকম সরঞ্জাম ,একটা ছোটো চাকতির মতো ,দেখতে ঠিক সিটি ক্যাসেডের মতো ,ওটা ছুতেই বিবেকান্দের ছবিটা সরে গলে একটা দরজা ।বিক্রম জানত পাসওয়াট । ভিতরে ঢুকতেই ??

(ক্রমশ )

যদি বলি তোমায়


চায়ের কাপে নুয়ে পড়া বিষ্কুট ..
সময় ছুটছে ইন্টারনেটে..মন হয়েছে দল ছুট ।
চমশার আলাড়ে স্বপ্ন সম্ভার ..
যদি বলি তোমায় ,আঁকছি ছবি তোমার ।
আমার গভীরে ,সবটা জুড়ে রয়ে গেছো যে আমার,
জানি তোমার মনের ঘরে কিছু পাথর জমানো ,
ভাঙ্গতে চাইছি তাই ,ভেঙ্গে ফেলে পাহাড়।
ভালোবাসা হয় না এমনিতে  ...
ভালোবাসা ..শিরায় উপশিরায় অনুভুতির খরস্রতে।।

##

পর্ণমোচীর পাতায় লিখে রেখেছি তাই নাম
ঝড়ে পড়বে জানি একদিন
এখন  মিডিল ক্লাস ছেলেদের নেই যে ভালোবাসার দাম ।।
ভালোবাসা জানি টাকায় উড়ে ,
তাইতো ভালোবাসা আজকাল অকালেই কত মরে ।।

##
যদি বলি তোমায় ,ভালোবাসি
যদি বলি খুব মিষ্টি তোমার ঠোঁটের ওই হাসি
কাজল কালো চোখে ..চেয়ে থাকতে ইচ্ছে করে ।
  ন্যাকামো হয় না বলো?
তুমি যেমন, ভালোবাসি তোমায় সেরকম করে ।।

না বলা কথা



 রোদসকাল ,শীত চাদর গায়ে মাখা ,
আলমারিতে তোকেও সাজিয়ে রাখা ।।
শিশির পায়ে ,আমার রং চটা দেওয়ালে ,
জল ছবি ,তোর ছবি ,সব কিছুর আড়ালে
ইচ্ছে গুলোও ইচ্ছে উঁকি।তোকে রোজ খুঁজি
ডাক বাক্সের ভিতরে ।
ঠোঁটে জমে কথা ,হয় না বলা ,জমে গভীরে ।।

তুমিও ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাও মেঘ ।
তোর সুরের গানে নতুন রিমেক ।।
দেওয়াল ঘড়িতে মাপছি প্রহর ।
তোর ঠোঁটের আস্কারায় চুমু আঁকে আমার শহর ।।
নিজেকে বন্দক রেখে তোর কাছে ।
সারাদিন আঁকিবুকি বৃষ্টি ভেঁজা জানালার কাঁচে ।।
আমার ঘামে ভেঁজা স্বপ্ন রূপকথা এঁকে যায় ।
তবুও কিছু না বলা কথা ঠোঁটেই আটকায় ।।

হঠাৎ তবুও বৃষ্টি এসে কাপড় ভেজায় ।
মেপে দেখো পারদে "কত ভালোবাসি তোমায়?"

ভীতু



"ভালোবাসি " বলতেই কেমন ফ্যাকাসে হয়ে যায় ছবি গুলো...

তারপর দীর্ঘনিঃশ্বাস নিয়ে হারিয়ে যেতে থাকে
কথা ।

"প্রেমিক  নাকি ধর্ষক ?" চোখে জিভে জল তার
ফাঁকা রাস্তা ,শেষট্রেন কিংবা নরম শরীর "থাবা.."।

বিচ্ছেদে তাই চুমুর সাহস আঁকি, ভুলে যাওয়া রোগ
পুরোনো কাগজের ঠোঙা সে এক বিপ্লবী'র বিক্ষোপ।

তুমি ভেবে নাও কাপুরুষ।একঘরে।হয়ে যাওয়ার খুন
ভীষণ ভয়ে আঁকড়ে ধরে রাখা যেতে পারে
         ভিতর ভিতর শুধুই জ্বলে গেছে তার আগুন ..

সিরিজ #জুঁই(২১)

সোমবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮

জুঁই






"না চেয়েও অনেক লেখা হয়ে যায়
ভালোলাগা গুলো।না হওয়া ছবি কোনো তার।
কবিতা লিখছে কেউ ,ছবি এঁকেছে কেউ
               অন্যকারো প্রেমিকা'র "

জুঁই(৪)





নিছক আমি সংসারী নই ,একটু অগোছালো,
চোখের ভিতর চোখ মেলেছি ,এটুকুই বলতে পারো ।।

লোকের কথায় ধারধারী না ,একটু একগুঁয়ে,
পকেট খালি সর্বদা ,ছুটির দিনে কাটাই শুয়ে,শুয়ে..।।

তবে ,
আজকাল যেন কি হয়েছে ,মন কেমন আর নেই,
আঙুলে তার ঠোঁট ছুঁই,আঁকছি কি শুধুই ছবিতেই?

জুঁই(৫)





বিকেলের রোদ এসে ছুঁয়ে গেছে জানলার কাঁচ'এ
হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গে।ছুঁয়ে দেওয়ার সেই রেওয়াজে।।

আমি ভীষণ মধ্যবিত্ত।চাল আনতে পান্তা ফুরায় না ঠিকই ,
"পরের দিন বাজার কি হবে?"এটাই রোজ বাঁচতে শেখি।।

রোজ ঘুম ভেঙে যায় হঠাৎই খামখা মাঝ রাতে,
আজও 'মা'জল খেয়েই ঘুমিয়েছে,ছিলনা কিছুই শেষ পাতে ।।

ঘুমের ওষুধও হার মানে,স্বপ্ন দিতে সকালের কোনো রোদ্দুর।
আমার পৃথিবীর "মন ভালো'র" ক্রাইসিস।হার মানেনি কেউ।মিছিল এগুক যদ্দুর।।

রোজ ভালোবাসে ,আবার রোজই অভিমানে,ভেঙে ফেলে সব।
রোজই মদ খেয়ে বাড়ি ফেরে কেউ,রোজই আড্ডা দিয়ে যায় ,কৃষ্ণ ,যিশু মোহাম্মদ ।।

জুঁই(৬)





সেকোনো এক ভীষণ অসুখে ,এখন কবিতারা শুধুই মৃত,
কে ভুলে ,কেন ছুঁলে?পেন্সিলও বুঝি তাকে জানত ...।।


ভীষণ কঠিন আমিও,শীতের তীব্রতায়,শীতঘুমে ।
রাতের তারায় স্বপ্ন বেচা।ঘুম ভেঙেছে নিঝুম দুপুরে ।।


কোন সেআস্পর্ধায় তোমায় রোজ ছুঁয়ে দেখি আমি।
কোন সেগল্পে নায়িকা হও ফের? কে তুমি ?


হিসেব না হয় হবে।বিকেল কুরছে গৌধূলি রং...
বালির উপর পা দিয়েছে কেউ,নদীও ভাবেনি মিশেছে সাগর সঙ্গম...।।

জুঁই(৭)





পারলে লিখো কোনো দিন আমায় নিয়ে
যেদিন আমি  আর লিখবো না ,
সব চেনার মাঝেও যেদিন আমিও বড্ড অচেনা ।।


হয়তো আমি তখন ভীষণ সংসারী ,
তেল আনতে পান্তা ফুরোবে ,
কিংবা ছাদে শুকোতে দেবো বউয়ের শাড়ি ।।

হয়তো খোঁজ নেবে না কেউ ,
"অসভ্য"বলবে সেদিন পাস কেটে গেল ,
লিখো সেদিন ,চলে গিয়ে না ফিরে এলে ।।

লক্ষ্মীটি







Reply of  লক্ষ্মীটি (দৃষ্টিকোণ)




তুমি কি খুব বিরক্ত করছো বলেছি কি তা তোমায়
হয়তো তোমার খুব প্রয়োজন  তাই লেগে থাকো চোখের তারায় ।।
তুমি বলে দিতে পারো আমায়
কেন মিশে যাও আলো ছায়ায় ।
আমারও মন ভাঙ্গে ,চোখে আসে জল
অভিমান আমারও তো হয়
       অভিমান আমার তো হয় ।।


যদি মিঠে ভরা কোনো শুকনো ফুল ,
যদি সব সত্যিই মিথ্যে হয় ভুল ,
লক্ষ্মীটি বলছি শুনো ঘাড় নেড়ে,
চলে যেতে পারো  তবে ছেড়ে ।।


এত কথা বলো, কৈ আমার ত কথা বলো নি ,
কেন চুপ থাকি সারাক্ষণ ?কৈ তুমি'ত একবারও বুঝতে চাওনি ।
তোমারই অভিমানে আমিও পুড়েছি ভীষণ রোদের ঝরে,
কৈ ছুঁয়ে'ত দেখলে না ,কতটা পুরেছি বাষ্পে স্নানের ঘরে ।।

তুমি কি বিরক্ত করছো বলেছি কি তা তোমায়,
চলে যেতে চাইলে চলে যেও ,যদি প্রয়োজন আর না হয় ।।

মেঘ



ভীষণ অসুখের মত মন খারাপি চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সেই ছেলেটাও সিগারেতে আগুন জ্বালায় আলতো ভাবে ।

হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় মিস কলে ।এক বছর ব্লগ লিস্টের ফোন নাম্বারটি ভেসে উঠে স্ক্রিনে ,চোখ মুখের ঝাপটায় ঘুম তবুও ভাঙ্গে না ।।

সেই মেয়েটি আজ আর জানালার বাইরে তাকায় না ।ভীষণ অভিমানে ,"মেঘের রিডে হারমোনিয়াম" বজায় অন্য সুরে। সবার মাঝে খোঁজে প্রথম ঠোঁট ছোঁয়ার মুখ ।।

ক্লান্তি গুলো এখন আর ভেজে না ,বিকেলের বৃষ্টিতে ভিজে ফেরেনি সেই ছেলেটিও আজ ।। বৃষ্টি ধরেছে উল্টো ছাতায় ।।


মেঘ (২)





 ঘুমহীন  আজ শহরে ভীষণ মন কেমনের অভিমানে,
ঝাপসা আলায় চোখ পুড়েছে ,ছায়ার ভিতর অন্য গানে ।।

গল্প গুলো আজগুবি হয় ভীষণ রকম কম দামি ,
"ছলচাতুরীর হওয়ার ভিতর ক্লান্তি নিয়ে  হাঁটছি তুমি আমি ।।"

রোদের সাথে ভাবমিতালি ,জানলা জুড়ে কাটাকুটি খেলছে সে ।
"ব্যর্থ প্রেমের দিব্যি" নিয়ে আঁকছে ছবি কার্নিশে ।।

ঠিক তখনই বৃষ্টি হবে ,জামার উপর বোতাম আটা ,
মনকেমনের গল্প গুলো ভীষণ দামি ,সিগারেটে পুড়ছে ভালোবাসা ।।

মেঘ (৩)



রোজ রাত পাহারা ,মনকেমনের চৌকিদারী ।
ফিরবে বলে আর ফেরে না।মন বাড়ি ।।

গল্প গুলো হয় পুরোনো,চোখে ভিতর চোখ দেখে।
ইচ্ছে ঘুড়ির সুতো কাটা।দাগ কেটেছে ছক রেখে ।।

বাসতে ভালো চায় না আর সে ,ভীষণ রকম এগুয়ে।
সিদ কেটেছে অতীত কোনো।মন-শহর'এ থাক  শুয়ে ।।


হঠাৎ তখন মেঘ করেছে ,হাঁটছি তবু উচিয়ে ছাতা ।
হাঁটুর উপর জল ভিজেনি,নিরবতায় ড্রইং খাতা ।।

দেখা





ব্যস্ত সময় ঘুম কেড়েছে ,আচ্ছে দিনের স্বপ্ন বাড়ি ।
সকাল বেলায় ঘুমিয়ে পড়ে চোখ।চার্দেয়ালের ঝুলছে ঘড়ি ।।

ভীষণ রোদে মন পুড়েছে,ফোস্কা হাতে গল্প বুনি ,
রিংটোনরা হারিয়ে গেছে।কলিং বেলে ফিরতি পথের গান শুনি ।।

চুমুর বড়ি আর লাগে না,ঠোঁটে মাঝে কথার লুকোচুরি।
গানের ভাষা কে বদলেছে?মেঘের ভেলায় উড়ছে ঘুড়ি ।।

ঠিক তখনই সন্ধ্যা হবে ,স্লোগান কোনো ভালোবাসা।
ভুল করবে যেনেও ,যে পথে তার নিত্য যাওয়া আসা ।।

চুপ কথা (১)





ঘুম পোড়ানো রাতের মত,শব্দগুলো নিঃস্তব্ধ থাক।
পুড়ছে হৃদয় ঝরো হওয়ায়,পথের মাঝে হঠাৎ কোনো বাঁক ।।

জীবন তখন অল্পদামি ,গোলাপ জলে মাখা ,
চোখের চোখ খুঁজেছে ,হয়নি দেখা ।।


এমনি করে পেরিয়ে আসা কয়েক শতাব্দী,
সন্ধ্যে হওয়ার আগেই ফেরার কথা ছিল,ফিরছি না আমি ।।

এখন শুধু বৃষ্টি মাপি ,ভীষণ মনের ওজন ।
মেঘ জমেনি আর,ভিড়ের মাঝে একাই আমি,ধোঁয়ায় আঁচে এই জীবন ।।

চুপ কথা (2)





জুঁই(১৮)





নীরবে হেঁটে গেছে দুচোখ ,সাজানো বালিয়াড়ি,
ডাক পিয়ানোর ঘুম শ্বাসে ,যাও দিলাম আড়ি ।।

ছেড়া ছেড়া মেঘ,তার খুব আবেগ ,অল্পতেই ।
বেশি চাওয়া হয়ে গেছে ভুল করে,বাঁচুক গল্পতেই ।।

যদি ভালোবাসে ভুল করে,সে'ত আর ফিরে না,
ইস্তিহারে বিজ্ঞাপন সাজানো "ভুল প্রেমে" আদিখ্যেতা না ।।

এসো তবে সময় গুণী,অল্প আদরে,
"ভালোবাসছি না" বলেছো ভীষণ আবদারে।।

জুঁই







         (১)

সেকোনো এক ডাকনামের মত প্রিয় ,
চোখের খাতিরে ,পারলে চিনে নিও ।।

চুলের ভাঁজে ভাঁজে,যদি কেউ ভেজে ,
ঠোঁটের অস্কারাতে ,চুমুও নীল রঙে সাজে ।।

হয়তো আজগুবি ,কিংবা মনখারাপি বিকেলে
প্রচ্ছদ হয়  ছবি তার ,ভুল এঁকে দিলে ।।

            (২)
সেবার মানচিত্র এঁকেছি ,অক্ষাংশে বিশাল রোদ্দুর'এ ।
নিরুদ্দেশ হয়নি শঙ্খচিল ,ভুল প্রেমে ।।

রোজ বুলেটে রক্তমুখী সংগ্রাম,বদলে ফেলা ।
এদেশ তারও নয়,ধর্ষিত রোজ কেউ না কেউ,বন্ধ এখনো সেই "পশ্চিমের জানালা"।।

কিংবা আত্মঘাতী বোমায় ভেসে গেছে রাজপথ।
কবিদের মৃতদেহে থুঁতু দিয়ে কবিতার বাঁচার শপথ ।।

তবুও ভোরে সূর্য উঠে ,তাঁতির শেষ বানানো বেনারসী,
শাড়ির সুতোয় মন বাঁধানো,নিঃস্ব হয়েও ভালোবাসি ।।

গতি পথ



রাত্রিগুলোকে সাজিয়ে রাখি ল্যাম্পপোস্টময় বিজ্ঞাপনে ।
কোলবালিশ জড়ানো চিবুক গল্প জড়ানো এক একটা স্বপ্নে ।।
"বিন তেড়ে এক পল জিয়া নেহি অব যায়ে সানাম "
শিশির ছুঁয়েছে ঠোঁট ,"হাম নেহি রেহে হাম" ।।

রোজ পৃথিবী সাজে কোনো না কোনো গল্পে
রোজ এগিয়ে গিয়ে ফিরে দেখা ,স্বপ্ন সাজাই স্বল্পে ,
বালির উপর ছককাটা জীবন যাপন ।
ছায়াপথে নেমে গেছে জানালার কাঁচে ,তুমি'ই তুমি তখন ।।

কিছুটা আলোআঁধারি যদিও চারদেওয়ালে ।
তবুও ছায়া নেমে আসে ছায়ায় ,ধানজমি আলে ।।
আমার আকাশে আরও একটা আকাশ সাজে ।
"তুমি/তুইএ" দেখি "আমার আমিও" মিশে গেছে ।।

রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

লেখা



রাত আমার শরীরে নেমে আসে তারপর।

আমিও প্রেমিক হয়ে উঠি মাঝে মধ্যেই
নখের আচর বুকে তার,মরুভূমি।
আবেগ বিক্রি গেছে বিজ্ঞাপনে।স্বপ্ন কমদামি...

এরপর দেশভাগ হয়ে যায়।অভিমান কাঁটাতার
ইমিগ্রেশন পেরিয়ে দেখি ,সেও পর!

সে অবহেলায় বাড়িয়ে দেয় শুধুই বারুদ
চোখ ভিতর চোখ তার,আমিও অচেনা খুব

ভুলে যাওয়ার স্বভাব এখন ভীষণ।একুশে আইন।
কাশ্মীর হয়েছে মন।বুকের ভিতর প্যালেস্টাইন ।

আমিও প্রেমিক হয়ে উঠি মাঝে মধ্যেই তারপরও
                     ভেঙে যাওয়া কোনো সংসার...তার।


  #জুঁই(২০)

তোমায় ভালোবেসে





     

কাল বা পরশু  তুমি অবশ্যই বুঝবে
কেন পৃথিবীর বুকে ক্ষত বিক্ষত ভঙ্গিল পর্বতের
উত্থানে ..ভুমিকম্পে শিউরে উঠে শরীর ?
চাঁদহীন আকাশের বুকে নামে অমব্যসার গাঢ় অন্ধকার ?
 সময় বদলে গেছে ..বদলে গেছে চারিদিক
অভিনয় মানেই  এখন  বেঁচে থাকা ।।
অভ্যেসে দাস আমিও,আসলে যে পাল্টে
যায় না কিছুই বদলে ফেলাই বেঁচে থাকা ।।

একাকিত্বের ঘুমহীন রাতে ..হয় না প্রভাত
যন্ত্রনাগুলোকে  ওভারলেপ করে নিকোটিনের আবেশ ।।
মুক্ত এ মন ,বদ্ধ সিলেবাসে ,দেয় স্লোট এক্সাম
ঝাঁপসা আলোয় পথ খুঁজি,কই পথ পেলাম??
ভবিষ্যৎটা  মরিচীকা ..তবুও চলা ।
      তোমায় ভালোবেসে ..।।
বদলে ফেলে ..বদলে নেওয়া
হাসি খুশির আর মিষ্টি অভিমানের অভিনয়ে ।।

শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

তোমাকে এভাবেই চাই




         

হ্যাঁ তোমাকে এভাবেই চাই ,যেমনটা আছো
আমার পৃথিবী জুড়ে ...।
টুকরো স্মৃতির নস্টালজিক মন
ঢাকুরিয়া লেক বা সায়েন্সসিটি ,
ইকোপার্ক কিংবা ভিক্টোরিয়ার বাগানে
উষ্ণ চুম্বনে ..আলিঙ্গনে  জমে প্রেম ।।
       ক্ষণস্থায়ি অভিনয় ।
নাহ্ গো ওটা আমার চাওয়া নয়।।

আমার জানালায় কাঁচে কুশায়ার ভোরে
রোজ শিশির জমে ..শিউরে উঠে ক্লান্ত শরীর
 দূর্বা ঘাসে ছুঁয়ে যায় আমার গভীর ।।
রং বদলানো বাস্তবতায় ,মৃত্যুর অভিযান
ঘুনধরা সমাজের বুকে ,বোকাবাক্সে আটকে প্রাণ ।।
 ঘুমহীন রাতে হতাশার হাতছানি
ঝাঁপসা আলোয় ,ভাঙ্গা আয়নাখানি ।।
 ঘড়ির কাঁটায় ,থমকে যে গেছে  সময় ।।
অনুভতিগুলো যখন আরো অনুভবময়
অব্যক্ত কথাতে ..কবিতার খাতাতে।।
কাছে কিংবা দূরে শত সহস্র বছর জুড়ে
 ঠিক এভাবেই তোমাকে আমি চাই ।।

মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

বুঝে নিতে হয়





     

সব কথা কি কখনো মুখে বলা যায় ?
প্রবালদ্বীপের অবস্থান সমুদ্রে কতটা গভীরতায়?
জানো কি ?
আগ্নেয়গীরির অগ্রে যে হিরক খনি
মৃত পৃথিবীতে মরিচীকার হাতছানি ।
ক্ষুধার্ত হায়নার মুখে হরিণীর মাংস ।
তুমি ও আমি ..সবাই টাইম মেশিনের
চাকায় আটকে ..সবাই যে খুব ব্যস্ত ।।

এখন অন্তর জালকের জড়িয়ে যায় পাঠানো চিঠি।
একসাথে ..একাকিত্বে উষ্ণতা বাড়ায় অনুভুতি ।।
সব কথা জমে গভীরে ..
নদী হয়ে ভেজায় আমার পৃথিবী ।
সব কথা কি মুখে বলা যায় ?
কিছু কিছু কথা জীবন পথে চলতে চলতে
ও গো বুঝে যে  নিতে হয় ।।

তোমার থেকে






আর একটু পর দিগন্ত রেখা মিশে যাবে সন্ধ্যার আকাশে ,
তখন ঝিঁঝির ডাকে ছায়াপথ বেঁয়ে পৃথিবীর বুকে ঝরে পড়বে
কিছু উল্কাও ।মেঘের ঘোমটা সরিয়ে হয়তো উঁকি দেবে চাঁদও তখন।
আর আমি এপথ ধরেই রোজ হেঁটে গেছি তোমার দেশে ,
বেনামী চিঠির মতো ।।

এদিকে আমার শহরে দুর্ভিক্ষে তখন মহামারী ,
ডেঙ্গুতে সাফ গ্রামের পর গ্রাম ।
ছুটে চলা ট্রামের ব্যস্ততায় আত্মঘাতী ছেলেটা
একলাই কথা বলে সে আপন মনে ,খোঁজ কেউ রাখে না।

ঠিক একটু একটু করে চলে গেছি আমিও দূরে,
বালিতে মিশে গেছে চুমুর উষ্ণতা গুলো ।
ঠোঁটের নিচের তিল সাক্ষী ,
আমার শহরে ল্যাম্পপোস্ট আর জ্বলে না
প্রতীক্ষারা আটকে গেছে দেওয়াল লিখনে সস্তায় ।।

সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

তুমি যে আমার ওগো



তুমি যে আমার ও গো তুমি যে আমার
কথায় অযথায় তুমি যে আসো আলোচনায়
প্রতিটি গান যে ওগো তোমারই কথা গায় ।।
জীবন মরুর মাঝে  ,এসো গো বধু সাজে
একা একা আমি আছি এখনো জেগে যে ।।
মৃত সভ্যতার বুকে ..একমুঠো সুখে
নেই কিছুই তুমি ছাড়া আর
    ...হারিয়ে ফেলছি সব ,যা হারাবার ।।
তুমি যে আমার ,ও গো তুমি যে আমার ।।

নিঃসঙ্গতায় কাটে প্রহর ,লাল নদীতে প্রবল
জলস্রোত , ভেসে যায় ,ছেড়া পালের নৌকা
স্বপ্নরা থমকে দাঁড়ায় পথ হারিয়ে ,
অন্ধকারে জোনাকির পায় কি দেখা ?

তবুও ..তুমি যে আমার ওগো তুমি যে আমার
স্বরনে স্বপ্নে ,একলা এই মনে
শুধু তোমারি অভিসার ।
তুমি যে আমার ও গো তুমি যে আমার ।।
তুমি আমার জীবনে আসি ,বাজালে ওগো বাঁশি ।
নিকোটিনের আবেশেও ও গো তোমায় ভালোবাসি ।।
মৃত বিবেকের রাজ্যে ,আগ্রাসী নৈরাজ্যে
গান গাইছি বদলে গিয়ে
 বদলে ফেলার ..।।
  তখনও ছিলে ,এখনো আছো কবিতা তুমি আমার
শুধু তুমি যে আমার ওগো ,তুমি যে আমার ।।



০৩/১২/১৬

রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮

ঘুম মেশিন




         

সময় কাটছে ..ঘড়ির কাঁটায়
ঘুম মেশিন ..অকেজো ..বর্তমানের পাতায় ।
ঘুমহীন রাতে ..রক্তাভ প্রভাতের আাগে
স্বপ্নরা থমকে দাঁড়ায় ..ঠিক চৌরাস্তায় ।।
মৃত পৃথীবির বুকে মৃত সভ্যতায় মরছে বিবেক
মরছে মনের কল্পনা ..ভাঙ্গা কাঁচের তৈরী আয়নায়
তুমি মুখ দেখো না আর তাই ।।
না না না ..ভাঙ্গা কাঁচে ঝাপসা অন্ধকারে
আর এগিয়ে যেও না ।।

ঘুম মেশিন ...স্তব্দ
সময় তবুও ছুটে চলছে ঘড়ির কাঁটায়
অশরীরি মন ..গল্প শোনায়
মিছিলের ভিড়ে বিজয়ের পতাকা উড়ে
মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে প্রতিবাদী হুংকার
বদলে যাও ..বদলে ফেলার ।।
রাত পোহাবে বলে ..রাত পাখি উঠছে ডেকে
তোমার আমার ভিতর প্রভাতের সূর্য্য তেজ উঠুক জেগে
....বদলে ফেলে ..বদলে ফেলার গান চলো গাই ।।

০২/১২/১৬

শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮

রোবোটিক হিউম্যান







         

দুনিয়াটা হাতের মুঠোয়
বকা বাক্সে জীবন বন্দি
সুপার হিরো বাস্তবতায়
নাহ্ আয়নম্যান বা সুপার ম্যান ওরা কেউ নয়
বহ্ম্রাণ্ড চালিত রোবিটিক হিউম্যানে
জিনেটিক ইজিনিয়ারিং ও ন্যানো টেকনোলোজি
  এক সঙ্গে ..মিলনের ফসল ।
মৃত্যুহীন ..অনুভুতিহীন ..থিংকিংএ
হাজার গুণ উর্দ্ধে ..।
প্রেম ..নাহ্ তোমার যন্ত্রনায় পড়ে না তো অশ্রু।
ইন্টারনেটের বন্দি মানব ।
শ্রেণীহীন সমাজ ..ধর্ম বলতে
এখন শুধু বাঁচা ...বাস্তবটা সবাই মেনে নেয় সহজে।
মৃত্যুর মিছিলে ..মোমবাতি তো জ্বলে না।।

                  (সংক্ষিপ্ত)

বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮

আমি ২০৩০ বলছি



               

হেমন্তের শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসের মাথায়
যে শিশির কনা ..পায়ে সুরসুরি দেয়
যে সকাল ..খেজুর রসের সকাল
দেখো ঠিক আর কয়েকটা দিন পড়েই
হাড় কাঁপানো শীতের সকালে আগুনে হাত পা
সেঁকে নেবে ..বাড়ির সবাই ও সঙ্গে গল্পের আসরে
হঠাৎ বাজি ..তাল দিঘির জলে কনকনে ঠান্ডায়
একশো ডুবে একশো টাকা ।
কোনো না কোনো মহান বীর একশো কেনো দুশো
ডুব দিতেও রাজি ....।।

এখন

       বদলে গেছে ,সবটাই বদলে গেছে
সকালে যে ভলি বলের আসর জমত
যে আগুনে হাত পা গরম করত
নেই ... মানুষ এখন ডিজিট্যাল ।
কম্পিউটারের স্কিনেই সব ।
ফেবু আর ওয়াটঅ্যাপেই জমে আড্ডা
দূর্বা ঘাসের শিশির ..ছবিই দেখে সব ।

শারীরিক



কাছে ,আরো একটু কাছে
পাশে,আরো একটু পাশে
চোখ,চোখের ভাষা ...
চোখের পাতায় গল্প লেখা আছে
কানে দুলছে দুল,বাতাস ছু্ঁয়ে
উড়ছে তোমার চুল....।
কপলের ভাঁজে ঢেউ খেলা স্রোত
কিছুটা আবেক ,কিছুটা ভালোবাসায়
ভেসে গেছি রোজ...।
তোমারই চোখের তা্ঁরায়
আমার মুখের ভাষা যে হারায়
রক্তাভ গাল নরম দূর্বা ঘাসে
আরো কাছে ,আরো একটু এসো পাসে
মিশে গেছো দীর্ঘশ্বাসে ......আমার।
ঠোট দুটি ওই মিষ্টি কথা বলে
হাসির ঝিলিক মাঝে মাঝে ঝর্ণা হয়ে ঝড়ে
একটু এসো না কাছে লিখবো কবিতা
গল্প কবে শেষ হয়ে গেছে
শুধু আঁকতে বাকি এখনো তোমার ছবিটা।
এলোমেলো পথে চলছে জীবন
হারিয়ে ফেলে আজ তোমায় খুজছে যে মন।
আরো কাছে আর একটু কাছে
পাশে, আর একটু পাশে
তোমার ঠোটে চুম্বন এঁকেছি
গল্প ছলে না হয় তোমায় একটু ছুয়েছি
কিন্তু আমি তোমাতেই ছিলাম
হারাইনি তো জ্ঞান ,হারাইনি তো দিক
তবুও কেন প্রেমকে আমার
নাম দিয়েছো শুধুই শারীরিক ?

সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮

সামনে আরও সামনে



এরপরও কিছু বাকি আছে ,এরপরও
শব্দমালা ..ঠিক হারায় ।
ছায়াপথ ..বলোতো তোমার শেষ কোথায় ?
মেঘের আড়ালেও সূর্য্য উঠে মনে রেখো
হয়তো চাঁদ নেই ,হয়তো আজ অমবস্যা
তো ..জলকাঁদা রাস্তায় কি থেমে গেছে পা দুটো?
জীবন মানেই তো চলা
নদীও বয়ে চলেছে ঠিক তেমনি ।
সাহারার বুকে মিশর সভ্যতা।
অতীত থেকে বর্তমানে ,তার পর ভবিষ্যৎ
আবর্তনশীল ..স্বপ্ন দেখি ,স্বপ্ন ভাঙ্গে আবার
নতুন স্বপ্নে বাঁচা ..এগিয়ে চলা, সামনে আরও সামনে ।
অমব্যসায় চাঁদ নেই  তো কি হয়েছে ?
অন্ধকারই তো আলোর অস্তিত্বকে প্রকাশ করে।।

শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮

সচ্ছা ভারত





     

চারিদিকের তুষার ঝড় ,রক্ত জমে গেছে
পারদস্তম্ভে পাঠ মাইনাস পনেরো ডিগ্রি ।
ওদিক থেকে শত্রুপক্ষের  ক্রমাগত গুলিবর্ষণ ।
হয়তো কোনো মাইন বোমের ওপর আমরা বসে
আছি ..একটু ভুল পদক্ষেপেই বাস্ট হয়ে যাবো।
হঠাৎ একটা গুলি আমার পায়ে এসে লাগল ।
রক্ত ঝরছে ..."নাহ্ তবুও পিছু হটবো না"
আমার মাতৃভুমির বুকে কারো আচড় লাগতে আমি
দেবো না ...."।।

পরসু যখন ক্যাম্পে ছিলাম টিভিতে
খবর পাঁচশো আর হাজার টাকার নোট বাতিল ।
সচ্চা ভারত অভিযান ...।
করোপশন ...কালোবাজারে রমরমা
আমার মাসের পর মাস ..দিনের পর দিন
জীবন বাজি রেখে ওই ঠাঁয় দাঁড়িয়ে
শত্রুর আক্রমনকে প্রতিহত করেছি ।
দেশের মধ্যেই যদি জঞ্জাল থাকে
সীমারেখায় কাঁটাতারে কি লাভ বলো ?
ভিতর থেকে ঝেঁটে পরিষ্কার করলেই তো
ঘর পরিষ্কার হবে ।
তবুও ..উল্টো বায়ু প্রবাহ ..।



@শেষ রক্ত বিন্দু

রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

মুখোশের আড়ালে

মুখের আড়ালে মুখ খুঁজে দেখো ,সে প্রেম কি ?
শরীর থেকে শরীর।কামড়ে দেওয়া বিজ্ঞাপন কি?

#জ্যোতির্ময়


শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৮

প্যারোডি

জনগণ মন অধিনায়ক ভাগ্য বিধাতা ,
জ্বলছে দেশ ,রক্ত ভীষণ,"স্বাধীনতা"।
পাঞ্জাব সিন্ধু গুরুরাট মারাটা
মোমবাতি জ্বালিয়ে প্যারোডি লিখছে বিধাতা।।

         এ আমার ভারত হে ,আমার ভারত হে..

গাড় মেরে দিয়ে দেশের ,গাড় মেরে দিয়ে ডেমোক্রেসি,
কৃষক শ্রমিক আত্মহত্যা করে, কেউ চুষে খায় আরো বেশি ।
দ্রাবিড় উৎকল "বাংলা" হয়েছে বঙ্গ ,
মুখ খুলে দেখো "দেশদ্রোহী" বলে করবে উরু ভঙ্গ।।

     এ আমাদের মৃত্যুর উপত্যকা হে ..মৃত্যুর উপত্যকা হে....

মুখোশ গুলো আজ দারুণ,পতাকা হাতে উজ্জাপন স্বাধীনতা'র
কালো টাকার করোপসন ,খুনি ,ধর্ষক চালাচ্ছে দেশ,তারাই মহান নেতা।

    এ আমাদের ডেমোক্রেসি হে ,ডেমোক্রেসি হে

চাকরি দেবে প্রতিশ্রুতি,ফর্ম ভরে দেয় গার মেরে
ব্রেকিং নিউজ অভিনেতারা সংবাদ শিরোনামের ।
এমনি ভাবেই দেশ চলছে আবার ছাপ্পা ভোটে রক্ত চোষা ,
শহীদের রক্তের সাদা পাতায় ভাগ্য লিখছে নেতা ...।

এ আমাদের স্বাধীনতা হে ,এ আমাদের স্বাধীনতা হে

কটা সৈনিক মরলো বর্ডারে ,নেই কোনো খোঁজ
সেলেব্রিটি ধর্ষক আবার নেতাও আজকে করে আপসোস,
তবুও আমরা "দেশদ্রোহী"মুখ খুলেছি যেই,বাক স্বাধীনতা।
ভাতের অভাব ফুটপাতে,প্যারোডি লিখছে বিধাতা....

জয় হে ,ভয় হে ভয় হে ,এ স্বাধীনতা হে ,এ ভারত বিধাতা হে ,

ভয় ভয় ভয় ভয় হে.....

©অজাত শত্রু

ক্ষমা করে দেবেন প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ, জাতীয় সংগীত লিখতে গিয়ে অন্য কিছু লিখে ফেলেছি।

জনগণের কাছেও আমি ক্ষমা প্রার্থী ।ক্ষমা করবেন মন্ত্রী মশাই,নেতা ...
ক্ষমা করবেন বিধাতা ...

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮

কবিতা_সঙ্গে_তুমি_আর_আমি

(দ্বিতীয় পর্ব )

#কবিতা_সঙ্গে_তুমি_আর_আমি ।

©জ্যোতির্ময় রায়

"হাঁস ছিল ,সজারুও ,(ব্যাকরণ মানি না )
হয়ে গেল" হাঁসজারু" কেমনে তা জানি না ।।"
                    সুকুমার রায় (খিচুড়ি কবিতা )
"হোক তবে" খিচুড়ি " ভেঙে ছুড়ে ফেলে কিছু কবিতাও ।
ব্যাকরণ না মেনে ভাষা পাক "শব্দ দিয়ে "সাজানো কথাও ।।"

থাক !অনেক বিজ্ঞ লোক আছে বাবা ,বলবে এসব কবিতা ?
এসব পাগল প্রলাপ ,এক্কে বারে যা তা "।।

আরে মশাই ছাড়ুন তো । আপনি লিখুন আপনার মতো করে । যারা লিখেত জানে না ,যারা মুখ ফুটিয়ে সব কথা বলতে পারে না ,তারা কি করবে ? নিজের ভিতরেই মরতে থাকবে রোজ ? কথা জমতে জমতে একদিন তো" বুমম"। আর তা হবার আছেই প্রতিনিয়তই ক্রমশ বেড়ে চলেছে কোলাহল ,জনঘনত্ব ,যান জোট ।একদিকে সৃষ্টি আর অন্য দিকে ধ্বংসের লীলা । আর এর মাঝেই নিয়ম ,নিয়ম ভাঙার নিয়ম ।একটা নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধত্বা ,কিংবা ভিড় ঠেলে লোকাল ট্রেনে একটু বসবার জায়গার লড়াই ।এর মাঝেই কত শব্দ ,দৌড়ঝাঁপ ,কিংবা পড়ছে বাজ ,কোথাও আর্তনাদ কোথাও আনন্দ উল্লাস কিংবা মিছিল ,ইঁদুর খুঁজে চিল ।আরও কত শব্দ ....রোজের বাস ট্রামের ভিড়ে শব্দেই শব্দ হারাচ্ছে ।আর এর মাঝেই হাসি মুখে ভালো থাকার চেষ্টা ।
এটাই জীবন ,একটা আবোল তাবোল ছন্দে কিন্তু নির্দিষ্ট তালে  এগিয়ে চলছে জন্ম থেকে মৃত্যুর দিকে ।

তাই ছন্দ ছাড়া ,তাল ছাড়া ,সুর ছাড়া ,কিংবা শব্দ ছাড়াও (মুখে আসে কিন্তু বহিঃ প্রকাশ নেই ) তাদের সাজিয়ে একটা একটা জীবনের গল্প কথা নিয়েই কবিতার খোঁজ ,একটা গানের খোঁজ ।
যে সব শব্দ হারিয়ে যাচ্ছে সবার অলক্ষ্যে সেই সব না বলা কথার বহিঃপ্রকাশে এই প্রচেষ্টাই হোক তোমাতে আমাতে  । জানি সে গুলো কবিতা না ,কিন্তু তবুও কবিতা ,তবুও বাস্ট হয়ে যাবার আগে একটু নতুন করে বেঁচে উঠার মন্ত্র ।

(সংক্ষিপ্ত )

লিখেছি তোমার নাম

#লিখেছি_তোমার_নাম

©জ্যোতির্ময় রায়

কয়েকটা ঝিনুক এঁকে বেঁকে রেখে গেছে পদচিন্হ ।
শামুকের খোলসে প্রান্তর ছুঁয়ে গেছে বালির দাগে ,
ফেনায় ফেনায় চকমকি ,চাঁদের কলঙ্ক মুছে গিয়ে
একটি জোনাজ , শুকতারও দিচ্ছে উঁকি ....।।

যে নাম লিখছি আমার তীরে, ঢেউ বলে দেয় অবস্থান
কোন দ্রাঘিমাংশে জলে শব্দের কবিতা জেগে উঠে ।।

দু একটা নুড়ি দিয়ে যদি স্বপ্ন কিনে দূরত্ব মাপি
রিখটার স্কেলে ,আমার পৃথিবী তখন চাঁদ মাখা
মানচিত্র হয়ে আরশি নগর আঁকে ।

নিউজ তখন হাইলাইট ,আছড়ে পড়েছে ঢেউ
আমার তীরে গোলাপী তরঙ্গে,সাপোর্টবক্সে পুরোনো চিঠি,
হয়তো কাছে ডাকছে তোমায় কেউ ।।

টিউশন মাস্টার



#টিউশন_মাস্টার (1)
 *******************

                      ©জ্যোতির্ময়

এস এস  সি অনেক বার দিয়েছি
      চাকরি একটাও এখনো নাই ,
ছোট্ট একটা সংসার আছে
     টিউশনি করে চালাই l
ছোট্টবেলায় দেখতাম অনেক স্বপ্ন
          ছিল কতো এই মনের আশা ,
স্বপ্নতো স্বপ্নই থাকে
তাই করি আজ ছাত্র পড়ার ব্যবসা l
মাস গেলে বেতনটা তাই ঠিক নেই গুনে ,
বৌ আছে ,ছোট্ট একটা ছেলেও আছে ,
সংসার যে চলে তবুও বড় টানে l
বি এ পাশের পর করি এম এ
তারপর করি বিয়ে ,
যৌতুকটা নেই মোটা অংকের
চাকরি যে কিনবো সেই দিয়ে l
দিলাম টাকা ,
একগুচ্ছ আশা পেলাম
চাকরি না ছাই ...আমার মন্ডুমাথা l
বৌয়ের কথায় উঠি বসি ...
শশুর আমার দেবতা ,
মাসের শেষে বৌয়ের হাতে দেই তুলে সব বেতনটা l
হাল বাইতেও যে জানি না আমি
কিংবা মাঠে চাষ ,
মজুর খাটতেও ঘৃণা হয়
"পড়া শুনা করে একি আমার সর্বনাশ ?"
আমার বন্ধু দীপক পড়াশুনা
ছেড়ে বিদেশ খাটতে গেলো ,
এখন দোতলাবাড়ি তার ...
এই কালকেই বাইক সে যে কিনলো l
আমি শুধু রোজ থাকি প্রতীক্ষায়
শেষবারের মতো যদি এই বার চাকরিটা হয় l l

বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৮

প্রেমিক হয়েই




#প্রেমিক_হয়েই

আমি ওপথে আর ফিরে তাকাবো না ,
সেই মেঠো পথ ,ঘাস ফুল হয়ে ফুটে থাক
"না হওয়া প্রেমের" মত সে প্রেম।

প্রেমিক ভাবতেই শিউরে ওঠে মন জমি
ভীষণ অপরাধ বোধে ছুঁয়ে দেখা ঠোঁট
কেঁপে কেঁপে বলে উঠে "ভালোবাসি,ভালোবাসি"
           নাহ " ভালোবাসি না ,আমি একটুও
                    ভালোবাসি না"

পালিয়ে যেতে যেতে আরো অনেকটা দূর
মিছিলের ভিড়ে একাকি, গুনে দেখা সময়
  বান্ধবীগাছ এ ছায়া আমার নয় ...

অর্থহীন মোমবাতিরা জ্বলতে থাকুক
              সে সমদ্দুর ...

©জ্যোতির্ময়

ভালোবাসি শুধু

ভালোবাসি_শুধু
 ************

   ©জ্যোতির্ময় রায়

যত দূর  চোখ যায়
একটা নীলচে পর্দা জানালায়
তুমি  ছুঁয়ে দিলে আমার রং তুলি
লাল ,নীল ,হলুদ আবীরে সবুজ সিগন্যাল
চৌমাথা মোড়ে আর গাড়ি থামেনি ॥
পারলে একটু মেঘ ধার দিও আমাকে
আমি দূর্বা ঘাসে বৃষ্টি হয়ে পড়বো
শিউরে উঠবে তোমার শরীর
আর একটু ছুঁয়ে দিতে .... ॥

রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮

দেশ

#দেশ

(বর্গীয় জ  তে  প্ৰকাশিত )

©জ্যোতির্ময় রায়

বোতাম আঁটা জামার নিচে বুক পকেটের ভিতর
কিছু চিমনির ধোঁয়ায়  আরো একটা সভ্যতার পতন ।
ঝলমুড়িতে কেটে গেছে বিকেল ।
লোকাল ট্রেনে আজও স্বপ্নরা পনেরোই আগস্ট আঁকে  ॥

নিষিদ্ধ পল্লীতে তখন গভীর রাত ,
আমার শহরে অফিস ফেরত মিছিলে সুখীগৃহকোণ।
ধানজমিতে খুশির নবান্ন । মেঠো পথ দিয়ে আসে
আগমনীর বার্তা .... ॥

ভাষ্কোডাগামার কম্পাসে সমুদ্র সফেন
কলম্বাস আজও আমেরিকা খোঁজে ... ।
রমজান হোক কিংবা দুর্গা পুজো  অন্ধকার তখন
চাঁদ সাজায়... শুক তারা  হয়ে প্রেম উপন্যাসের সূচনায় । ।

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৮

বেশ ভালো আছি এখন

#নীলাঞ্জনা_তোমাকে (২৬)

আজ নীলাঞ্জনার কথা শুনাবো বলে ঠিক করেছি
অনেক দিন হলো নীলাঞ্জনার খোঁজ নেওয়া হয়নি ।

#বেশ_ভালো_আছি

**********@জ্যোতির্ময় রায়

হ্যাঁ গো খুব ভালো আছি আমি
কেমন আছো তুমি ?
আমায় মনে পড়ে ?ভুল করেও কখনো ?
জানো আমার স্বামী খুব ভালো মানুষ
তুমি যে সেই ছোট্ট বেলায় পুতুলটা দিয়েছিলে
জন্মদিনে ..এখনো অক্ষত ।
বিয়ের পড় নিয়ে এসেছি সেটাকেও
ও সব জানে ..তোমার কথা ।
সেই তোমার হারিয়ে যাওয়া
আমি প্রতীক্ষায় স্টেশনে ,পালিয়ে যাওয়ার জন্য
নাহ্ তুমি তো আসো নি
আমি অপেক্ষা করেছিলাম তবুও ।
ফিরে তো আর আসোনি তুমি কথা দিয়ে ?
বাবা বিয়ে ঠিক করল ,আমি না করিনি
কার ভরসায় থাকবো বলো ?
যে কথা দিয়েও ,কথা রাখে না ,
তাকে ভরসা করা কি যায় ?
আজ ভালো আছি ,
আজ নতুন জীবনের ছবি রোজ আঁকি
ছোট্ট  সংসার ,তিন জন সদ্যস
তুমিও তো বলতে আমাদের ছোট্ট একটা
সংসার হবে ,তুমি আমি আর একটা ছোট্ট সোনা ।
ঠিক তেমনি তোমার মতো করেই সাজানো
ও হ্যাঁ আমার একটা ছোট্ট সোনাও আছে
নাম দিয়েছি অভি ..তোমার ডাক নাম
আমার দেওয়া ..,নিশ্চয়ই তোমারও
ছোট্ট সোনা হয়েছে ,ছেলে হলে নীল
আর মেয়ে হলে অনি , তাই তো ?
নাকি নীলাঞ্জনা রেখেছো নাম ?
নাহ্ কেন রাখতে যাবে বলো ?
ভালো তো তুমি বাসোনি আমায়
যে ভালোবাসে সে কি কখনো ছেড়ে যায়?

(ক্রমশ .....)

যেখানে সে নেই





যেখানে সে নেই এমন গল্প বল
বয়ে যায় সময় ,তবুও চোখে কেনো জল ?
যেখানে খোলা আকাশ ,যেখানে একলা বাতাস
গায় বেঁচে থাকার গান l
যেখানে আধমরা এই মনটা ফিরে পাবে প্রাণ l
স্মৃতির পাতায় লিখে রাখা সব কথা
পড়লে মনে দেবে না যে আর ব্যাথা l
স্বপ্নরা আর দেখাবে না তার মুখ
কোথায় গেলে পাবো বলো এই সুখ l l
জানালা জুড়ে রোদের খেলা
সূর্য্য কবে ডুবে গেছে, বয়ে গেছে বেলা l
শিশিরে কণায় মিশে গেছে মন
আমিও ভুলে যেতে চাই তার মতন l
বিকালের সেই একসাথে চলা
চোখে চোখ রেখে না বলা ,কথা বলা l
এমন এক ঠিকানায় মন হারিয়ে যেতে চায়
সারা পৃথ্বী খুঁজলেও যেনো সে আমায় না পায় l
যে রূপকথায় জমে না মেঘ
চোখে আসে না জল
যেখানে সে নেই এমন একটা গল্প বল
মনে যেনো না পরে তাকে
চোখে যেনো না আসে আর জল l l

অপেক্ষা করেছিলাম

#নীলাঞ্জনা_তোমাকে (18)

#অপেক্ষা_করেছিলাম
  *******************


                       ©জ্যোতির্ময় রায়

 আমি অপেক্ষা করেছিলাম
একটা হিমালয়ের জন্য ..
আমি অপেক্ষা করেছিলাম
একটা সিঁদুরে মেঘের জন্য ...
সূর্য্য ডুবেছিল ...গৌধূলি বেলায়
দিনশেষে নেমে এসেছিলো আঁধার l
আমি অপেক্ষা করেছিলাম ..
একটা আশ্রয় ...একটা নিদ্রাপূর্ণ রাতের
তোমার আমার পৃথিবীতে ছোট্ট একটা আকাশ
সাত সমূদ্র তেরো নদী পেরিয়ে এসেছিলাম
একটা নীল পদ্মের জন্য ...l
একটু ভালোবাসা পাবো বলে .
মনের ইচ্ছার স্বধীনতা ...l
তুমি এলে না ..
আমি তবুও বসেছিলাম স্টেশনে ..
তুমি আসবে বলে ....আসোনি
বৃথা প্রতীক্ষা আমার l
অশ্রু বাষ্প হয়ে উড়ে গিয়েছিলো 
মস্তিষ্কে স্নায়বিক আন্দোলনে
শিরাউপশিরায় হয়েছিল সুনামি
না তবুও তুমি আর আসোনি l
তবুও অপেক্ষা করেছিলাম আমি l l

তোর জন্য



তোর জন্য আজ আকাশ সাজালাম ,
মুঠো ভরা খুশির রং তারায় ছড়ালাম ।
তোর জন্য আজ প্রদীপ জ্বালালাম সন্ধ্যা বেলায় ,
ভুল করে তোর যেন পথ না হারায় ।
তারারা বাজায় আজ সানাই শর্বরী ,
তোর জন্য পাঠালাম মেঘের তরী ।
তুই আসবি বলে পথ চেয়ে যে থাকি ,
গৌধূলি বেলায় মেঘের আড়ালে তোরই ছবি আঁকি l
তোর জন্য ঘাট থেকে জল এনেছি আমি ,
পাখির ডাকে শুনতে পেলাম তোর আগমনী l
তোর জন্য বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে ,
অঙ্গে অঙ্গে মোর তোকে ছোঁয়ার অনুভূতি জাগে ।
তোর জন্য কতো বার বৌ সাজি গোপনে ,
তোর জন্য কোকিল ডাকে ,ফুল ফোটে যে মনে ।
আমার আকাশ হারিয়ে সাজিয়েছি তোর আকাশ খানা ,
তোর জন্য ইচ্ছেমতীর বাঁকে মেলেছি আজ ডানা ।

বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৮

চাঁদ কিংবা ফানুস

#চাঁদ_কিংবা_ফানুস

©জ্যোতির্ময় রায়



 মেঘহীন বৃষ্টিপাত (একটা শীতকালীন সকাল)
 চাদরে জড়িয়ে রোদ ছুঁয়েছে নরম ঘাস ।
     চাঁদ @ফানুস
     রিউমেটিক বিদ্রোহ
         তোমার
          দেওয়াল
             লিখন
             জু ড়ে
'আমার হরমোনেটিক এক্সপ্রেশন (?)= গোলাপী ক্যানভাস ।।


(সিন্যাপস ওয়েব ম্যাগ এ প্রকাশিত )

বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮

অ্যাসকরবিক

#অ্যাসকরবিক



©জ্যোতির্ময় রায়

মৃত ঘোষণা করলো তারপর ।
            থেরাপিউটিক ইন্ডেক্স'এ
পয়জনেটিক পোয়েট্রিরা >নির্বাসিত ।
মানচিত্রহীন পৃথিবীর বুকে নেগেটিভ স্লোপ ।।
         
            "একটা ভু মি ক ম্প "
পোশাকি থাবায় প্রেম প্রেম সুগন্ধি ।।


(সিন্যাপস ওয়েব ম্যাগ এ প্রকাশিত ) 

আগন্তুক

আমি রোজ তোর প্রেমে পড়ি ।
রোজ ডাল ভাতের সংসার
ছায়ার মাঝে ছায়ায় মিশে কথা
তবুও তোর মানচিত্রে নদী পারাপার ।

গল্পের মতো শেষ হয়ে যাবো হয়তো আমিও
মাইল ফলকে হিসেব লেখা ।
দূরত্বটা অনেক জানি তবুও
পাহাড় থেকে সাগর তীরের হবে কোনোদিন দেখা ।।

©জ্যোতির্ময়

সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮

অকাজ

কিনছে সময় ,চায়ের কাপে, দশটাকার দিন
ভাঙ্গছে মন,ভাঙছে বাড়ি,সংসারী নিকোটিন..


বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮

প্রেম ইজুক্যাল টু(৭)



     

জ্বলছে...হ্যাঁ গো জ্বলছে ভিতরের
সব অঙ্গপ্রতঙ্গ ..লাল নদীতে এক ফোঁটাও
বৃষ্টি নেই ,শুধু ধূঁধূ মরুভুমি ।
অন্ধকারের পথ হারিয়ে গেছে
একাকি গাইছি তাই বেঁচে থাকার গান ।
একটু একটু করে দূরত্ব বাড়তে বাড়তে
অতীত থেকে অনেকটা এগিয়ে
তবুও আমার পাহাড় বেঁয়ে রামধনু উঠে
হারিয়েও যায় আবার নিমেশেই।
শিশিরের কনা দূর্বা ঘাসের মাথায় জমলে
সূর্য্যের বিকরীত তাপে পারদ স্তম্ভে
সেই একশো চারের অনুভুতিরা বয়ে যায়
সারা শরীর বেঁয়ে ।
মৃত প্রেমের  দুঃস্বপ্নরা এক একটা কবিতা
অভিমান..সন্দেহরা ভাইরাস প্রেমে
চাওয়া পাওয়ার হিসাবে ভুল করায়
স্মৃতি গুলো অজানতেই সিগারেটের মতো
                 জ্বালায় ভিতরটা ।

মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

অন্য লক্ষ্মী

#অন্য_লক্ষ্মী ,

     যে প্রেমিকাও হতে পারে ,কিংবা ক্রাশ
      ভীষণ সংসারী।ষোড়শী। কিংবা ক্ষত
                       প্রথম প্রেমের মতো সর্বনাশ...

In the frame: Kabita



রবিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৮

অকাজ


হয়তো বুঝবে ভুল ফের।মাটিদাগ শরীর।চুম্বনে 
প্রতীক্ষা ওই মনের শুধু।ভালোবাসাও নাকি 
            বিক্রি হয় ওই বিজ্ঞাপনে'ই ...

#অকাজ




অকাজ

মন ভেঙে যাক তারও।ভাঙছে শিকল।ফ্রেমে
তুমিও ভুল বুঝে নিও কিছু।অভিমান থাকুক প্রেমে'ই ..


অকাজ









তুমি দিয়েছিলে প্রেম।ক্ষত।প্রতিশ্রুতি
   আজ এ শরীরও নষ্ট বুঝি।সিগারেট দাগ।
                   পোড়ামুখী  অনুভুতি'র ...