এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭

দীপাবলী নিয়ে কিছু কথা

বাংলায় ‘দীপাবলি’, হিন্দিতে ‘দিওয়ালি’-যার সংস্কৃত অর্থ “প্রদীপের সারি”। এই দিন হিন্দুরা ঘরে ঘরে ছোটো মাটির প্রদীপ জ্বালেন। এই প্রদীপ জ্বালানো অমঙ্গল বিতাড়নের প্রতীক। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র মতে, কালী হচ্ছেন অগ্নির সপ্তম জিহ্বা আর অগ্নি হচ্ছেন স্বয়ং ঈশ্বর; যা কালী বা শ্যামা নামে ভক্তদের কাছে উপস্থিত হয়। মাতৃ আরাধনার আরেক রূপ হচ্ছে শ্যামা পূজা। দীপাবলি হচ্ছে এই পূজার অন্যতম আকর্ষণ। এই দিন বাড়িঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সারা রাত প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলে ঘরে লক্ষ্মী আসেন বলে হিন্দুরা বিশ্বাস করেন।


হিন্দু পুরাণ মতে, দেবী কালী- দুর্গারই একটি রূপ। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম্য। কালীদেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুণ্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।


উত্তর ভারতীয় হিন্দুদের মতে দীপাবলির দিনেই শ্রীরামচন্দ্র চৌদ্দ বছরের নির্বাসনের পর অযোধ্যা ফেরেন। নিজের পরমপ্রিয় রাজাকে ফিরে পেয়ে অযোধ্যাবাসীরা ঘিয়ের প্রদীপ জ্বেলে সাজিয়ে তোলেন তাঁদের রাজধানীটাকে। এই দিনটিতে পূর্বভারত বাদে সম্পূর্ণ ভারতবর্ষে লক্ষ্মী-গণেশের পুজোর নিয়ম আছে। জৈন মতে, ৫২৭ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে মহাবীর দীপাবলির দিনেই মোক্ষ বা নির্বাণ লাভ করেছিলেন। ১৬১৯ খ্রিস্টাব্দে শিখদের ষষ্ঠ গুরু হরগোবিন্দ ও ৫২ জন রাজপুত্র দীপাবলির দিন মুক্তি পেয়েছিলেন বলে শিখরাও এই উৎসব পালন করেন। আর্য মাজ এই দিনে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর মৃত্যুদিন পালন করে। তারা এই দিনটি “শারদীয়া নব-শস্যেষ্টি” হিসেবেও পালন করেন।


দীপাবলি ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, মরিশাস, গুয়ানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, সুরিনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিজিতে একটি সরকারি ছুটির দিন।


প্রত্যেক সার্বজনীন আনন্দের উৎসব মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জয়কে উদযাপন করে। আলোকসজ্জার এই দিবস অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলো জ্বালার দিন। নিজের ভেতরের বাহিরের সকল অজ্ঞতা ও তমঃকে দীপ শিখায় বিদূরিত করার দিন। প্রেম-প্রীতি-ভালবাসার চিরন্তন শিখা প্রজ্বলিত করার দিন। দেশ থেকে দেশে, অঞ্চল থেকে অঞ্চলে- এই দিনের মাহাত্ম্য ভিন্ন ভিন্ন; তবু মূল কথা এক। আর আধ্যাত্মিকতার গভীর দর্শনে এই দিন- আত্মাকে প্রজ্বলিত করে পরিশুদ্ধ করে সেই পরমব্রহ্মে লীন হওয়ার দিন।


কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ প্রসঙ্গে বলেছেন-
‘‘ঘরে ঘরে ডাক পাঠালো
দীপালিকায় জ্বালাও আলো,
জ্বালাও আলো, আপন আলো
সাজাও আলোয় ধরিত্রীরে।’’


তথ্য- উইকিপিডিয়া


বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭

সাম্যবাদ

সাম্যবাদ
        
........শূন্যস্থান অপশনহীন
মস্তিষ্কে চাপানো বিরাট বড়ো পাথর
বিবেকের মৃত লাশের মিছিল
একবিংশ শতাব্দীতে ...মোমবাতি জ্বলছেনা।
সিগারেটের ধোঁয়ায় ধোঁয়াশা পৃথিবীর বুকে
রক্ত নদীতে সন্তান হারা মায়ের দুফোটা অশ্রু বিন্দু।
ধর্ম তুমি আসলে কি বলোতো ?
ব্যাবসা নাকি আত্মিক ?নাকি প্যারা আত্মিকত্বায়
করো বিবাদ ..সারা সংসারময় ?
ফুটপাতে শীতের কাঁপছে শিশু
মোমবাতি বিক্রি করে সেও ,
বাবা নিঁখোজ কবে ?
রাজপথে চলন্ত বাসে ছিঁড়ে খেল নির্ভয়া
রোজ কত কেরসিন তেলে জ্বলছে নতুন বধুর  শরীর
পণের বোঝায় ভেঙ্গে গেছে মেরুদন্ড বধুর পিতার
ধর্ষিত বোনের নেই সমাজে ,আগুন পায় না সে চিতার ।
রাজা আজও উলঙ্গ
সবাই জানে ,প্রশ্ন করার কেউ নেই,
সবার লাগে যে ভয়
ভগবান কুম্ভকর্ণ ।
"তোমায় কেউ ঠকাচ্ছে ,তুমিও ঠকাও যাকে পারো "
এটাই নিময় ..নিময় না মানলে ঠকবে সারাজীবন।
যা তোমার পাপ্য তা না পেলে ছিনিয়ে নাও
নাহলে অন্য কেউ ছিনিয়ে নেবে ।
এই সংসারে কেউ যে কারো নয় ।
সব মস্তিষ্ক বিকৃত ,উল্টো সব পথ
বাঁচতে তোমায় হবেই ,মৃত আজ সাম্যবাদ ।।

সবটুকুই_তো_তোমার_জন্য

সবটুকুই_তো_তোমার_জন্য
      
অসুস্থ শরীরের একি এ কিসের ক্ষত?
একি শরীরের বেয়ে নামছে কেন শুষ্ক নদী ?
আমার কাছে থাকত যদি যন্ত্রনা সব মাপার যন্ত্র  ।
নিকোটিনে মিশে গেছে স্বপ্ন ....।
অন্ধকারে জ্বলছে মৃত প্রেমের শরীর।
নস্টালজিক ..ছেঁড়া মৃত ডাইরি হাতে আজ কবি ।।
শব্দমালাও জানে ..হৃদয় নিংরানো অপ্রকাশিত শব্দের
যন্ত্রনায়..দূর্বা ঘাসের মাথায় জমে শিশির ।
কালো মেঘে হয় একপশলা বৃষ্টি ।
গলির ওই ল্যাম্পপোস্টের আলোয়
সন্ধ্যায় জমে আজো প্রেম ,
উষ্ণ চুম্বনে ,আলিঙ্গনে ,দু-চোখে জমে প্রচুর স্বপ্ন ।।
আজো এই অমবস্যার মাঝ রাতে
যুদ্ধ করি কার সাথে ,ভিজে গেছে পাশবালিশ ।
ভাঙ্গা আয়নায় দেখছি তোমার প্রতিচ্ছবি
বর্তমান অতীতকে  করে ছোট্ট ছোট্ট ভুলের নালিশ।।
ভাঙ্গতে গিয়েও পড়ছি ধরা ,
হারিয়ে যাচ্ছে নিজের সত্বা
প্রেমের ফাঁকা ফ্রেমে হারিয়ে গেছি ।
আকাশে ভুল করে ঢোকা শঙ্খচিল আমি তোমার
হারাচ্ছে একে একে সব
আরো কত কি আছে হারাবার ভাবছি ।
তাই "আকাশ বেয়ে নামছে নদী
আমার কাছে থাকত যদি যন্ত্রনা সব মাপার যন্ত্র ।।"

অন্ধকারের_পর

অন্ধকারের_পর
    
রাতের ছুটি ,সূর্য্য উঠছে
শিশির ভেজা হেমন্তের
দূর্বা ঘাসের মাথায় হিরক  খন্ড
ওরাদের দুবেলা দু মুটো ভাত চাই
শরীর বেয়ে নামছে রক্ত নদী ।
ওদের কাছে থাকত যদি
ঝলসানো ওই রুটি ।
ধ্বংস হচ্ছে বিবেক ,মানবিকতা আজ নেই।
ঝরছে রক্ত, সমাজের ক্ষত রোদে শুকায়নি ।
নর্দমার জলে ছুড়ে ফেলছে বিষাক্ত প্রেম ।
আহত পাখি আর্তনাদে কেউ আসেনি
সমাজে স্থান নেই ধর্ষিতাদের ।
তবুও সূর্য্য উঠছে ,...আলো
অন্ধকার ঠিক সরাবে ।।

লাইট_ফ্যাসটিভ্যাল

লাইট_ফ্যাসটিভ্যাল
    
অমবস্যায় চাঁদ নেই
চাইনিজ লাইটে ঝকমকে গোটা শহর
গ্রামের ঝাঁপসা অন্ধকারে মৃত মোমবাতির
ভিড়ে ..একটা মাটির প্রদীপ উঠবেই জ্বলে ।
বস্তির গলিটা অন্ধকার ।
তোমার আমার মাঝে কাঁটাতার ।
ক্ষুধার্ত শিশু ঝলসানো রুটি যে চায়
শিশিরে হীম শীতল অশ্রু মায়ের
রাজনৈতিক দাঙ্গায় ছেলে নিখোঁজ
স্বপ্ন মিশছে নিকোটিনের ধোঁয়ায় রোজ।।
আর নয়,
রাতেও জ্বলবে হাজার মোমবাতি
বোবাটাও কথা বলবে এবার
নর্তকি ও..এবার মা শ্যামা ,মুন্ডু হাতে
ধর্ম্মের বিভাজিত ধ্বজা পুড়ে যায়।।
বঞ্চিত ওই পরাজিত পথিক ..পথ হারিয়েও
   ফ্যাসটিভ মুডে প্রেমের গান গায়।।

শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭

কোনো না কোনো দিন

#কোনো_একদিন
        @জ্যোতির্ময় রায়
আর কতটা পথ বাকি?
আর কয় পা সামনে এগোলেই
বর্তমানেকে পেরিয়ে কয়েক আলোকবর্ষ
সামনে পৌঁছে যাবো আমি ?
জনসমুদ্রে মিশে যাওয়া সত্বা
খুঁজে আনে মৃত প্রেমের লাশের তদন্ত ।
যন্ত্রনাক্লিষ্ট মুখগুলি শব হবার অপেক্ষায়
শশ্মানের কাঠ গোরায়া দাঁড়িয়ে মুক্ত প্রাণ
গল্প শোনায় ..."চেয়েও না পাওয়ার বা
পেয়েও হারিয়ে ফেলার "
ফ্যালিয়রদের কাহিনী কজন শোনে বলো ?
অথচ সংখ্যায় এরাই বেশী ।
নিজের সত্বা হারিয়ে অন্যের গানে গলা মেলাই।
ইতিহাস তখনই ভূলে যায় এদের কথা ।
আমিও এই দলেরি লোক ।
চলছি ..ঝাপসা অন্ধকারে পথহারা বার
এরই মাঝে ..খুজি আজো তোমায় ।
হয়তো কোনো একদিন ..আবার দেখা হবে ।
কোনো স্টেশনে আধবা বাস স্ট্যান্ডে
অধবা জনস্রোতে ..আমি তখন
ওই ইতিহাসহীন কোনো কবিতায় মিশে যাবো ।।