এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সুমিত মোদক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সুমিত মোদক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

দুঃশাসন || সুমিত মোদক

 






চুপ করে থাকতে থাকতে থাকতে থাকতে  
যুধিষ্ঠিরও মরে যেতো সত্য কথা না বলতে পেরে ;

সময়টা এখন পঞ্চপাণ্ডবদের নয় ;
যদিও সাড়ে পাঁচ হাজার বছর পিছনে ফেলে
চলে এসেছি ;
তবুও সেই একই ঘটনা প্রবাহ , ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি…

চারি দিকে এতো অস্থিরতা , এতো অরাজকতা ,
তবুও কোথাও কোনও কুরুক্ষেত্র নেই !
নেই পঞ্চজন্য শঙ্খ !

একের পর এক বস্ত্র হরণ ,
শকুনির পাশা খেলা …
লক্ষ্যস্থির গৃহযুদ্ধ , জাতির ধ্বংস ;
আগুনে জ্বলে  মায়াসভা , 
জ্বলে একে পর এক চিতা …
রাজমাতা গান্ধারীও চেয়ে ছিল মনে মনে ;
দুচোখে কাপড় বেঁধে রেখে 
দেখতে চায়নি বাস্তব ঘটনা প্রবাহ ;

সুদর্শনচক্রধারী শ্রীকৃষ্ণ যুদ্ধের সারথি হলে
সৃষ্টি হয় মহাভারত ;
বধ হয় দূর্যোধন, দুঃশাসন …
অথচ ,অশ্বত্থামা আজও 
ঘুরে বেড়ায় পাহাড়ে , জঙ্গলে , রাতের অন্ধকারে ।

বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

আত্মহনন || সুমিত মোদক ||

 





মরে যাওয়ার পর গল্পটি শুরু হয়ে ছিল ;
সে এক অসুস্থ সময়ের কথা ;
মানুষ হটাৎ করেই বদলে যায় না ;
একটু একটু করে রক্তে ভিজতে ভিজতে 
রক্ত দিয়ে লিখে রাখে নিজেদের নাম ,
বংশ পরিচয় , ইতিহাস …

যারা কোনও দিন ইতিহাস মনে রাখতে চায় না
তারাই হয়ে যায় প্রত্ন ;
প্রশ্ন থেকে যায় জীবনের কি কোনও
মূল্য নেই বিবর্তনের কাছে ?

মানুষ মরতে মরতে মরতে মরতে,
মনুষ্যত্ব শেষ হতে হতে আরেক নতুন
সভ্যতা গড়ে ওঠে !
নাকি আত্মহনন করি জাতি 
মরে গিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে !

গল্পটি শুরু হয়ে ছিল মাত্র কয়েক শ বছর আগে ;
তার পর থেকে এক এক করে উঠে আসছে
অতি ভয়ংকর অভিজ্ঞতা সকল ;

এখন
রাত শেষ হয়ে আসছে , ডাকছে ভোরের পাখি ।


(ক্যালিগ্রাফি : তৌসিক হোক )

বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫

মধ্যরাত || সুমিত মোদক

 






প্রেত সাধক হারিয়ে ফেলে মনুষ্যত্ব সকল ;
অন্ধকার থেকে তুলে নিয়ে আসে
সভ্যতার পচন , মৃত্যুর পদচিহ্ন ;

এক এক করে মৃত মানুষ গুলো শুয়ে থাকে
রাজপথ জুড়ে ;
গলে গলে পড়ে হাত , পা …

যারা সুন্দর এ পৃথিবীটাকে প্রেত ভূমি 
করে তুলতে চায় ,
তারাই বাঁচিয়ে রাখতে চায় মধ্যরাত ;

মহাকাশ থেকে ছুটে আসা নক্ষত্র আলো 
মাটি ছুঁয়ে নিলে ;
প্রেত সাধক ছটফট করে মৃত্যু যন্ত্রণায় ।


বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩

ভয় পায় : সুমিত মোদক

 



একটু একটু করে চোখ দুটো নষ্ট হয়ে গেলো ;

তার পর কান দুটো …

নাক তো বহু আগে কাটা পড়েছে , 

সেই রামায়ণ যুগে ;

ঠেকেছে কেবল মস্তিষ্কটুকু ;

মাঝে মাঝে মনে হয় সেটুকু আছে তো !

মাথাটাও কি বিকিয়ে গেলো !


নদী ভাগীরথী , সব জানে ;

আর জানো তুমি …


হেমন্তের রাতে কুয়াশা ঢেকে দিতে থাকে বোধ ;

গর্ভের সন্তানও ভূমিষ্ঠ হতে ভয় পায় ;

আঁতুর ঘরে তবুও তো মাটির প্রদীপ জ্বলে ;

মা জাগে রাত …


মাঝ রাতে করা চিৎকার শুরু করেছে !

করা ভেঙে ফেলছে নদী-বাঁধ !

অসাড় হয়ে মুখের মধ্যে পড়ে থাকা জিভটা

শুরু করে দিয়েছে নড়াচড়া ;


বুকের মধ্যে সাজিয়ে নিচ্ছে কুরুক্ষেত্র প্রান্তর ;

এবার বেজে উঠবে পঞ্চজন্য শঙ্খ ।