এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বাদল রায় স্বাধীন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বাদল রায় স্বাধীন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩

বাদল রায় স্বাধীন এর এক গুচ্ছ কবিতা

 





পাগলও আজ পুলিশ চিনে

                      


সারা বাংলায় জ্বলছে আগুন,কে জ্বালালো শুনি,

মন্দির ভাঙ্গার বাড়ছে সংখ্যা, শুয়ে শুয়ে গুনি।

কারা এসব কাজ করেছে,কে ভেঙ্গেছে মুর্তি

কারা এসব দেখে শুনে, করছে আবার ফুর্তি।

অবমাননার দায়টা কার,বলবে কে সে সত্য

ক্ষমতায় আসীন হওয়ার,এটা কি সে পথ্য।

একের দোষ অন্যের ঘাঁড়ে, নেয়না কেউ তার দায়

শেষ পর্যন্ত দোষ চাপে, নির্যাতিতের গায়।

দোষের উপর দোষ দিয়ে সব,ছড়ায় আগুন আরো

ধর্ম নিয়ে রাজনীতি টার,সময় পোয়া বারো।

অবশেষে সামনে আসলো, সত্যি যে কে দোষী

কিন্তু তাকে বাঁচিয়ে নেওয়ার,চিন্তা সবাই পুষি।

কেউবা বলে পাগল তাকে, কেউবা ভবঘুরে,

সে পাগলটার খোঁজ মিললোনা,কেন রংপুরে?

পালানোটা দরকার বুঝলো,সে পাগলটা আবার

দুই দিনে সে চলে গেলো,সূদুর কক্সবাজার।

সে পাগলের মিটিং দেখলো, সারা বিশ্ব বাসী

মাজার থেকে কোরআন রাখলো,মন্দিরেতে আসি।

ঘর পোড়ানো মানুষ গুলো, চাইলোনা তার ফাঁসি

মনে মনে সে পাগলকে, সবাই ভালোবাসি?

মনে হলো সে  পাগলের, খুশি সবাই কাজে

সে প্রশ্নটা সবাই শুনে,বলবে আমায় বাজে।

সত্যি হলো সে পাগলকে,সবাই বাসে ভালো

হয়তো আবার মিছিল হবে, ইকবাল এগিয়ে চলো।

আমরা সবাই তোমার সাথে,ভয় পেইওনা ভাই,

তুমি হলে ধার্মিক এমন,তুলনা যার নাই।

মাঝে মাঝে এমন পাগল,সবার চাওয়া হবে

ক্ষমতায় টেকার পথটা,সুগম হবে তবে।


জামাই ষষ্টি, সুখের স্মৃতি

                   


চৌদ্দ বছর শশুড় বাড়ি, হয়নি আমার যাওয়া।

তাইতো হয়নি তাদের বাড়ি, ভালো মন্দ খাওয়া।।


ভারত এসে পেলাম এবার, শশুড় বাড়ির স্বাদ।

সত্যি কভূ ভালোবাসা,পাইনি এমন নিখাদ।। 


জামাই ষষ্টির দিনে হঠাৎ,জামাই সাজা হলো।

পাঁঠার মাংস দধি পায়েশ,অনেক খাবার এলো।।


মাছ ভাজি, মাছ রান্না, সব্জী আবার ডাল।

আম,লিচু চিংড়ি ভাজায়,ডাইনিং হলো লাল।। 


পাবদা মাছের দোঁ পেঁয়াজা,রুই মাছের ঝোল।

আনন্দেতে কান্না এলো,হারিয়ে মুখের বোল।।


কচি লাউয়ের সব্জী এলো,এলো বেগুন ভাজা।

বিয়ে করার এতো পরে,পেলাম বিয়ের মজা।।


এমন সন্মান দেয়নি আপন,শশুড় কিংবা শালা।

মনের মাঝে ছিলো তাই,অপ্রাপ্তির জ্বালা।।


আজকে এমন বিরল মান,যারা আমায় দিলো।

তাদের ভুলা সম্ভব কভূ ,মৃত্যু ছাড়া বলো ? 


তাদের কাছে জিবন ভর,থাকবো ঋনী হয়ে।

বাকি জিবন সুখ স্মৃতিটা, কাটাবো আমি বয়ে।।


মায়ের পূঁজোয় দেবি তুষ্ট 

             


মদ্যপানে মাতাল হয়,মায়ের পূঁজো করতে,

খবর শুনি আবার কেউ,নেশা করে মরতে।


জিবন্ত মাকে খাবার দেয়না,তাড়ায় দূর দূর,

দেবী মায়ের জন্য কাঁদে,নরাধম সে অসুর।


শক্তির পূজা করতে নাকি,শক্তি যোগায় মদ,

বিসর্জনে বুকটা ভাসায়,যে ছেলেটা বদ।


মাকে দেয়না ঔষধ পথ্য,দেবির জন্য ঢালি,

জন্মদাত্রী মাকে দেয়,কথায় কথায় গালি।


মাকে রাখে বিছানাহীন ,দেবির জন্য আসন,

লুটিয়ে পড়ে প্রনাম করে,নিজের মাকে শাসন।


দেবিকে কয় মাগো তুমি,বছর ধরে থাকো,

বউকে বলে বুড়িটাকে,আলগা ঘরে রাখো।


মায়ের জন্য পথ্য কিনতে,টাকার অভাব পরে,

দেবির জন্য লক্ষ খরচ,সে ছেলেটা করে।


দেবির চাওয়া তুলসি পাতা, নয়তো পাতা বেল 

তবু আমরা ঢালি দেবীর, তেলা মাথায় তেল।


আসল মাকে কষ্ট দিয়ে,করলে দেবি পূজা,

নরকে তুই নিশ্চিত যাবি,হিসাব অতি সোজা।


জ্যান্ত মায়ের পূজা করো,সময় থাকতে তাই,

ইহকাল  আর পরকালে,শান্তি পাবি ভাই।


যৌবনের এপিট ওপিট

         


ঝুম ঝুমিয়ে বৃষ্টি পড়ে, আষাঢ় শ্রাবন মাসে,

নদী তখন যৌবন পায়,দুর্বার হয়ে হাসে।

সে হাসি যে তীব্র অনেক, ভাঙ্গে নদীর কূল

হঠাৎ পাওয়া অহংকারে, করে অনেক ভুল।

নিজে ভাঙ্গে নিজের কুল, ভাবে হচ্ছি প্রসার

বর্ষা গেলে পানি শুন্য, সবিই যেন অসার।

সবাই তখন সে নদীকে,মরা নদী ডাকে

পানি মাছ সবি শুন্য, হাটু জল থাকে। 


প্রবাহমান নদী কিন্তু,সমান তালে চলে

অনন্ত যৌবনা সবাই,সে নদীকে বলে। 


মানুষেরও যৌবন শক্তির,সত্যিই এতো মিল

নিজেই নিজের পৃথীবিকে, করে তোলে নীল।

ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে,নিজের ক্ষতি করে

কিছু দিন পর রোগ ব্যাধিতে,ঝিমিয়ে সে পড়ে।

হঠাৎ করে জ্বলে উঠে, হঠাৎ থেমে যায়

জ্বরাজীর্ন রোগী হয়, উঠার শক্তি নাই।


অন্য দিকে সে যৌবনকে, কাজে লাগায় চতুর

সীমার মধ্যে করে সবি, হয়না কভু ফতুর।

দেশ ও জাতী সে যুবককে,স্যালুট সবাই করে

মৃত্যর পরও ইতিহাসে, থাকে স্বর্নাক্ষরে।


যৌবনটা তাই কাজে লাগাও,হিসাব করে চলো

বৃদ্ধ কালটা সুখের হবে, তোমায় করবে ফলো।


চরিত্রহীন  বলোনা

                 


মেয়ে তোমার বাড়ি কোথায়, ঠিকানাটা বলো,

জানতে বড়ো ইচ্ছে করে, কোন পথ দিয়ে চলো।


জানলে গিয়ে সে পথ দিয়ে, করতাম তোমায় টিজ,

ছবি দেখেই বুনলো মনে, ভালোবাসার বীজ।


অঙ্গে এতো রুপ কেন গো, এতো সুন্দর কেনো,

শুক্রবারে ছুটির দিনে, বানিয়েছে যেনো।


এতো সময় করলো স্রষ্টা, তোমার পিছে ব্যায়,

অন্য মেয়ের প্রতি এটা, হয়েছে  অন্যায়।


লজ্জাহীন আর বেহায়ার, তকমা দাওনা যতো,

তোমার জন্য যুদ্ধ করে, হবো আহত।


ভীমরতিও বলুক লোকে, কিবা আসে যায়,

চোখ ফেরাতে পারিনাগো, করার কিছু নাই।


তুমি এবং স্রষ্টা দায়ী, কেন সুন্দর হলে,

আমায় কেন গাল দেবেগো, চরিত্রহীন বলে?


তোমার সুন্দর বদলে গেলে, ঘুরবোনা আর পিছে,

তাইতো আমায় দোষ দিওনা, শুধু মিছে মিছে।


তোমার সুন্দর বদলে গেলে, মন বদলাবে আমার,

নয়তো আমায় বলবেনাগো, ছোট লোক আর চামার।


তাইতো আমি দিলাম আজি, সে সুন্দরের ব্যাখ্যা,

এরপরও কি আমায় দেবে, চরিত্রহীন আখ্যা?