এই ব্লগটি সন্ধান করুন

অকাজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অকাজ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩

সরকারী অনুদান :দেশ দেউলিয়া করার আসল মন্ত্র॥এখনি সময় দেশকে বাঁচবার ,চোর নেতাদের ভোট নয় বারবার(প্রথম পর্ব)


 

লক্ষ্মীভান্ডার ,কন্যাশ্রী ,যুবশ্রী ,ফ্রি রেশন ,ফ্রি আসলে কি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি অভিশাপ : 


যদি প্রশ্ন করি আফ্রিকান দেশ ভেনিজুয়েলা ও এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা এই দুটি দেশের মধ্যে মিল কোথায় ? একটাই উত্তর আসে ,দুটো দেশই দেউলিয়া হয়ে গেছে ৷ এবার প্রশ্ন হচ্ছে কেন ? এর একটাই উত্তর "Freebies" বা অনুদান । 99% মানুষ এই অনুদান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় ।ওয়াকিবহাল তো অনেক দূরের কথা লোকে জানেনই না যে এই অনুদান আসলে কি ? আসলেই কি বিনামূল্যে প্রদান করা না কি এর পিছনে আছে অনেক বড় একটি অর্থনৈতিক প্রদান।এক্সপার্টদের অনুসারে যদি ভারতে এই  ভন্ড নেতাদের ভোট কেনার জন্য অনুদান প্রথা যেমন কন্যাশ্রী ,যুবশ্রী ,লক্ষ্মীভান্ডার ,ফ্রী রেশন,ফ্রি বিদ্যু ইত্যাদি চলতে থাকে তবে আগামী 20 থেকে 30 বছরের মধ্যে ভারতের অবস্থা সেরকম হয়ে যাবে ।আর পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা তো হয়ে গেছেই সেটা দেখতেই পাচ্ছেন । এবার অনেকে প্রশ্ন করবেন কেন ?

এর উত্তর আমরা চারটি চ্যাপ্টারে বুজবো 

চ্যাপ্টার:১ 

চলুন আগে ভ্যেনেজুয়েলার কেস স্ট্যাডি করি 

2019 এর তথ্য অনুসারে ভেনেজুয়েলাতে 304 বিলিয়ন ব্যরেল খনিজ তেল সংরক্ষিত আছে যা গোটা পৃথিবীর 17.8% এটি তাকে পৃথিবীর প্রথম স্থানে রাখে ।বলা হয় যে যার যে দেশের কাছে যত বেশি খনিজ তেল আছে সেদেশ তত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বেশি উন্নত এবং ভৌগোলিক রাজনীতিতে তার তত বেশী আধিপত্য।তবুও হঠাৎ কি হল যে ভেনেজুয়েলা দেউলিয়া হয়ে গেল ? কেন 2017 সালে ওখানকার লোকেদের 64% লোক শুধু মাত্র এক বেলা খেয়ে দিন কাটাত ,লোকেদের কাছে খাবার কেনার মত টাকা ছিল না ,82% লোক দরিদ্র সীমার নীচে চলে গিয়েছিল ? যে দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী খনীজ তেল সংরক্ষক তার একি হলো ? 




এর কারণ জানতে হলে চলে যেতে হবে ইতিহাসে 1999তে ভেনেজুয়েলায় ওদের নতুন প্রেসিডেন্ট পান হুগো চাওউয়ীস কে পান ,তিনি ভোটের আগে ঘোষণা করেন যে তিন দেশে অর্থনৈতিক সামঞ্জস্য আনবেন ।সে বছরেই তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যায় এতে ভেনেজুয়েলা বেশ টাকা কমায় ,কথা মতো তিনি শুরু করেন বিভিন্ন সামাজিক কাজ ,যেমন বিনামূল্যে ঔষধ, শিক্ষা, রেশন ,বিদ্যুৎ ইত্যাদি এবং কয়েক বছরের মধ্যেই 50% গরীব কমে যায় সে দেশে ।এতে সে দেশের মানুষে খুব খুশি হয়ে যায় ,যেমন এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া অনুদানে খুশি কিন্তু এখান থেকেই শুরু হয় আসল কাহিনী । পরবর্তী ইলেকশনে জেতার জন্য তিনি এই প্রথাটি অবলম্বন করে চলেন যাতে লোক খুশি থাকে  এবং ভোটে জিতেও যান । যেহেতু ভ্যেনেজুয়েলা একটি খনিজ তেলে উপর নির্ভরশীল দেশ যদি তেলের দাম কমে যায় তবে সেটা ডিরেক্ট প্রভাব পড়বে তাদের অর্থনৈতিক দিকে ।2013তে হঠাৎ একটি তিনি পরলোকে গমন করেন ,এরপর তার ডানহাত নিকোলাস মাদুরো নতুন প্রেসিডেন্ট হন ,তিনিও অনুদান প্রথা চালু রাখেন যাতে তিনি পরবর্তী ইলেকশনে ভোটে জিতেন ।2014 তে হঠাৎ তেলের দাম পড়তে শুরু করে।2014 তে যেখানে এক ব্যরেল তেলের দাম 100 ডলার ছিল 2016 তে 30 ডলারে পৌঁছে যায়।এরফলে শুরু হয় অর্থনৈতিক মন্দা যা নিকোলাসের কন্ট্রোলের বাইরে চলে ।তা সত্ত্বেও তিনি অনুদান প্রথা  ,খাবার বিতরণ ,বিনামূল্যে ঔষধ, শিক্ষা চালু রাখেন অতিরিক্ত টাকা ছাপার মাধ্যমে এরফলে দেশের অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়ে যায় যা ওখানের অর্থনীতি হাইপার ইনফ্লামেশনে চলে যায়।2012 তে যা ছিল 21.07% সেটি 2018 তে গিয়ে 65374.08% এ চলে যায় মাত্র 6 বছরে এটি ভারতের সঙ্গে তুলনা করলে ভারতের ইনফ্লামেশন রেট ছিল 3.43% আমেরিকার ছিল 2.4% ।




 অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গেছিল যে সেখানকার মানুষের এক কেজি চাল কেনার জন্য 2,20,000 বলিভিয়ার(ভেনেজুয়েলার টাকা) দিতে হত। এটা শুধু মাত্র যে অনুদান প্রথার জন্য হয়েছে তা নয় ,এর সঙ্গে ছিল আমাদের পশ্চিমবঙ্গের তথা ভারতের নেতাদের মত দুর্নীতি।তবে অনুদান প্রথার ছিল সব থেকে বেশি ভূমিকা ।

আসলে "Northing is to be free" কোনো জিনিস বিনামূল্যে হয় না 


(সংক্ষিপ্ত...)


বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩

ভয় পায় : সুমিত মোদক

 



একটু একটু করে চোখ দুটো নষ্ট হয়ে গেলো ;

তার পর কান দুটো …

নাক তো বহু আগে কাটা পড়েছে , 

সেই রামায়ণ যুগে ;

ঠেকেছে কেবল মস্তিষ্কটুকু ;

মাঝে মাঝে মনে হয় সেটুকু আছে তো !

মাথাটাও কি বিকিয়ে গেলো !


নদী ভাগীরথী , সব জানে ;

আর জানো তুমি …


হেমন্তের রাতে কুয়াশা ঢেকে দিতে থাকে বোধ ;

গর্ভের সন্তানও ভূমিষ্ঠ হতে ভয় পায় ;

আঁতুর ঘরে তবুও তো মাটির প্রদীপ জ্বলে ;

মা জাগে রাত …


মাঝ রাতে করা চিৎকার শুরু করেছে !

করা ভেঙে ফেলছে নদী-বাঁধ !

অসাড় হয়ে মুখের মধ্যে পড়ে থাকা জিভটা

শুরু করে দিয়েছে নড়াচড়া ;


বুকের মধ্যে সাজিয়ে নিচ্ছে কুরুক্ষেত্র প্রান্তর ;

এবার বেজে উঠবে পঞ্চজন্য শঙ্খ ।

দেবাঞ্জন ব্যানার্জি এর এক গুচ্ছ কবিতা

 




ফিরে দেখা

                     


আমার স্বপ্নে তুমি আজও আমার পাশে,

তবু হাজার ডাকেও নেই যে কোনো সাড়া!

      ব্যর্থ কবির স্তব্ধ অভিলাষে,

তুমি মাঝ আকাশের ভিনদেশী এক তারা ।


রংমহলের দরজা আজও খোলা

আজও ফেরায় আলো ঝলমলে ঝাড়বাতি..

আজও তুমি ছাড়া হইনা আপনভোলা,

হয়তো ভাগ্যে আমার চলছে সাড়েসাতি।।


বাঁচিয়ে তুলি ধুলোজমা ক্যানভাস,

শুকনো রঙে স্মৃতির কণা ঝড়ে

তোমার ছবিতে পড়ছে রুদ্ধশ্বাস,

ওই হাসিতেই একরাশ মেঘ সরে।


আজ আলোয় মোড়া পথে আমি একা,

ওই ছুট্টে এসে হাতটা ধরলে তুমি,

আবার তোমার আমার প্রথম সেই দেখা..

সেই চলে যাবে তুমি, কালই তো দশমী।


চশমা 


আলমারির এককোনে ফেলে রাখা চশমায় চেপে বসা ধূলো..

যেনো থাকতে চায় না আর, উগড়ে দিতে চায় জমানো কথাগুলো।

তুলে নিয়ে দেখি তাতে, একপলকের আদরে,

হাজার রঙিন বিকেল আর বেরঙিন প্রজাপতি ওড়ে।

ছুট্টে দেখি বারান্দায়, সরছে ঐ গম্ভীর মেঘগুলো,

ইচ্ছে হয় আমারও, সায় দেয় ঝরাপাতাগুলোও।

মরা গাছেও দেখি ফোটে ফুল, তবু বাতাসের হাহাকার!মিছিমিছি কেন? কেন আজও ওরা নির্বিকার? 

ইচ্ছেনদীর তীরে, আজও থমকে আমি অকারণ

বেরঙিন দুনিয়ায় রঙিন বেলুন ফেরি করাই বারণ ।



না বলা কথা


আমার স্বপ্নগুলো দমকা হওয়ার মতো,

মাঝে মাঝে এসে ঝরাপাতাগুলোকে উড়িয়ে নিয়ে যায়,

ঠিক যেনো আকাশের ঐ বিদ্যুৎের ঝলকানি, এক পলকে এসেই আবার কোথায় পালায়!

বসে বসে ভাবে শুধু আমার মন,

এগুলো বলাই নিষ্প্রয়োজন,

আমার না বলা কথা।

এলো ওরা হনহনিয়ে তেড়ে

বাঁধলো আমার হাত, পা, আমার মুখ,

খাঁচায় বন্দি বাঘের চেয়েও যে হিংস্র,

কেড়ে নিলো আমার বাঁচিয়ে রাখা সুখ।

মাটিতে পড়ে রয়েছি শুধু আমি

সইছি ওদের দেওয়া সব যন্ত্রনা

খাচ্ছে ছিঁড়ে ক্ষুধার্ত সব পশু,

নিজেকে তো আর বাঁচাতে পারলাম না!

থাকলাম না আমি, থাকলো না আমার স্বপ্ন,

জিতলো ওদের নগ্ন বীভৎসতা,

বীরদর্পে থাকলো শুধু ওরা,

আর রইলো বেঁচে আমার না বলা কথা।

যখন লড়ছিলাম ঐ পশুগুলোর সঙ্গে

কেউ শোনেনিতো আমার অসহায় চিৎকার,

আর আজ যখন আমি দূরে, অনেক দূরে

সেই তোমরাই কিনা দিচ্ছ আমায় ধিক্কার!

আমিতো সাধারণ একজন

তাই নির্বিচারে যন্ত্রণা নিয়ে যাই,

আজ আমি আর নেই, পুড়লো আমার দেহ,

বৃষ্টির জলে ধুয়ে গেলো সব ছাই।

এমনি করেই যাচ্ছে চলে সব,

হচ্ছে যতো হিংস্র পশুর শিকার,

আমার তো আজ হাত, পা সব বাঁধা,

তবে তোমরা কেনো এখনও নির্বিকার?

বলছো তোমরা ভুল তো কিছুই নয়,

মেয়েরা কেনো করবে বাচালতা?

জানতাম সব বুঝবে না তো কেউ,

আমাদের সব না বলা কথা।

                


নবাগত


আসিয়াছে দেখো নূতন কুসুম

আনিয়াছে বর্তমানের সুঘ্রাণ

তারে ঝরাইলে পড়ে হারাইবে তুমি, 

ভবিষ্যতের প্রাণ।

সুকঠিন তার সবুজবৃন্ত,

চিরমুক্ত যে দল।

তাহারই মাঝে উজ্জ্বল তেজ,

কোথা আর পাবি বল?

কোমল যে তার দলগুচ্ছ,

মধুর বর্নে রিক্ত,

বিধুর জ্যোৎস্নাস্পর্শে লজ্জায় গুটায়,

হয় শীতল শিশিরে সিক্ত।

সঙ্গীরা সব পাপড়ি মেলিছে

ডাকিতেছে তারে যারা,

প্রভাতরবির আলোর ডাকে

ধীরে ধীরে দেয় সারা।

ধীরে ধীরে দেখো বহিতেছে বায়ু

মাথা দুলায় পত্ররাশি,

হেলাও তোমার ক্ষুদ্র দেহ,

দূরে ঐ রাখাল বাজায় বাঁশি।


চতুস্পার্শ করো সুন্দর,

হও আনন্দে তমোঘ্ন,

বরন করো হে নবাগতকে,

দেখো আগামীর স্বপ্ন।


স্রোতের চোরাস্মৃতি


আজ মুক্ত স্রোতের উজানটানে সব স্মৃতি ভেসে যায়, তবুও কেনো ঢেউগুলো সব চড়ায় ধাক্কা খায়?

পাথর ভর্তি পাড়গুলো আজ নয় আর পঙ্কিল, আকাশের বুক চিড়ে ওড়ে একলা শঙ্খচিল।

নেইতো জোয়ার, শোনা যায় শুধু ভাটার দুঃখের গান, বাণের জলের কান্নায় তাই ভাসে নদীর প্রাণ!

গানদরিয়ায় একলা মাঝি ভাসছে মনের সুখে, ঢেউয়ের বওয়া চোরাবালি জমছে নদীর বুকে।

দিগন্তের শিখরে রামধনু সুতো বাঁধতো নদীর প্রাণ, এখন শুধু জ্বলতে থাকা চিতার পাশে একলা ফকিরের গান।

মুক্ত থাকার জ্বালায় রইলো বন্দি থাকার আশা, দুরন্ত স্রোতের মাঝে আজ শুধুই স্মৃতির যাওয়া আসা।

            

অপরিবর্তিতা:অঞ্জলি দে নন্দী

 





আমি কিছুতেই নিজেকে পাল্টাবুনি।

নিদ্রিতা স্বপনে আমি অতীতের জাল বুনি।

আর কভুই না ফিরে আসা গতদিনের ডাক শুনি।

আহা, কতই না হার্দিক কথোপকথন!

বর্তমানে জাগ্রতা আমি সেই বীজ-স্বপন 

ভবিষ্যতের জন্য দূরদৃষ্টি-মাটিতে করি বপন।

মুদ্রিতা নয়নে আমি এই দৃশ্য স্বপনেই পেলুম -

আগামীর পথ, যে পথে আমি এগিয়ে গেলুম।

সে পথেই আমি অমরত্বের অমৃত খেলুম।

অজানা সম্মুখ-পথ, অজানা তার পরিণতি।

তবুও অদম্য আমার গমন-গতি।

আমি পথপ্রিয়া এক অপরিবর্তিতা পথি।

থামা কাকে বলে, তা তো আমি জানিনি।

কোনও বাধাই যে আমি মানিনি।

কখনও অক্ষমতাকে আমি ভাবনায় আনিনি।

আজন্ম, আমৃত্যু আমি চলছি।

কষ্ট যত দুপদতলে দলছি।

মৃত্যুর পরেও আমি চলব-আমার প্রতিজ্ঞায় বলছি।

শ/সপথের স্ব-পথে আমি অনন্তা-সবিতারূপে জ্বলছি।

বিগলিতা অশেষ-আলো হয়ে গলছি।

আপন গতিতে সফলতায় ফলছি।

মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩

মেশকাতুন নাহার

 ইচ্ছের মৃত্যু 


প্রতিদিন কত ইচ্ছেরা নীল প্রজাপতির মতো পাখা মেলে উড়ে বেড়ায়,
ফুলে ফুলে গাছে গাছে,পুলকিত হয়ে আবেশ ছড়ায়। 
প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই কলি টা কখনো ঝরে যায়! 
ইচ্ছে গুলোর মৃত্যু হয় প্রতিনিয়ত নানান প্রতিকূলতায় 
পিষ্ট আহত প্রজাপতি মন কখনো তাঁর ডানা হারায়!
স্বাধীন ভাবে উড়ে চলার  ইচ্ছে গুলো দূর অজানায় অদৃশ্যে গিয়ে মিলায়।

কখনো ইচ্ছে করে গিরির পথ বেয়ে হারিয়ে যাই ঐ সুদূর নীলিমায়, 
মনের অন্তরীক্ষে সপ্তরঙের পাখা মেলে  ইচ্ছেগুলো দোলে হাওয়ায়, 
আকস্মিক দুর্বিষহ ঝটিকা বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হয়ে ইচ্ছে ডানাগুলো খোয়ায়,
অভিলাষ গুলো বিবর্ণতায় জরাগ্রস্ত হয় মর্মান্তিক যন্ত্রণায়।

হৃদয় উদ্যানে স্বপ্নের বীজ রোপণ করেছি বারেবারে, 
অঙ্কুরিত হওয়ার আগেই দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে অজ্ঞাতসারে।
সহস্রবার রঙ তুলির আঁচড়ে এঁকেছি ছবি ভাবনার ক্যানভাসে, 
সম্মুখে উন্মেষিত হয়নি কখনো অন্তর্ধান হয়েছে দীর্ঘশ্বাসে।

পূর্ণিমা রজনীতে কত যে বিনিদ্র কাটিয়েছি শূন্যতা নিয়ে, 
স্পৃহা সমূহ ভস্মীভূত হয়েছে যাতনা ভরা প্রদাহের অনল জ্বালিয়ে, 
প্রাণচঞ্চল মনকে শান্ত করেছি ইচ্ছেগুলো কে নির্বাসনে পাঠিয়ে,
সুপ্ত আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু হয়েছে নেত্রজলের প্লাবনে বালিশের তুলো ভাসিয়ে।


জবাই দাও মনের পশু


আত্মত্যাগের উৎসব- হলো কোরবানি, 
গরিবদের দাও না -মাংস অল্প খানি।
ভোগ বিলাস ছেড়ে যে-মনুষ্যত্ব কাম্য,
ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে-গড়ে তুলো সাম্য।

কেহ বড়ো পশু কিনে - করে প্রদর্শন,
অহমিকা মন থেকে -করো বিসর্জন।
কুপ্রবৃত্তি হত্যা করে- উচ্চ করো চিত্ত,
উৎকৃষ্ট কার্য সর্বদা- করে যাও নিত্য।

জবাই দাও মনের -ভিতরের পশু,
ভূমিষ্ঠ হবে সুদৃশ্য  -নবজাত শিশু।
হিংসা বৈরী বলি দিয়ে -জন্ম দাও নীতি,
বন্ধন হবে নির্মাণ -স্বতন্ত্র সম্প্রীতি।

সংসারে সবাই যদি -স্বত্বত্যাগ করে, 
পারস্পরিক সাহায্যে -শক্ত হাতে ধরে।
সুখ গুলো ভাগ করে - ঠেলে দাও ক্ষয়,
সকল ক্ষেত্রে আসবে -নিঃসন্দেহে জয়।

অশিষ্টতা নিষ্ঠুরতা -বীজ  করো ধ্বংস, 
ঈদুল আজহা তত্ত্ব -চেতনার অংশ।
ওহে জাতি এসো তবে -লোভ ত্যাজ্য করি,
পুনর্জন্ম নিয়ে মোরা-মর্ম শুদ্ধ গড়ি।


হত্যা : কৌশিক গাঙ্গুলি



আর কতো রক্ত ঝরাবে ? 
আর কতো স্বপ্নকে 
হত্যা করবে ? 
ধর্মের পবিত্র আঙ্গিনায় 
সন্ত্রাসের বিভিষীকা কেনো ? 
ভারসাম্যহীনতায় বেড়ে যায় 
বোধহীনতার অসুখ । 
প্রতিবাদকে এতো ভয় , তাই 
বুলেটবৃষ্টি অবিরত । 
তবু কবিতা লেখা হবে 
গাওয়া হবে গান , শব্দ অক্ষরে 
বজ্রপাত কাঁপিয়ে দিচ্ছে 
বকধার্মিকদের পদচালনা , 
তাই প্রতিশোধ নাকি বা 
আত্মরক্ষার যুদ্ধে রক্ত 
ঝরে পড়ে বিবেকের , 
স্বপ্নকে নিখোঁজ করে পালিয়ে 
যায় আততায়ীরা - 
তবু শেষ হবেনা অন্ধকারের 
সঙ্গে অক্ষরের লড়াই ...
শব্দরা অমরত্ব পাবে , 
আর কতো রক্ত ঝরাবে ? 
আর কতো স্বপ্নকে হত্যা 
করবে তোমরা ?

সোমবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৯

সে কাজল চোখের মেয়ে :জ্যোতির্ময়






"সে'তো কাজল চোখের মেয়ে,মনখারাপি সন্ধ্যা
সে'তো বন-পলাশী'র ঠোঁটে।মন।নাছোড় বান্দা .."



সে তো ফাল্গুন কোনো হাওয়া ,হাসিমুখ মাখা
সে কোনো বিকেলে ঝালমুড়ি'র সাদে রাখা

সেতো নদীর মত বয়ে ,পাহাড় বুকে জল
সে ছোট্ট গল্পের মতই, আমার বার্বি ডোল।



বেবাক হাওয়া বইবে যেদিন ,ভিনদেশী মন জুড়ে
ভিতর ভিতর আঁকবি কি তুই মন ঘুরে ?

সস্তা দরে বিক্রি গেছে প্রেম,আবেগ বিক্রি করে
আমিও ছিলাম তাদের দলে ,এখন ভালোবেসে কে মরে?