ইচ্ছের মৃত্যু
প্রতিদিন কত ইচ্ছেরা নীল প্রজাপতির মতো পাখা মেলে উড়ে বেড়ায়,
ফুলে ফুলে গাছে গাছে,পুলকিত হয়ে আবেশ ছড়ায়।
প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই কলি টা কখনো ঝরে যায়!
ইচ্ছে গুলোর মৃত্যু হয় প্রতিনিয়ত নানান প্রতিকূলতায়
পিষ্ট আহত প্রজাপতি মন কখনো তাঁর ডানা হারায়!
স্বাধীন ভাবে উড়ে চলার ইচ্ছে গুলো দূর অজানায় অদৃশ্যে গিয়ে মিলায়।
কখনো ইচ্ছে করে গিরির পথ বেয়ে হারিয়ে যাই ঐ সুদূর নীলিমায়,
মনের অন্তরীক্ষে সপ্তরঙের পাখা মেলে ইচ্ছেগুলো দোলে হাওয়ায়,
আকস্মিক দুর্বিষহ ঝটিকা বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হয়ে ইচ্ছে ডানাগুলো খোয়ায়,
অভিলাষ গুলো বিবর্ণতায় জরাগ্রস্ত হয় মর্মান্তিক যন্ত্রণায়।
হৃদয় উদ্যানে স্বপ্নের বীজ রোপণ করেছি বারেবারে,
অঙ্কুরিত হওয়ার আগেই দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে অজ্ঞাতসারে।
সহস্রবার রঙ তুলির আঁচড়ে এঁকেছি ছবি ভাবনার ক্যানভাসে,
সম্মুখে উন্মেষিত হয়নি কখনো অন্তর্ধান হয়েছে দীর্ঘশ্বাসে।
পূর্ণিমা রজনীতে কত যে বিনিদ্র কাটিয়েছি শূন্যতা নিয়ে,
স্পৃহা সমূহ ভস্মীভূত হয়েছে যাতনা ভরা প্রদাহের অনল জ্বালিয়ে,
প্রাণচঞ্চল মনকে শান্ত করেছি ইচ্ছেগুলো কে নির্বাসনে পাঠিয়ে,
সুপ্ত আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু হয়েছে নেত্রজলের প্লাবনে বালিশের তুলো ভাসিয়ে।
জবাই দাও মনের পশু
আত্মত্যাগের উৎসব- হলো কোরবানি,
গরিবদের দাও না -মাংস অল্প খানি।
ভোগ বিলাস ছেড়ে যে-মনুষ্যত্ব কাম্য,
ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে-গড়ে তুলো সাম্য।
কেহ বড়ো পশু কিনে - করে প্রদর্শন,
অহমিকা মন থেকে -করো বিসর্জন।
কুপ্রবৃত্তি হত্যা করে- উচ্চ করো চিত্ত,
উৎকৃষ্ট কার্য সর্বদা- করে যাও নিত্য।
জবাই দাও মনের -ভিতরের পশু,
ভূমিষ্ঠ হবে সুদৃশ্য -নবজাত শিশু।
হিংসা বৈরী বলি দিয়ে -জন্ম দাও নীতি,
বন্ধন হবে নির্মাণ -স্বতন্ত্র সম্প্রীতি।
সংসারে সবাই যদি -স্বত্বত্যাগ করে,
পারস্পরিক সাহায্যে -শক্ত হাতে ধরে।
সুখ গুলো ভাগ করে - ঠেলে দাও ক্ষয়,
সকল ক্ষেত্রে আসবে -নিঃসন্দেহে জয়।
অশিষ্টতা নিষ্ঠুরতা -বীজ করো ধ্বংস,
ঈদুল আজহা তত্ত্ব -চেতনার অংশ।
ওহে জাতি এসো তবে -লোভ ত্যাজ্য করি,
পুনর্জন্ম নিয়ে মোরা-মর্ম শুদ্ধ গড়ি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন