এই ব্লগটি সন্ধান করুন

আগন্তুক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আগন্তুক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৯

সে'এক না ফেরানোর গল্পে




সেদিনের মতোই আজও আঙুলের
 ফাঁকে ফাঁকে গুনছি সময় ।
জানালায় নষ্ট রোদের ছোঁয়াচে গন্ধ ।

বুকের উপর দুমুখো সাপের নিষেক।
উপোসি হায়না তখন নিরামিষ শরীরে
ঘাম মুছে ।কৈ জলেও গন্ধ নেই'ত ।।

আমার কবিতারা মরতে থাকে
আগুনে পুড়ে গেছে ভিতর ।
"ভালোবাসি" বলতেই ডিস্টেন্সমেন্টেন এখন ।

আসলে সব শুয়ো পোকা প্রজাপতি না
শাড়ির সুতোয় বেঁধে রাখা "মন কেমন "।।

শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯

ডেকো ...আবার ডাক নামে





হয়তো একদিন আমিও
ভুলে যাবো "নিয়ম করে "
গুড নাইট বলা ।

থমকে গেছে সময়।
জলকাদায় মিশে যায় কথাও
আঙুল নেড়ে করিডোরে চলা ।।

আসলে কেউ মরে না।
বদলেছে শুধুই পোশাক,
শূন্য নয়'তো শূন্য,ঝুলে আছি সময়তে।।

ভুল করে ছুঁয়ে দেওয়া হাত
ডাল ভাতের চাহিদায় ।
নাম হারাবে ডাক নামেতে ।।

বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৯

ভালবাসি শুধু



যত দূর  চোখ যায়
একটা নীলচে পর্দা জানালায়
তুমি  ছুঁয়ে দিলে আমার রং তুলি
লাল ,নীল ,হলুদ আবীরে সবুজ সিগন্যাল
চৌমাথা মোড়ে আর গাড়ি থামেনি ॥
পারলে একটু মেঘ ধার দিও আমাকে
আমি দূর্বা ঘাসে বৃষ্টি হয়ে পড়বো
শিউরে উঠবে তোমার শরীর
আর একটু ছুঁয়ে দিতে .... ॥

14/03/17

সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

অজুহাতে: জ্যোতির্ময়



কিছুটা বৃষ্টি'র মতোই ভিজিয়ে যাওয়া উঠোন।
হঠাৎ জলছবিতে গোলাপ শুকায়।মন কেমন ।।

জন্মদাগ নেই কোনো তার ,ভালোবাসা পেতে
হাওয়ায় উড়ছে কথা।দেওয়ালে কান পাতা,শুনে নিতে।।

টুপটাপ পিয়ানোয় আঙুলে ছুঁয়ে দেওয়া সুরে,
বাহানা খুঁজে চোরা ঈশারাকে।বহুদূর থেকে দূরে।।

রাতের শহরে জোনাকি'রাও খুঁজে ফেরে ঠিকানা।
ঝাপসা আলোয় মুখ দেখেও "সে'ত"চেনা যায় না ।।

প্রতীক্ষা'রা সময় গুণে বিজ্ঞাপন হবার ,
চারদেয়ালে স্বপ্ন বন্দি ,অজুহাতে ফেরার ,বারবার ।।

চশমা গুলো রোদ পুড়ালো সস্তার কিছু রোদ্দুরে
কারণ ছাড়াই ,ভালোলাগা ,ভালোবাসা ।ফের ঘুম দুপুরের ।।


  (২৫/০২/১৮)

শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

হয়তো তুমি



                  © জ্যোতির্ময় রায়

আজ আকাশে চাঁদ ও শুক তারা পাশাপাশি ।
আমি সাইকেলে চেপে ,চলছি রাস্তা মেপে ।
কাল স্বরস্বতী পুজো ,বাঙ্গালীর ভেলেন্টাইন ডে।
তুমি আসবে হয়তো শারি পড়ে ,আমি দেখবো তাই।
ভিড়ের মাঝে তোমায় খুঁজে পাওয়াই সাফল্য।

অভিমান পাহাড় প্রমাণ ,আমি দুর থেকে
স্বপ্নের জাল বুনি  ,"তুমি গতকাল কেন আসনি "
আমি হয়তো তখন ট্রেনের চাকার শব্দ শুনতে শুনতে আকাশ মাপবো ,তারারা জ্বলবে যেমন জ্বলে।
দুরে ওই ল্যাম্পপোস্ট গুলো সরে যাবে একটার পর একটা ।
তোমার ডাক নামটা হয়ে ওঠে ওই শুক তারার নাম ।
আমার আকাশে জ্বলতে থাকে সব সময় ।

বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৯

এরপর আমি :জ্যোতির্ময়

এরপর আমি মেঘ ছুঁয়ে থাকবো ফের ।
তোর চোখের রোদ্দুরে ফিরতে সেদিন বারণ
ভুল করে ঢোকা আমি শঙ্খচিল,মুসাফির
জোছনায় স্নান করবে রাত,আবেশিত মন ।।
 দিগন্ত রাঙা হবে তোর হাসি হাসি আলপনায় ।।

এভাবেই ভালোবেসো তবে খেলার ছলে ,
অভিমানে বানাবো পাহাড় ,ঠোঁট ছুঁই ঠোঁটে
করিডোরে বেপরোয়া স্রোত ভিজবে তিল ,হাঁটুজলে।
আস্পর্ধারা উস্কানি দেবে রাত ,শরীর? নাকি কিছু না বলা কথা যেতে যেতে ?
তবুও নষ্ট হবার ভয় ,আমি নষ্ট হবো তবে আর একটু ,ভালোবাসায় !


শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৯

না মেনে নেওয়া :জ্যোতির্ময়

জানি একটুও রং নেই আর
তোমার বুকে হয়তো ধাপ কেটেছে পাথর ।
"অস্তিত্ব ? সে কিসের ? আমার ,নাকি তোমার ?"
নাকি আমিই স্বপ্ন দেখি ভুল করে বারবার ?

ঘুম ভাঙা চোখে "না ,মেনে নেওয়ার "লড়াই রোজ ।
ডাকপিয়নে শুধুই তোমার না পাঠানো চিঠির খোঁজ ।।
ভালোলাগা কি ভালো বাসা ? নাকি গদ্যময় জিয়ন কাঁটায়
রোদ ছুঁয়ে যাওয়া আগুল ।মিথ্যে গুলো আস্তে আস্তে  সত্যি হয় ।।

নাই হলো কথা ,
বিরক্ত হয়ে গেছে আবেগী চোখ হয়তো ।
পৃথিবী সাজে ,আকাশ সাজে ,জল ভেজায় কাপড়
"না ,মেনে নেওয়া " পরোয়ানা করেছে জারি সে'তো ।।


ইন্তেজারী: জ্যোতির্ময়

শেষ ট্রেন চলে গেছে তারপর ।
দৌড়ঝাঁপ  প্ল্যাটফর্মময় হুইসেল ।
ফিরে চলার ,ফিরে আসার ডাকে ।
বিরক্তি নাকি বিরতী ?

নরম আঙুল ছুঁয়ে দিয়েছে ঠোঁট
ঠোঁট ছুঁয়েছে ঠোঁট কিংবা কপাল
কপাল মিশেছে নদীতে
নদীর বালুচরে ছক কেটেছে ঘাম
ঘাম মিশেছে পারফিউমে তারপর ।।

চোখের পালকে রাখা ঘুম,
ভুল প্রতিশ্রুতির ইস্তেহারে
অন্য গল্পের হাসিমুখ 
আমার ছায়ায় তোমার "না " ইন্তেজারী ।
  মুহূর্তরা তখন মুহূর্তের কাছে হয়েগেছে  ঋণী ততদিনে  ।।


সোমবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৯

প্রতীক্ষা করবো আমি :জ্যোতির্ময়

নামুক এ পথে আরও অন্ধকার ,আরও এঁকে বেঁকে যাক চলে এই জলকাদার রাস্তা ।রাত নামুক আরও কিংবা ঘুম আসুক নেমে চোখে ।
আমিও অপেক্ষা করবো তোমার জন্য একটা শীতে রোদ ঝলমলে সকালের মতো ।নাঃহ ,অপেক্ষা আমি করবো না ,অপেক্ষা শব্দটা কেমন যেন একটা ,ব্যঞ্জনাহীন ,আন্তরিকতাহীন ,প্রেমহীন ,স্বার্থপর একটা ।এতে তোমায় মানায় না বুঝলে ? আমি তোমার জন্য প্রতীক্ষা করবো ...যেমন ল্যাম্পপোস্ট করে ,যেমন চাঁদ করে একটা গ্রহণের ...আমিও পথে চেয়ে রইবো তুমি আসবে বলে । হয়তো বলবে বৃথা এ প্রতীক্ষা । হয়তো তুমি অন্য কোনো না ফেরানো পথে চলে গেছো ততদিনে । তবুও প্রতীক্ষা করবো আমি ,শেষ একবার দেখা পেতে ,তোমার চোখ আঁকতে ,তোমার ঠোঁটের হাসিটুকু রংতুলিতে মেশাব আমি ,জানো তো তোমার গালের ওই দুস্টু তিলটাকে দেখলে আমার হিংসে হয় ,কি সুন্দর তোমার গাল ছুঁয়ে আছে তার ঠোঁট ? আমি হিসাব বুঝে নেবো তার ।
যাহ! এতো হবার নয় ...হয়তো সবই কল্পনা ,আমিও পাগল একটা ।

তবুও প্রতীক্ষা করবো আমি ....তোমার জন্য,শেষ অবধি ।।

                        ইতি
                     জ্যোতির্ময়

মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮

না বলা কথা



 রোদসকাল ,শীত চাদর গায়ে মাখা ,
আলমারিতে তোকেও সাজিয়ে রাখা ।।
শিশির পায়ে ,আমার রং চটা দেওয়ালে ,
জল ছবি ,তোর ছবি ,সব কিছুর আড়ালে
ইচ্ছে গুলোও ইচ্ছে উঁকি।তোকে রোজ খুঁজি
ডাক বাক্সের ভিতরে ।
ঠোঁটে জমে কথা ,হয় না বলা ,জমে গভীরে ।।

তুমিও ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাও মেঘ ।
তোর সুরের গানে নতুন রিমেক ।।
দেওয়াল ঘড়িতে মাপছি প্রহর ।
তোর ঠোঁটের আস্কারায় চুমু আঁকে আমার শহর ।।
নিজেকে বন্দক রেখে তোর কাছে ।
সারাদিন আঁকিবুকি বৃষ্টি ভেঁজা জানালার কাঁচে ।।
আমার ঘামে ভেঁজা স্বপ্ন রূপকথা এঁকে যায় ।
তবুও কিছু না বলা কথা ঠোঁটেই আটকায় ।।

হঠাৎ তবুও বৃষ্টি এসে কাপড় ভেজায় ।
মেপে দেখো পারদে "কত ভালোবাসি তোমায়?"

মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

তোমার থেকে






আর একটু পর দিগন্ত রেখা মিশে যাবে সন্ধ্যার আকাশে ,
তখন ঝিঁঝির ডাকে ছায়াপথ বেঁয়ে পৃথিবীর বুকে ঝরে পড়বে
কিছু উল্কাও ।মেঘের ঘোমটা সরিয়ে হয়তো উঁকি দেবে চাঁদও তখন।
আর আমি এপথ ধরেই রোজ হেঁটে গেছি তোমার দেশে ,
বেনামী চিঠির মতো ।।

এদিকে আমার শহরে দুর্ভিক্ষে তখন মহামারী ,
ডেঙ্গুতে সাফ গ্রামের পর গ্রাম ।
ছুটে চলা ট্রামের ব্যস্ততায় আত্মঘাতী ছেলেটা
একলাই কথা বলে সে আপন মনে ,খোঁজ কেউ রাখে না।

ঠিক একটু একটু করে চলে গেছি আমিও দূরে,
বালিতে মিশে গেছে চুমুর উষ্ণতা গুলো ।
ঠোঁটের নিচের তিল সাক্ষী ,
আমার শহরে ল্যাম্পপোস্ট আর জ্বলে না
প্রতীক্ষারা আটকে গেছে দেওয়াল লিখনে সস্তায় ।।

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮

লিখেছি তোমার নাম

#লিখেছি_তোমার_নাম

©জ্যোতির্ময় রায়

কয়েকটা ঝিনুক এঁকে বেঁকে রেখে গেছে পদচিন্হ ।
শামুকের খোলসে প্রান্তর ছুঁয়ে গেছে বালির দাগে ,
ফেনায় ফেনায় চকমকি ,চাঁদের কলঙ্ক মুছে গিয়ে
একটি জোনাজ , শুকতারও দিচ্ছে উঁকি ....।।

যে নাম লিখছি আমার তীরে, ঢেউ বলে দেয় অবস্থান
কোন দ্রাঘিমাংশে জলে শব্দের কবিতা জেগে উঠে ।।

দু একটা নুড়ি দিয়ে যদি স্বপ্ন কিনে দূরত্ব মাপি
রিখটার স্কেলে ,আমার পৃথিবী তখন চাঁদ মাখা
মানচিত্র হয়ে আরশি নগর আঁকে ।

নিউজ তখন হাইলাইট ,আছড়ে পড়েছে ঢেউ
আমার তীরে গোলাপী তরঙ্গে,সাপোর্টবক্সে পুরোনো চিঠি,
হয়তো কাছে ডাকছে তোমায় কেউ ।।

বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮

আগন্তুক

আমি রোজ তোর প্রেমে পড়ি ।
রোজ ডাল ভাতের সংসার
ছায়ার মাঝে ছায়ায় মিশে কথা
তবুও তোর মানচিত্রে নদী পারাপার ।

গল্পের মতো শেষ হয়ে যাবো হয়তো আমিও
মাইল ফলকে হিসেব লেখা ।
দূরত্বটা অনেক জানি তবুও
পাহাড় থেকে সাগর তীরের হবে কোনোদিন দেখা ।।

©জ্যোতির্ময়

বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৮

সে

অনেক দিন পর একটা 100% প্রেমের কবিতা



সে আজও গল্প কবিতায় ।মনের গভীরে
আলোছায়াতে মিশে যায় ।গোপনে তারে
চুপি চুপি আমিও ছুঁয়ে যাই ।।
হারিয়ে ফেলে খুঁজে পেয়েও হারাই ।।

তার উষ্ণ দুষ্ট কিছু অভিমান,তার একটু ঠোঁট ছোঁয়া ।
তার শহরের ভিড়ে,হোক নাহ ট্রাফিক জ্যাম,তবুও কাছে পাওয়া ।।

"ভালোবাসা কিছু নেই ,তোর সাথে আড়ি "
"উফফ "আমি একটু বেশি জ্বালাতন যদিও করি ।।
তবুও দূর থেকে আরো কাছে আসা ।
আজকাল হারিয়ে গেছি আমি, তবুও থাকবে এই ভালোবাসা ।।

মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই, ২০১৮

আগন্তুক



(১)

আরও কিছু গল্পের মতো উড়ছে কথা ,বাতাস ডিঙিয়ে
চাঁদের দেশে অযথা ।যাত্রীবিহীন একটা উড়ন্ত চিঠির গাঁয়ে
যদি প্রেমকে রাখি ফের ।দুটি পথ  সমান্তরাল হতে হতে
গোলাপ মুসাফির ।হোক তবে কিছু কথা যেতে যেতে ।।


পথটা চলে গেলে তারপর ।সময় বিক্রি সস্তায় ।
চেনা তবুও অচেনা হয়তো হবো এরপর।রাস্তায়
হঠাৎ দেখা হলে আমি ভিনদেশি তখন ।
কিংবা রহস্যময় ,কোনো ফিল্মি ঢপ ,তবুও চলবে জীবন ।।


এভাবেই কিছু শঙ্খচিল করবে পথ ভুল ।
বসন্ত আসুক বা নাই আসুক ফুটবেই ফুল ।।
আবার শীত আসতে না আসতেই পরিযায়ী ।
তবুও মেঘের আড়ালে চাঁদ উঠবে হেসে নিয়ম অনুযায়ী ।।




(২)



অল্প করে ভালোবেসো তবে ,
আমি চাতকের বেশে ,
দেশ বিদেশে ইস্তিহারে
চাঁদ ছুঁই স্পর্ধা দেখাবো ফের ।।


হয়তো রং তুলিও মেঘ চাইবে
তোমার চোখ আঁকতে ।
মানচিত্রে তখন আমি
বিপ্রতীপ কোণ'এ অক্ষাংশে
গৌধূলি কুড়োবো মুঠো ভর্তি ।।


কথারা রোজ তো জমে
অল্প চাওয়া তোমার,অল্প আমার পাগলামি
ইচ্ছে ডানায় নীলচে খাম
শীতের সকালে রোদ কিনেছি যেন আমি ।।

(৩)



জানি আমিও অজ্ঞাত ,কিংবা তোমার কাছে সম্পূর্ন অচেনা ।
তুমিও ঠিক একই রকম ,তবে তোমার শহরে আমার রোজ আনাযানা।।
আমিও সীমানা মাপি ,কত হাত গভীর আমার সাগরের জল ।
কতটা ভিজেছে কাপড় আমার ,যদি বলি"তোকেই লেগেছে
খুব ভালো ,ভালোবাসি" ,কিছু মনে করবি না বল ?


তবে বলবো না তোমায় সাজানো কোনো গল্পও ।
কিংবা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি "তোমার জন্য প্রাণ দিতেও রাজি"
কিংবা আকাশ থেকে পেড়ে  দেবো চাঁদও
"জন্ম দিনের গিফ্ট"।তবে "হারাতে দেবো না তোমার মুখের ওই
 হাসি ,আমরণ থাকতে চাই তোমার পাশাপাশি ।।



(৪)



আরো কিছু রোদকে কুড়িয়ে  রেখেছি বইয়ের পাতায় ।
কিংবা বলতে পারো "নাটুকে ছবি " ।
আমার শহরের শীতকাল তখন,ঝরে পড়ে পাতাও,
তবে মনে রেখো ,মিথ্যের মাঝেও সত্যি কিন্তু সব-ই।।


যদিও গল্পের মতো সহজ সরল ফুটপাত বেয়ে
এঁকে বেঁকে চলে গেছে নদীপথ।তারপর বালুচর ।
তবুও টেথিস হিমালয় আঁকে।ফসিলস প্রমাণ ।
মোমবাতি মিছিলে গোলাপ ফুটে যেন আরশিনগর।।


আরও একটু চাইবো তোকে ,আরও স্টেশনে
থমকে থাকা ট্রেনে বাড়বে ভীড়।
রেড অ্যালার্ডেও চায়ের কাপে তুমিই আছো ।
ছক কেঁটে দেখতে পারো আমার মারিয়ানা কতটা গভীর ।।


(৫)



একটা চাঁদ মাখা রাত্রির গল্পে মতো ,সবুজ সংকেত
খুঁজেত গিয়ে রোজের জেব্রা ক্রসিং এ আটকে গেছে মনও ।
তুমিই ট্রাফিক তখন ,এ ,বি ,সি ,ডি, এর অক্ষরমালা ।
"অল্পতেই হোক গল্প খোঁজা যাবে "এক কম্বলের শীতকাল যেন ।।


আমি কিন্তু ভিড়ের মাঝে রোজ হারাই ,
রোজের অফিস ফেরৎ ব্যস্ত জীবনের হিসাব নিকেশ।
একটা নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি রোজ ,মুক্ত আকাশ।
বলতে পারো ,সকাল হতে না হতেই দেখি ,দিন হয়ে যায় শেষ।।


তবুও কাপড় বাঁচিয়ে ভেঙে চলি রোজ হাঁটু জল।
তুই যদি চাস ,তবে "আমার মতো গল্প হবি বল ?"।।


(৬)






হয়তো রোদ ছুঁয়ে যাবে
তোমার আঁচল ,মাপকাঠি ।
আমার শহর তখন দেওয়াল
ঘড়ির কাঁটায় চলমান ।।

আলোর নিচে কাঁপতে থাকা
ছায়া ,অন্ধকারে বন্দি মুখোশ ।
সান্তনা কিছু তখন আহত ঝিনুকে
অন্য ঠিকানায় খুঁজে ফেরা আস্তানা ।।


তবুও ডাক পিয়নে আসবে বেনামী চিঠি
হাঁটুর নিচে জল ,তবুও কাপড় বাঁচিয়ে চল ।
ইস্তিহারে বিকিয়ে যাবে "মন-কেমন"
দীর্ঘশ্বাসে উপস্থিতি হবে অন্তর্বর্তী শূন্যতায় ।।





শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

রংমশাল



©জ্যোতির্ময় রায়




আরো একটু আগুন ছুঁয়ে গেছে ঠোঁট ,
সেহিসাব মেলেনি আর ,সিঁড়িতে উঠতে হোঁচট ।।

তারপর পুড়েছে সিগারেট ক্লান্তিহীন চোখে ,
পা টিপে টিপে চলা হল শুরু অন্ধকারকে দেখে।।

কাঁটাতার গুলো বেওয়ারিশ গল্প লিখেছে অন্যকোনো ডাকনাম''এ,
"মুখচোরা ,আমিও জানি চোখ ফিরিয়ে নিতে ।।"

যে ইটপাথরে এঁকেছি সস্তার স্বপ্নগুলোর ঘর ,
"তোকে'ই" দিলাম এই আলোর মাঝে কাঁপতে থাকা শহর।।


না'হয় হলাম পরিযায়ী ,আরও একটু অচেনা,
আমি সেথায় হারালাম ,ভুল করে আর খুঁজো না ।।


মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৮

I am Lucky again...



সেদিনও মেঘ ছিল আকাশে ,নাঃ বৃষ্টি হয়নি তবে ।লোড শেডিং ছিল তিন ঘন্টার ।প্রতিদিনের মতো সেদিনও কিছু লিখবো বলে দূরে ওই জানালার বাইরে তাকিয়ে আছি ...। নাঃ ,আমি আজও শব্দহীন ,যেন শব্দ শেষ হয়ে গেছে আমার ।ফেসবুক খুলেই টাইম লাইনে দেখি প্রথমেই দেখি একটা মেয়ের ফেন্ড সাজেশন । বেশ অন্য রকম যেন ,প্রোফাইল ঘাটতে শুরু করেদিলাম ,বাঃ এও লেখে ,। আমি এত সহজে যেমন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট সেন্ড করি না, ঠিক তেমনি accept ও করি না এখনও,এমনকি কথাও বলি না মেসেঞ্জারে সাধারণত। জানি না কি কারণে ফ্রেন্ড রিকেউস্টটা আমিই সেন্ড করলাম ,জানি না কবে সে একসেপ্ট করেছে  । 7ই অক্টোবর ,হ্যাঁ আমার মনে আছে ,তার বার্ড ডে , “Happy birthday” is the 1st message to her and the  day she was  send me the 1st message to  me on 12 doctor 'hi” at,1.50 am.
My reply was “hi ,good night “ at 2.22 am
One thing I have to say that , “কিছু কিছু সময় ,কাউকে কোনো কারণ ছাড়াই ভালো লেগে যায় ,জানি না কেন ভালো লেগেছিল তাকে আমি জাস্ট তার প্রোফাইল ঘাটতাম কিন্তু মেসেজ করার সাহস হয়নি,মেসেজ করেও বা কি বলবো তাকে এই সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে আর মেসেজ করা হতো না ,and I never accept that she sent me the 1st messege ,may God heard my voice ,or may I was lucky on that day . And. আমি জানি না কবিতা গুলো যেন তারপর থেকে প্রাণ পেতে শুরু করলো ।
And her 2nd message was on the next day

“তোমার অনুগল্প গুলো কিন্তু দারুন”
That's one of my greatest succes ever, যে যাকে মেসেজ করতে গেলে আমার ভাষা হারায় সেই মেসেজে আমার লেখা পড়ে তার তারিফ করছে .আমি ভেবে পাইনি কি বলবো প্রথমে ,আসলে আগে কোনোদিন লিখিনি অনুগল্প ।1st response from her ,I get confidence to write again .তারপর থেকে শুরু হলো কথা ,
“Good night” was the Word I used to start to talking with her . I just forgot words ,I couldn't get the words ,what I say to her? .
যাই বলি সব যেন কেমন কবিতা হয়ে যায় শুধু ।এখনো পর্যন্ত বুঝতে পারি না কিভাবে কথা শুরু করবো ,কি ভাবে কথার পর কথা সাজাবো । একটা হাল্কা ভয় কাজ করে যেন ,তবুও মনে হয় সব কিছু তাকে বলা যায় ,সব কিছুই ।
তাকে বোঝবো কি করে যে তাকে কেন যেন ভালো লেগে গেছে আমার ,অথচ তাকে কোনো দিন দেখিনি ,তবুও মন হচ্ছে যেন হাজার বছর আগে থেকে তাকে আমি চিনি । সে যেন খুব কাছের কেউ । নাঃ বলতে কিন্তু পারিনি প্রথমেই । তার পর একদিন পোস্ট করলাম “একটা গুন্ডা টাইপের প্রেমিকা চাই ,যে আমার কলার ধরে ,এক ঘুষি তুলে বলবে ,যেন আর অন্য কোনো মেয়ের দিকে না তাকাই” ।

Yes , সে ,সেই প্রথম মেসেজ করল ,দারুন পোষ্ট ।
এবার ইরকির ছলে সাহস করে বলেই ফেললাম ,”হবে নাকি এরকম gf ,তোমার কাছে ,সঙ্গে 2 টো স্মাইলি”
“না ,না …..হা হা”

কিছু কিছু লেখা শুধু মাত্র Particularly for one person  এর জন্য হয় । ঠিক সেরকমই লেখা পোস্ট করতাম ফেসবুকে ,সে পড়ত ,আর বলতো বলে দাও মেয়েটাকে ,সাহস দিত আমাকে ,সে নিজেই বলতো যে “দাও আমিই বলে দিচ্ছি”
আরে বাবা তার কথাই তো তাকে বলছি ।
বলতে পারছি না তাই I told her indirectly .
এরকম চলতে থাকল দু তিন  দিন । প্রতিদিনই ভাবতাম নাঃ বলবোই এবার ,কিন্তু ওই যে ভাষা হারিয়ে যায় ,ইচ্ছে করে শুধু তার ছবিতে তাকিয়ে থাকি সারাক্ষণ ...হমম তার চোখ ,ঠোঁট ,গাল ,আর গালের ওই তিলে দিকে তাকিয়ে যেন থাকা যায় সারা দিন সারা রাত । বন্ধুরা বলতো ,মেয়েটিকে দেখিস নি ,জানিস না ,হঠাৎ প্রেম হয়ে গেল ? ,সত্যি তো ? কত টুকু বা জানি তাকে ,কতটুকু বা চিনি আমি ,সেও বা কতটুকু জানে আমায় ? তবুও কোথাও যেন অভিকর্ষ কাজ করে ।
বললাম at লাষ্ট । সেও বুঝতেই পেরেছিলো তার কথা তাকেই বলছি । তবে বলতে কিন্তু একবারে পারিনি ,বলতে বলতে ভোর হয়ে গিয়েছিলো সেদিন । হ্যাঁ তারিখ টা মনে আছে 16 octbr .একটা বড় নিশ্বাস নিয়ে বলেই দিলাম ,কিন্তু ..তাকে কিছুতেই বোঝাতেই পারছি না “সে” হল সেই মেয়েটাই ,হয়তো বুঝেছিল আগেই ,তার কথা তাকেই বলছি ,কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছিলাম ডিরেক্টলি বলতে ,যদি বন্ধুত্বটাই না থাকে ,মেয়ে দের ব্যাপারে একটু  ভীতু আমি । সেই ছোট বেলা থেকেই । যাক একটা বড় দম নিয়ে বলেই দিলাম ডিরেক্টলি ,And I was off the Data connection  just when I told her directly , because I didn't want to see the reply from a”big NO” I couldn't bear that .

I was lucky again ,No ,there was not a reply with “NO” and “you can't send any messes to that conversation”
I like to thank to God again ,that there is a message for me “ বড় ভীতু তুমি ,এটা বলতে ভোর করে দিলে”
“আমি তো একটা ভোরই চেয়েছি ,রাত্রির পর ,আরও একটু আলো”
And You is the light of dawn ,and I am very lucky that I get You .