এই ব্লগটি সন্ধান করুন

প্রফেসর হার্দিক পান্ডের ডাইরি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রফেসর হার্দিক পান্ডের ডাইরি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রফেসর হার্দিক পান্ডের ডাইরি(প্রথম পর্ব (১))

#প্রফেসর_হার্দিক_পান্ডের_ডাইরি
**********************************

        \*********√*******\\
         \*            *          *"\\
          \*             *          *\\
            \*********^********"\
               '"""""""""""""""""""""

            @স্বপ্নপ্রিয় দাশগুপ্ত ওরফে অজ্ঞাত অচেনা

           (প্রথম পর্ব )
                (এক)
       *****************

সকাল ..নাহ্ দশ বছর হলো চোখে দেখিনি ।সূর্য্য ডোবা বা উদয় সেই ছোট্টো বেলায় যা দেখছি সেটাই এখনো মনের কল্পনায় আঁকিবুকি মারে ,সিঁদুরে মেঘের আলাড়ে সাদা বকের বাড়ি ফেরা বা ওই পরন্ত বিকেলে সরষে ফুলের হলুদ চাদরে মুড়ি দেয় মাঠ ।এখন শুধু চাঁদ দেখি ..রাতের অন্ধকারে চাঁদ থাকুক বা না থাকুক আকাশ ভরা তারাদের মেলাই অন্ধকারে পথ দেখায় ।। মায়াবি স্বান করে জোছনায় বারান্দার কলকে ফুলের গাছটাও ।মনের সমুদ্রে পথ হারায় ইচ্ছেরাও ..ভুল করে ঢোকা শঙ্খচিল সেও আসে না আর ।রক্তের ছোপ ছোপ দাগে রঙ্গিন ব্যালকনির পর্দা গুলো ..আর বেডে মায়াবি ঘুমের নেশা নিকোটিনকেও হার মানায় ।তবে হেরে যাওয়া সেটা নয় ..হেরে গেলেই অভিনয় গুলো পরপর পরিষ্কার হয় আর তখন চেনা মুখ গুলো মনে হয় কয়েক হাজার বছরের পুরোনো ।।মাঝ রাতে হিংস্র পরুষের শরীরও তখন অনুভুতির চরম মাত্রায় কমলা লেবুর খোঁসা ছাড়িয়ে মিষ্টি রস চুসে খায় ।অবলা সেই নারীটি পরের দিন হয় নষ্ট মেয়ে নিউজ পেপারের হেড লাইনে ।।সুইসাইড বোমার থেকেও ভয়ঙ্কর আতঙ্কে ভরে যায় জীবন ।আর্তনাদে ভরে যায় সংসার ।।

আজ রবি বার ছুটির দিন ।স্টেশনে আড্ডা বসে চায়ের দোকানে ।সময় কাটে ঘড়ির কাঁটায় টিক টিক শব্দও হারায় ট্রেনের সাইরেনে ।আনন্দবাজার পত্রিকা ,১২/১২/২০৩০ রবিবার ।হেড লাইন  বিখ্যাত  বিজ্ঞানী প্রফেসর হার্দিক পান্ডে নিখোঁজ ।

তারপর .......

(ক্রমশ )

প্রফেসর হার্দিক পান্ডের ডাইরি(প্রথম পর্ব(২))

#প্রফেসর_হার্দিক_পান্ডের_ডাইরি
*********************************

   @স্বপ্নপ্রিয় দাশগুপ্ত ওরফে অজ্ঞাত অচেনা
            (প্রথম পর্ব)
              (দুই)
********************************
শালার এই নিউজ পেপার গুলোও হয়েছে ,খবর পেলেই খবর নিয়ে কারবারি ,আর তাতে কয়কশো গুন বারাবারি তো আছেই ।অতো বড়ো বিজ্ঞানী হারিয়ে যাবে ? বিশ্বাস করা যায় ? তবুও শালার এমন ভাবে লিখবে পাবলিকে বিশ্বাস করতেই হবে ,পাবলিক যে নিউজ এখন পড়ে না ,খায় ।এই তো গত বছর তিনি প্রথম জেনেটিক ইঞ্জেনেয়ারিং ,ন্যানোটেকনোলোজিতে পুরষ্কার পেলেন ।আর এখন কোনোকিছু হারিয়ে গেলে খুজে পাওয়া তো সহজ ।এতো বড়ো বড়ো টেলিসকোপ ,এতো স্যাটেলাইট ..মামুলি ব্যাপার ।

মেদিনীপুর কলেজ ,১৩/১২/৩০
মেডিয়ায় ভর্তি বাইরে ,এই কলেজেরই প্রফেসর ছিলেন হার্দিক পান্ডে ,ছিম ছাম চেহারা ,৫'৫" হাইট ,শ্যামবর্ণের ।তবে ক্লাসে যখন লেকচার দিতেন   সবাই মন্ত্রমুদ্ধ সাপের মতো শুনে যেত ।রোবোটিক্সে শুধুমাত্র উনার জন্যই গোটাবিশ্বে একটা আলাদা পজিশনে মেদিনীপুর কলেজ ।হঠাৎ স্যার হারিয়ে যাবে কেউ ভাবতেও পারেনি ,গোটা কলেজে শোকের ছায়া ।সিআইডি এসেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ।প্রিয় ছাত্রদের মধ্যে বিক্রম ছিল সব থেকে প্রিয় । " কাল শেষ বার তুমি স্যারকে কোথায় দেখেছিলে ?"
"ওনার ল্যাবে " সাধারণত স্যারের ল্যাবে কারো ঢোকার পারমিশন নেই ।আমি একবার ডুকেছি তবে স্যার আমাকে পুড়োটা দেখায়নি "।
"কোন দিকে ল্যাবটা ? চলো ...।
বিক্রম নিয়ে গেল । ফিজিক্স ল্যাবের পেছনে দরজায়  একটা বড়ো বিবেকানন্দের ছবি দেওয়ালে আটকানো ।পাশে একটা টেবিল ,টেবিলে বসানো নানারকম সরঞ্জাম ,একটা ছোটো চাকতির মতো ,দেখতে ঠিক সিটি ক্যাসেডের মতো ,ওটা ছুতেই বিবেকান্দের ছবিটা সরে গলে একটা দরজা ।বিক্রম জানত পাসওয়াট । ভিতরে ঢুকতেই ??

(ক্রমশ )