এই ব্লগটি সন্ধান করুন
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
বুকের সমীপে || জয়িতা চট্টোপাধ্যায়||
দুঃশাসন || সুমিত মোদক
বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫
আত্মহনন || সুমিত মোদক ||
বেঁচে থাকাও এক পরিহাস || জয়িতা চট্টোপাধ্যায় ||
ধর্ম || বিকাশ কারক|| ক থা হো ক ||
বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
মধ্যরাত || সুমিত মোদক
বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩
সরকারী অনুদান :দেশ দেউলিয়া করার আসল মন্ত্র॥এখনি সময় দেশকে বাঁচবার ,চোর নেতাদের ভোট নয় বারবার(প্রথম পর্ব)
লক্ষ্মীভান্ডার ,কন্যাশ্রী ,যুবশ্রী ,ফ্রি রেশন ,ফ্রি আসলে কি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি অভিশাপ :
যদি প্রশ্ন করি আফ্রিকান দেশ ভেনিজুয়েলা ও এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা এই দুটি দেশের মধ্যে মিল কোথায় ? একটাই উত্তর আসে ,দুটো দেশই দেউলিয়া হয়ে গেছে ৷ এবার প্রশ্ন হচ্ছে কেন ? এর একটাই উত্তর "Freebies" বা অনুদান । 99% মানুষ এই অনুদান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় ।ওয়াকিবহাল তো অনেক দূরের কথা লোকে জানেনই না যে এই অনুদান আসলে কি ? আসলেই কি বিনামূল্যে প্রদান করা না কি এর পিছনে আছে অনেক বড় একটি অর্থনৈতিক প্রদান।এক্সপার্টদের অনুসারে যদি ভারতে এই ভন্ড নেতাদের ভোট কেনার জন্য অনুদান প্রথা যেমন কন্যাশ্রী ,যুবশ্রী ,লক্ষ্মীভান্ডার ,ফ্রী রেশন,ফ্রি বিদ্যু ইত্যাদি চলতে থাকে তবে আগামী 20 থেকে 30 বছরের মধ্যে ভারতের অবস্থা সেরকম হয়ে যাবে ।আর পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা তো হয়ে গেছেই সেটা দেখতেই পাচ্ছেন । এবার অনেকে প্রশ্ন করবেন কেন ?
এর উত্তর আমরা চারটি চ্যাপ্টারে বুজবো
চ্যাপ্টার:১
চলুন আগে ভ্যেনেজুয়েলার কেস স্ট্যাডি করি
2019 এর তথ্য অনুসারে ভেনেজুয়েলাতে 304 বিলিয়ন ব্যরেল খনিজ তেল সংরক্ষিত আছে যা গোটা পৃথিবীর 17.8% এটি তাকে পৃথিবীর প্রথম স্থানে রাখে ।বলা হয় যে যার যে দেশের কাছে যত বেশি খনিজ তেল আছে সেদেশ তত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বেশি উন্নত এবং ভৌগোলিক রাজনীতিতে তার তত বেশী আধিপত্য।তবুও হঠাৎ কি হল যে ভেনেজুয়েলা দেউলিয়া হয়ে গেল ? কেন 2017 সালে ওখানকার লোকেদের 64% লোক শুধু মাত্র এক বেলা খেয়ে দিন কাটাত ,লোকেদের কাছে খাবার কেনার মত টাকা ছিল না ,82% লোক দরিদ্র সীমার নীচে চলে গিয়েছিল ? যে দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী খনীজ তেল সংরক্ষক তার একি হলো ?
এর কারণ জানতে হলে চলে যেতে হবে ইতিহাসে 1999তে ভেনেজুয়েলায় ওদের নতুন প্রেসিডেন্ট পান হুগো চাওউয়ীস কে পান ,তিনি ভোটের আগে ঘোষণা করেন যে তিন দেশে অর্থনৈতিক সামঞ্জস্য আনবেন ।সে বছরেই তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যায় এতে ভেনেজুয়েলা বেশ টাকা কমায় ,কথা মতো তিনি শুরু করেন বিভিন্ন সামাজিক কাজ ,যেমন বিনামূল্যে ঔষধ, শিক্ষা, রেশন ,বিদ্যুৎ ইত্যাদি এবং কয়েক বছরের মধ্যেই 50% গরীব কমে যায় সে দেশে ।এতে সে দেশের মানুষে খুব খুশি হয়ে যায় ,যেমন এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া অনুদানে খুশি কিন্তু এখান থেকেই শুরু হয় আসল কাহিনী । পরবর্তী ইলেকশনে জেতার জন্য তিনি এই প্রথাটি অবলম্বন করে চলেন যাতে লোক খুশি থাকে এবং ভোটে জিতেও যান । যেহেতু ভ্যেনেজুয়েলা একটি খনিজ তেলে উপর নির্ভরশীল দেশ যদি তেলের দাম কমে যায় তবে সেটা ডিরেক্ট প্রভাব পড়বে তাদের অর্থনৈতিক দিকে ।2013তে হঠাৎ একটি তিনি পরলোকে গমন করেন ,এরপর তার ডানহাত নিকোলাস মাদুরো নতুন প্রেসিডেন্ট হন ,তিনিও অনুদান প্রথা চালু রাখেন যাতে তিনি পরবর্তী ইলেকশনে ভোটে জিতেন ।2014 তে হঠাৎ তেলের দাম পড়তে শুরু করে।2014 তে যেখানে এক ব্যরেল তেলের দাম 100 ডলার ছিল 2016 তে 30 ডলারে পৌঁছে যায়।এরফলে শুরু হয় অর্থনৈতিক মন্দা যা নিকোলাসের কন্ট্রোলের বাইরে চলে ।তা সত্ত্বেও তিনি অনুদান প্রথা ,খাবার বিতরণ ,বিনামূল্যে ঔষধ, শিক্ষা চালু রাখেন অতিরিক্ত টাকা ছাপার মাধ্যমে এরফলে দেশের অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হয়ে যায় যা ওখানের অর্থনীতি হাইপার ইনফ্লামেশনে চলে যায়।2012 তে যা ছিল 21.07% সেটি 2018 তে গিয়ে 65374.08% এ চলে যায় মাত্র 6 বছরে এটি ভারতের সঙ্গে তুলনা করলে ভারতের ইনফ্লামেশন রেট ছিল 3.43% আমেরিকার ছিল 2.4% ।
অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গেছিল যে সেখানকার মানুষের এক কেজি চাল কেনার জন্য 2,20,000 বলিভিয়ার(ভেনেজুয়েলার টাকা) দিতে হত। এটা শুধু মাত্র যে অনুদান প্রথার জন্য হয়েছে তা নয় ,এর সঙ্গে ছিল আমাদের পশ্চিমবঙ্গের তথা ভারতের নেতাদের মত দুর্নীতি।তবে অনুদান প্রথার ছিল সব থেকে বেশি ভূমিকা ।
আসলে "Northing is to be free" কোনো জিনিস বিনামূল্যে হয় না
(সংক্ষিপ্ত...)
বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩
ভয় পায় : সুমিত মোদক
একটু একটু করে চোখ দুটো নষ্ট হয়ে গেলো ;
তার পর কান দুটো …
নাক তো বহু আগে কাটা পড়েছে ,
সেই রামায়ণ যুগে ;
ঠেকেছে কেবল মস্তিষ্কটুকু ;
মাঝে মাঝে মনে হয় সেটুকু আছে তো !
মাথাটাও কি বিকিয়ে গেলো !
নদী ভাগীরথী , সব জানে ;
আর জানো তুমি …
হেমন্তের রাতে কুয়াশা ঢেকে দিতে থাকে বোধ ;
গর্ভের সন্তানও ভূমিষ্ঠ হতে ভয় পায় ;
আঁতুর ঘরে তবুও তো মাটির প্রদীপ জ্বলে ;
মা জাগে রাত …
মাঝ রাতে করা চিৎকার শুরু করেছে !
করা ভেঙে ফেলছে নদী-বাঁধ !
অসাড় হয়ে মুখের মধ্যে পড়ে থাকা জিভটা
শুরু করে দিয়েছে নড়াচড়া ;
বুকের মধ্যে সাজিয়ে নিচ্ছে কুরুক্ষেত্র প্রান্তর ;
এবার বেজে উঠবে পঞ্চজন্য শঙ্খ ।
দেবাঞ্জন ব্যানার্জি এর এক গুচ্ছ কবিতা
ফিরে দেখা
আমার স্বপ্নে তুমি আজও আমার পাশে,
তবু হাজার ডাকেও নেই যে কোনো সাড়া!
ব্যর্থ কবির স্তব্ধ অভিলাষে,
তুমি মাঝ আকাশের ভিনদেশী এক তারা ।
রংমহলের দরজা আজও খোলা
আজও ফেরায় আলো ঝলমলে ঝাড়বাতি..
আজও তুমি ছাড়া হইনা আপনভোলা,
হয়তো ভাগ্যে আমার চলছে সাড়েসাতি।।
বাঁচিয়ে তুলি ধুলোজমা ক্যানভাস,
শুকনো রঙে স্মৃতির কণা ঝড়ে
তোমার ছবিতে পড়ছে রুদ্ধশ্বাস,
ওই হাসিতেই একরাশ মেঘ সরে।
আজ আলোয় মোড়া পথে আমি একা,
ওই ছুট্টে এসে হাতটা ধরলে তুমি,
আবার তোমার আমার প্রথম সেই দেখা..
সেই চলে যাবে তুমি, কালই তো দশমী।
চশমা
আলমারির এককোনে ফেলে রাখা চশমায় চেপে বসা ধূলো..
যেনো থাকতে চায় না আর, উগড়ে দিতে চায় জমানো কথাগুলো।
তুলে নিয়ে দেখি তাতে, একপলকের আদরে,
হাজার রঙিন বিকেল আর বেরঙিন প্রজাপতি ওড়ে।
ছুট্টে দেখি বারান্দায়, সরছে ঐ গম্ভীর মেঘগুলো,
ইচ্ছে হয় আমারও, সায় দেয় ঝরাপাতাগুলোও।
মরা গাছেও দেখি ফোটে ফুল, তবু বাতাসের হাহাকার!মিছিমিছি কেন? কেন আজও ওরা নির্বিকার?
ইচ্ছেনদীর তীরে, আজও থমকে আমি অকারণ
বেরঙিন দুনিয়ায় রঙিন বেলুন ফেরি করাই বারণ ।
না বলা কথা
আমার স্বপ্নগুলো দমকা হওয়ার মতো,
মাঝে মাঝে এসে ঝরাপাতাগুলোকে উড়িয়ে নিয়ে যায়,
ঠিক যেনো আকাশের ঐ বিদ্যুৎের ঝলকানি, এক পলকে এসেই আবার কোথায় পালায়!
বসে বসে ভাবে শুধু আমার মন,
এগুলো বলাই নিষ্প্রয়োজন,
আমার না বলা কথা।
এলো ওরা হনহনিয়ে তেড়ে
বাঁধলো আমার হাত, পা, আমার মুখ,
খাঁচায় বন্দি বাঘের চেয়েও যে হিংস্র,
কেড়ে নিলো আমার বাঁচিয়ে রাখা সুখ।
মাটিতে পড়ে রয়েছি শুধু আমি
সইছি ওদের দেওয়া সব যন্ত্রনা
খাচ্ছে ছিঁড়ে ক্ষুধার্ত সব পশু,
নিজেকে তো আর বাঁচাতে পারলাম না!
থাকলাম না আমি, থাকলো না আমার স্বপ্ন,
জিতলো ওদের নগ্ন বীভৎসতা,
বীরদর্পে থাকলো শুধু ওরা,
আর রইলো বেঁচে আমার না বলা কথা।
যখন লড়ছিলাম ঐ পশুগুলোর সঙ্গে
কেউ শোনেনিতো আমার অসহায় চিৎকার,
আর আজ যখন আমি দূরে, অনেক দূরে
সেই তোমরাই কিনা দিচ্ছ আমায় ধিক্কার!
আমিতো সাধারণ একজন
তাই নির্বিচারে যন্ত্রণা নিয়ে যাই,
আজ আমি আর নেই, পুড়লো আমার দেহ,
বৃষ্টির জলে ধুয়ে গেলো সব ছাই।
এমনি করেই যাচ্ছে চলে সব,
হচ্ছে যতো হিংস্র পশুর শিকার,
আমার তো আজ হাত, পা সব বাঁধা,
তবে তোমরা কেনো এখনও নির্বিকার?
বলছো তোমরা ভুল তো কিছুই নয়,
মেয়েরা কেনো করবে বাচালতা?
জানতাম সব বুঝবে না তো কেউ,
আমাদের সব না বলা কথা।
নবাগত
আসিয়াছে দেখো নূতন কুসুম
আনিয়াছে বর্তমানের সুঘ্রাণ
তারে ঝরাইলে পড়ে হারাইবে তুমি,
ভবিষ্যতের প্রাণ।
সুকঠিন তার সবুজবৃন্ত,
চিরমুক্ত যে দল।
তাহারই মাঝে উজ্জ্বল তেজ,
কোথা আর পাবি বল?
কোমল যে তার দলগুচ্ছ,
মধুর বর্নে রিক্ত,
বিধুর জ্যোৎস্নাস্পর্শে লজ্জায় গুটায়,
হয় শীতল শিশিরে সিক্ত।
সঙ্গীরা সব পাপড়ি মেলিছে
ডাকিতেছে তারে যারা,
প্রভাতরবির আলোর ডাকে
ধীরে ধীরে দেয় সারা।
ধীরে ধীরে দেখো বহিতেছে বায়ু
মাথা দুলায় পত্ররাশি,
হেলাও তোমার ক্ষুদ্র দেহ,
দূরে ঐ রাখাল বাজায় বাঁশি।
চতুস্পার্শ করো সুন্দর,
হও আনন্দে তমোঘ্ন,
বরন করো হে নবাগতকে,
দেখো আগামীর স্বপ্ন।
স্রোতের চোরাস্মৃতি
আজ মুক্ত স্রোতের উজানটানে সব স্মৃতি ভেসে যায়, তবুও কেনো ঢেউগুলো সব চড়ায় ধাক্কা খায়?
পাথর ভর্তি পাড়গুলো আজ নয় আর পঙ্কিল, আকাশের বুক চিড়ে ওড়ে একলা শঙ্খচিল।
নেইতো জোয়ার, শোনা যায় শুধু ভাটার দুঃখের গান, বাণের জলের কান্নায় তাই ভাসে নদীর প্রাণ!
গানদরিয়ায় একলা মাঝি ভাসছে মনের সুখে, ঢেউয়ের বওয়া চোরাবালি জমছে নদীর বুকে।
দিগন্তের শিখরে রামধনু সুতো বাঁধতো নদীর প্রাণ, এখন শুধু জ্বলতে থাকা চিতার পাশে একলা ফকিরের গান।
মুক্ত থাকার জ্বালায় রইলো বন্দি থাকার আশা, দুরন্ত স্রোতের মাঝে আজ শুধুই স্মৃতির যাওয়া আসা।
অপরিবর্তিতা:অঞ্জলি দে নন্দী
আমি কিছুতেই নিজেকে পাল্টাবুনি।
নিদ্রিতা স্বপনে আমি অতীতের জাল বুনি।
আর কভুই না ফিরে আসা গতদিনের ডাক শুনি।
আহা, কতই না হার্দিক কথোপকথন!
বর্তমানে জাগ্রতা আমি সেই বীজ-স্বপন
ভবিষ্যতের জন্য দূরদৃষ্টি-মাটিতে করি বপন।
মুদ্রিতা নয়নে আমি এই দৃশ্য স্বপনেই পেলুম -
আগামীর পথ, যে পথে আমি এগিয়ে গেলুম।
সে পথেই আমি অমরত্বের অমৃত খেলুম।
অজানা সম্মুখ-পথ, অজানা তার পরিণতি।
তবুও অদম্য আমার গমন-গতি।
আমি পথপ্রিয়া এক অপরিবর্তিতা পথি।
থামা কাকে বলে, তা তো আমি জানিনি।
কোনও বাধাই যে আমি মানিনি।
কখনও অক্ষমতাকে আমি ভাবনায় আনিনি।
আজন্ম, আমৃত্যু আমি চলছি।
কষ্ট যত দুপদতলে দলছি।
মৃত্যুর পরেও আমি চলব-আমার প্রতিজ্ঞায় বলছি।
শ/সপথের স্ব-পথে আমি অনন্তা-সবিতারূপে জ্বলছি।
বিগলিতা অশেষ-আলো হয়ে গলছি।
আপন গতিতে সফলতায় ফলছি।
মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
মেশকাতুন নাহার
হত্যা : কৌশিক গাঙ্গুলি
অমানুষের গল্প:রেজাউল করিম রোমেল
সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
বাদল রায় স্বাধীন এর এক গুচ্ছ কবিতা
পাগলও আজ পুলিশ চিনে
সারা বাংলায় জ্বলছে আগুন,কে জ্বালালো শুনি,
মন্দির ভাঙ্গার বাড়ছে সংখ্যা, শুয়ে শুয়ে গুনি।
কারা এসব কাজ করেছে,কে ভেঙ্গেছে মুর্তি
কারা এসব দেখে শুনে, করছে আবার ফুর্তি।
অবমাননার দায়টা কার,বলবে কে সে সত্য
ক্ষমতায় আসীন হওয়ার,এটা কি সে পথ্য।
একের দোষ অন্যের ঘাঁড়ে, নেয়না কেউ তার দায়
শেষ পর্যন্ত দোষ চাপে, নির্যাতিতের গায়।
দোষের উপর দোষ দিয়ে সব,ছড়ায় আগুন আরো
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি টার,সময় পোয়া বারো।
অবশেষে সামনে আসলো, সত্যি যে কে দোষী
কিন্তু তাকে বাঁচিয়ে নেওয়ার,চিন্তা সবাই পুষি।
কেউবা বলে পাগল তাকে, কেউবা ভবঘুরে,
সে পাগলটার খোঁজ মিললোনা,কেন রংপুরে?
পালানোটা দরকার বুঝলো,সে পাগলটা আবার
দুই দিনে সে চলে গেলো,সূদুর কক্সবাজার।
সে পাগলের মিটিং দেখলো, সারা বিশ্ব বাসী
মাজার থেকে কোরআন রাখলো,মন্দিরেতে আসি।
ঘর পোড়ানো মানুষ গুলো, চাইলোনা তার ফাঁসি
মনে মনে সে পাগলকে, সবাই ভালোবাসি?
মনে হলো সে পাগলের, খুশি সবাই কাজে
সে প্রশ্নটা সবাই শুনে,বলবে আমায় বাজে।
সত্যি হলো সে পাগলকে,সবাই বাসে ভালো
হয়তো আবার মিছিল হবে, ইকবাল এগিয়ে চলো।
আমরা সবাই তোমার সাথে,ভয় পেইওনা ভাই,
তুমি হলে ধার্মিক এমন,তুলনা যার নাই।
মাঝে মাঝে এমন পাগল,সবার চাওয়া হবে
ক্ষমতায় টেকার পথটা,সুগম হবে তবে।
জামাই ষষ্টি, সুখের স্মৃতি
চৌদ্দ বছর শশুড় বাড়ি, হয়নি আমার যাওয়া।
তাইতো হয়নি তাদের বাড়ি, ভালো মন্দ খাওয়া।।
ভারত এসে পেলাম এবার, শশুড় বাড়ির স্বাদ।
সত্যি কভূ ভালোবাসা,পাইনি এমন নিখাদ।।
জামাই ষষ্টির দিনে হঠাৎ,জামাই সাজা হলো।
পাঁঠার মাংস দধি পায়েশ,অনেক খাবার এলো।।
মাছ ভাজি, মাছ রান্না, সব্জী আবার ডাল।
আম,লিচু চিংড়ি ভাজায়,ডাইনিং হলো লাল।।
পাবদা মাছের দোঁ পেঁয়াজা,রুই মাছের ঝোল।
আনন্দেতে কান্না এলো,হারিয়ে মুখের বোল।।
কচি লাউয়ের সব্জী এলো,এলো বেগুন ভাজা।
বিয়ে করার এতো পরে,পেলাম বিয়ের মজা।।
এমন সন্মান দেয়নি আপন,শশুড় কিংবা শালা।
মনের মাঝে ছিলো তাই,অপ্রাপ্তির জ্বালা।।
আজকে এমন বিরল মান,যারা আমায় দিলো।
তাদের ভুলা সম্ভব কভূ ,মৃত্যু ছাড়া বলো ?
তাদের কাছে জিবন ভর,থাকবো ঋনী হয়ে।
বাকি জিবন সুখ স্মৃতিটা, কাটাবো আমি বয়ে।।
মায়ের পূঁজোয় দেবি তুষ্ট
মদ্যপানে মাতাল হয়,মায়ের পূঁজো করতে,
খবর শুনি আবার কেউ,নেশা করে মরতে।
জিবন্ত মাকে খাবার দেয়না,তাড়ায় দূর দূর,
দেবী মায়ের জন্য কাঁদে,নরাধম সে অসুর।
শক্তির পূজা করতে নাকি,শক্তি যোগায় মদ,
বিসর্জনে বুকটা ভাসায়,যে ছেলেটা বদ।
মাকে দেয়না ঔষধ পথ্য,দেবির জন্য ঢালি,
জন্মদাত্রী মাকে দেয়,কথায় কথায় গালি।
মাকে রাখে বিছানাহীন ,দেবির জন্য আসন,
লুটিয়ে পড়ে প্রনাম করে,নিজের মাকে শাসন।
দেবিকে কয় মাগো তুমি,বছর ধরে থাকো,
বউকে বলে বুড়িটাকে,আলগা ঘরে রাখো।
মায়ের জন্য পথ্য কিনতে,টাকার অভাব পরে,
দেবির জন্য লক্ষ খরচ,সে ছেলেটা করে।
দেবির চাওয়া তুলসি পাতা, নয়তো পাতা বেল
তবু আমরা ঢালি দেবীর, তেলা মাথায় তেল।
আসল মাকে কষ্ট দিয়ে,করলে দেবি পূজা,
নরকে তুই নিশ্চিত যাবি,হিসাব অতি সোজা।
জ্যান্ত মায়ের পূজা করো,সময় থাকতে তাই,
ইহকাল আর পরকালে,শান্তি পাবি ভাই।
যৌবনের এপিট ওপিট
ঝুম ঝুমিয়ে বৃষ্টি পড়ে, আষাঢ় শ্রাবন মাসে,
নদী তখন যৌবন পায়,দুর্বার হয়ে হাসে।
সে হাসি যে তীব্র অনেক, ভাঙ্গে নদীর কূল
হঠাৎ পাওয়া অহংকারে, করে অনেক ভুল।
নিজে ভাঙ্গে নিজের কুল, ভাবে হচ্ছি প্রসার
বর্ষা গেলে পানি শুন্য, সবিই যেন অসার।
সবাই তখন সে নদীকে,মরা নদী ডাকে
পানি মাছ সবি শুন্য, হাটু জল থাকে।
প্রবাহমান নদী কিন্তু,সমান তালে চলে
অনন্ত যৌবনা সবাই,সে নদীকে বলে।
মানুষেরও যৌবন শক্তির,সত্যিই এতো মিল
নিজেই নিজের পৃথীবিকে, করে তোলে নীল।
ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে,নিজের ক্ষতি করে
কিছু দিন পর রোগ ব্যাধিতে,ঝিমিয়ে সে পড়ে।
হঠাৎ করে জ্বলে উঠে, হঠাৎ থেমে যায়
জ্বরাজীর্ন রোগী হয়, উঠার শক্তি নাই।
অন্য দিকে সে যৌবনকে, কাজে লাগায় চতুর
সীমার মধ্যে করে সবি, হয়না কভু ফতুর।
দেশ ও জাতী সে যুবককে,স্যালুট সবাই করে
মৃত্যর পরও ইতিহাসে, থাকে স্বর্নাক্ষরে।
যৌবনটা তাই কাজে লাগাও,হিসাব করে চলো
বৃদ্ধ কালটা সুখের হবে, তোমায় করবে ফলো।
চরিত্রহীন বলোনা
মেয়ে তোমার বাড়ি কোথায়, ঠিকানাটা বলো,
জানতে বড়ো ইচ্ছে করে, কোন পথ দিয়ে চলো।
জানলে গিয়ে সে পথ দিয়ে, করতাম তোমায় টিজ,
ছবি দেখেই বুনলো মনে, ভালোবাসার বীজ।
অঙ্গে এতো রুপ কেন গো, এতো সুন্দর কেনো,
শুক্রবারে ছুটির দিনে, বানিয়েছে যেনো।
এতো সময় করলো স্রষ্টা, তোমার পিছে ব্যায়,
অন্য মেয়ের প্রতি এটা, হয়েছে অন্যায়।
লজ্জাহীন আর বেহায়ার, তকমা দাওনা যতো,
তোমার জন্য যুদ্ধ করে, হবো আহত।
ভীমরতিও বলুক লোকে, কিবা আসে যায়,
চোখ ফেরাতে পারিনাগো, করার কিছু নাই।
তুমি এবং স্রষ্টা দায়ী, কেন সুন্দর হলে,
আমায় কেন গাল দেবেগো, চরিত্রহীন বলে?
তোমার সুন্দর বদলে গেলে, ঘুরবোনা আর পিছে,
তাইতো আমায় দোষ দিওনা, শুধু মিছে মিছে।
তোমার সুন্দর বদলে গেলে, মন বদলাবে আমার,
নয়তো আমায় বলবেনাগো, ছোট লোক আর চামার।
তাইতো আমি দিলাম আজি, সে সুন্দরের ব্যাখ্যা,
এরপরও কি আমায় দেবে, চরিত্রহীন আখ্যা?
এ কোন স্বাধীনতা: প্রবীর কুমার চৌধুরী
এ দেশে জন্ম আমার এদেশেই বড়,
এদেশে জন্মাবধি ভয়েই জড়োসড়ো ।
এদেশের নাকি আরেক নাম সূর্যের দেশ-
এদেশেই ক্ষয়ে ক্ষয়ে কত যৌবন শেষ ।
এ নিকষ অন্ধকারে কে জ্বালাবে আলো ?
গণতন্ত্রের নিচেই দেখি জমাট বাঁধা কালো ।
স্বাধীনতায় ধনতন্ত্রের একছত্র অধিকার ,
গরিবী হটাও বৃথা স্লোগান,বাড়ছে হাহাকার ।
লুটেপুটে খাচ্ছে দেখ যত ক্ষমতাবান
মিথ্যা কথার নীরব শ্রোতা ,শাসনে ভগবান ।
স্বাধীনতার চোখে জল,প্রজাতন্ত্র অজানা,
সর্বজাতির ভারতবর্ষ অনেকেই মানেনা ।
বাপ,ঠাকুরদার ভারতবর্ষ স্বপ্নের এক দেশ ,
আজ দেখি দৈন্যদশা, বর্বরতা, উৎশৃঙ্খলতায় একশেষ ।
মানুষে মানুষে এত বিভেদ, এত অন্যায় কোথায় আছে ?
এখন শুধু ক্ষমতা, ঘুষ - বিবেক,মনুষ্যত্ব গেছে।
পঞ্চাশের প্রজাতন্ত্র মানুষকে পুরস্কার ,সম্মান দিল,
আর সংবিধানে মানুষের অধিকার,নাগরিকত্ব পেল।
আজ শুনি হায় প্রজাতন্ত্র মানুষের অজানা ,
দিকে দিকে রক্তের হলি প্রতিবাদে তবু মানা ।
সংবিধানে ন্যায়বিচার,স্বাধীনতা,সমতার কথা আছে,
এখন শুধুই মৃত্যুযন্ত্রনা ন্যায়বিচার কার কাছে?
বাহুবলির প্রতাপে রাত ঘুমহীন ,প্রাণ ওষ্ঠাগত-
ওরাই সমাজের রূপকার আর আমরা শরণাগত ।
এই স্বাধীনতাই কি চেয়েছিল ,এর জন্যই আত্মবলিদান ?
এ স্বাধীনতা দেয় না ভাত ,দেয় না সম্মান।
ফিরিয়ে দাও সেই ভারতবর্ষ যেথায় একতার হাসি-
ছিল শত দুঃখেও খুশির সকাল, ছিল বোধ ভারতবাসী।