এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৮

নাম তার দূর্গা







নবাবগঞ্জের নাম শুনেছো ?
পদ্মপুকুর ...অথবা মতিঝিল ?
রাত হলেই নিঝুম গোটা গ্রাম
ইলেক্ট্রিসিটি তখন হয়নি ..হ্যারিকেনের আলোই
সম্বল ..কেউ রাতে হারিয়ে গেলে
খুজে বার করার ..অথবা
শিমল ডাঙ্গার বাঁশঝার পেরোতে পাঠকাটির
মশাল নিতে হয় ..।
এই যে বাঁশঝাড়টা দেখতে পাচ্ছো
ওর পাশেই শ্যাওরা গাছের শুকনো ডালটা
এখানে আগের বছর মহালয়ার সকালে ডোম পাড়ার
কালু ডোমের মেয়ে দূর্গার ঝুলন্ত দেহ আবিষ্কার
হয়েছিল ।।

মা মরা মেয়ের বাবাই সব
বাবা দিন মজুর খাটত ..চৌধুরী বাড়ীতে
পিতৃপুরুষের ঋন শোধ করতে বেকার খাটত মাঝে মাঝে ।
চৌধুরী বাড়ির বড়ো ছেলে ও দূর্গা একসাথে মানুষ।
ভালোবাসাটা তাই  ছোট্টবেলা থেকেই
কে মানবে বলো একটা ডোমের মেয়েকে চৌধুরী
বাড়ির বউ হিসাবে ? সে যে ডোম ।
একদিন দূর্গাকে খুজে পাওয়া গেল না
বেশ এক সপ্তাহ ..।
ভাড়াটে ছেলেরা যে তুলে নিয়ে গিয়েছিল
এক সপ্তাহ পর যখন বাড়ি ফিরল দূর্গা
পুলিশ এলো তিন জন খুনের চার্জ নিয়ে
সাথে চৌধুরী বাড়ির বড়ো ছেলেও খুন ।
নাহ্ ..পুলিশ ধরতে পারেনি দূর্গাকে
রাতের অন্ধকারে আবার সে হারিয়ে যায় ।
হ্যারিকেনের আলো বা পুলিশের টর্চ লাইটটের
আলো পায়নি খুজে তাকে
নাহ্ পায়নি সেই রক্তাভ দুটি চোখ
হাতে ফল কাটার ছুরিতে রক্ত ঝর ছিল ভালোবাসার প্রতারক চৌধুরী বাড়ির বড়ো ছেলের
আর ওই ভাড়াটে অসুরদের ...।।
শুধু খুজে পেল ঝুলন্ত দেহ ..।।

কোন মন্তব্য নেই: