রাত্রি যত ঘণীভূত হতে থাকে ততই পারদ ছুঁয়ে দেখে মনে ওজন ।প্রথম প্রেমের মতোই ঠোঁটে লেগে থাকে সিগারেট আর ধোঁয়ায় খুঁজে দেখা মুখ গুলো ফ্যাকাসে হয় ,ছাই রং এ ।।
যে মেয়েটির ঠোঁটে প্রথম ঠোঁট ছুঁয়েছিল সেই মেয়েটি বৃষ্টির মতো ছুঁয়ে দেখে আজও আমায় ।
আমি গর্ভবতী হই তারপর । পোহাতি মনের রক্তস্রাবে কবিতার জন্ম হয় একটার পর একটা ।।
যার সাথে সব কথা বলা যায় ,যার কাছে যেমন হাসা যায় কাঁদাও যায় অনায়াসে ,যাকে জ্বালাতে ইচ্ছে করে ,যখন তখন গাল ঠিপে কিংবা চিমটি কেটে, রাগ দেখানো কিংবা অভিমানে পাহাড় ছুঁয়ে দেখে জীবাশ্ম । তাকে নিয়ে উপন্যাস লেখা যায় ,পাতারপর পাতা ।অন্য আকাশে নীহারিকার মত জ্বলতে থাকে সে গল্প কবিতায়।।
দেখা নেই ,জানা নেই ,হঠাৎ ভালো লাগা মেয়েটির চোখ আঁকতে এক শ্রাবন মেঘ দিও তুমি । আমার আঙুলে ছুঁয়ে দেখে রোজ তার গালের ওই তিল ঠিকে "ভালো আছে কি সে ? " রোজ ডাল ভাতের সংসারে সংসারী হয় মন তখন । না পাওয়াকে পাওয়ার বাসনায় ঘুমের ঘরেই রং তুলিতে ফুটে উঠে ঝলসে যাওয়া আবছা আবছা মুখের দাগ ।।
ওসব সবই হয়তো কল্পনা ,কিংবা ভীষণ বিষপানে আসক্তি ,নেশায় টলমল করতে করতে রাস্তা পেরোনো ,ট্রাফিকে দাঁড়িয়ে পিছনে ফিরে দেখা মানেই ,শেষ পর্ব ।যে মেয়েটি আঁকছে আমায় রোজ মনের ভিতর ,বাড়ছি আমি তিলে তিলে ,কিংবা যে মেয়েটি অপেক্ষায় থাকে আমার সারা শরীর ছুঁয়ে দেখার আস্পর্ধায় ,ঠিক তার জন্যই রোজ আমি একটু একটু বাঁচি ,সঞ্চিত করি আমার হারিয়ে যাওয়া আমাকে ,শুধুই তারজন্য মহাকাব্য লিখবো আমি শেষ পর্যন্ত ।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন