এই ব্লগটি সন্ধান করুন

অচেনা পথিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অচেনা পথিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৯

আহ্বান: জ্যোতির্ময়


     

হে তরুণ বলো তুমি কি
পারবে রক্ত দিতে ?
পারবে হয়ে আগুয়ান
পাহাড় ডিঙ্গিয়ে  হিমালয়ে উঠিতে ?
পারবে কি হাঁড় হীম করা
শীতেও আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে
ছুটতে বনে ,পাহাড়ে ....রক্ষা করতে
তোমার জন্মভূমি কে
পারবে কি ?
সাইক্লোন মাঝে বয়ে নিয়ে
যেতে তোমার জাহাজ খানি

আজ এই দুর্দিনে ....মা যে মোদের
ডাকে ....তার দুচোখে যে
গোপনে অশ্রু ঝড়ে ......আজও
আজও সে নর্তকী বেশে ..নাচে
নেতাদের বাঈজী বারি
খাবলে খাবলে ছিঁড়ে খায় তাকে
আবার দেখো ...হিংস্র দানব ..
সন্ত্রাসবাদী ..মায়ের শরীরের 
রক্ত বন্যা চায়
কেন ?
রক্তও ঝড়ে কতো .....

সেই তো কদিন আগে তোমারই
রক্তে ..তোমারই মিছিলের
স্লোগানে .....ঘুচিয়ে ছিলে মায়ের
জ্বালা ....রক্ত দিয়ে এনেছিলে
স্বাধীনতা ....পেয়েছি কি ?
হ্যাঁ পেয়েছি ....শুধু যন্ত্রণা
বুক ছিঁড়ে করেছে দু ভাগ ?
এসেছে ভাই এ ভাই এ বিবাদ
ঝড়ছে আজও রক্ত
পেয়েছি বস্তির অলিগলিতে
 অন্ধকার ...কৃষকের ঘরে
অন্নহীনতার যন্ত্রণা ?
কিংবা এও পেয়েছি
শ্রমিকের আর্দণা্দ ....আজও
কিংবা  স্টেশনে ভুখা শিশুর ...
সেই কালো হাত ভিক্ষের ...
শুধু ভাত খাবে বলে

এতো কিছু পেয়ে
তাই আজ মা তোমায় দিতে চায়
তার পাওয়া ....তোমার রক্তে
লিখে দিতে মায়ের ..একটু
সুখ  চাওয়া....পারবে না দিতে
তোমার মা যদি চায় ?

নাকি তুমি আজ ব্যস্ত কম্পিটিশনে ?
নাকি ক্লান্ত তোমার বাহুদ্বয় ...
আজ উঠো জেগে সূর্য্যের মতো
নিয়ে তেজ ..রক্তে আসুক সুনামির
মতো ডেউ ....সাইক্লোন নিয়ে
নিয়ে এসে ভাঙ্গিয়া ছুঁড়িয়া দাও
সব ....গড়িতে নতুন বিশ্ব
তুমি রুদ্র হইয়া ..করো ত্রাস
ওই বহিরাগত সন্ত্রাস

বলো পারবে না তোমার মায়ের
ডাকে সারা দিয়ে ...মুছিয়ে দিতে
অশ্রু .....পারবে না তোমার বোনের
ইজ্জত বাঁচতে ...সমাজের দুষ্ট
দানবদের হাত
থেকে......
আজ তোমাকেই ডাকে ...চেয়ে
দেখো ...মা  ..
অশ্রু ফেলিয়া ফেলিয়া
নর্তকীর বেশে ....
তুমি শুধু আগুন লইয়া ....গর্জিয়া
উঠো ...হাইড্রোজেন বোমার মতো l

                        অচেনা পথিক
                        09/01/26

ঘুম মেশিন:জ্যোতির্ময়




             

সময় কাটছে ..ঘড়ির কাঁটায়
ঘুম মেশিন ..অকেজো ..বর্তমানের পাতায় ।
ঘুমহীন রাতে ..রক্তাভ প্রভাতের আাগে
স্বপ্নরা থমকে দাঁড়ায় ..ঠিক চৌরাস্তায় ।।
মৃত পৃথীবির বুকে মৃত সভ্যতায় মরছে বিবেক
মরছে মনের কল্পনা ..ভাঙ্গা কাঁচের তৈরী আয়নায়
তুমি মুখ দেখো না আর তাই ।।
না না না ..ভাঙ্গা কাঁচে ঝাপসা অন্ধকারে
আর এগিয়ে যেও না ।।

ঘুম মেশিন ...স্তব্দ
সময় তবুও ছুটে চলছে ঘড়ির কাঁটায়
অশরীরি মন ..গল্প শোনায়
মিছিলের ভিড়ে বিজয়ের পতাকা উড়ে
মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে প্রতিবাদী হুংকার
বদলে যাও ..বদলে ফেলার ।।
রাত পোহাবে বলে ..রাত পাখি উঠছে ডেকে
তোমার আমার ভিতর প্রভাতের সূর্য্য তেজ উঠুক জেগে
....বদলে ফেলে ..বদলে ফেলার গান চলো গাই ।।

০২/১২/১৬

শুক্রবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৯

প্রেম গাঁথা



লোকে কহে প্রেম অমৃত সুধা
পিপাসার্ত মনের ইহা মিটায় খুদা
প্রেমময় চারিদিক
,প্রেমময় সারাসংসার
যন্ত্রণায় ছট্ পটাইতে থাকে
প্রেম নাই যার
অনুভূতির অনুরেখা হায়
কহিব ক্যামনে ?
অঙ্গে অঙ্গে জড়াইলে প্রেম
কেমন হয় দেহ মনে
সেই প্রচীনে্ দেখ একবার চাহি
রাধা কেনো পারে নাই
থাকিতে কৃষ্ণকে না দেখি ?
আহা ক্যামনে কহিব
কিসের এই জ্বালা ?
মরিলেও যে কেহ পারে না
দুটি হৃদয় করিতে আলদা
কি ছিল সেই বাসুরীর টান হায়রে ?
শুনিয়া রাধা কেনো
থাকিতে নাই পারে ?
                           

                          (   সংক্ষিপ্ত )

অচেনা পথিক(04/01/10)

বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৯

বাঁচতে সবাই চায় : জ্যোতির্ময়



 কিছু স্বপ্ন ,কিছুটা বা আসায় ..
কিছুটা ভালবাসায় গড়ে ওঠা
জীবন ....হোক না ছলনা
হোক না কেনো কোনো অসমাপ্ত
গল্পের শেষ পাতা .....
তবুও জীবন চলে নদীর মতো
বসন্তে ফুল ফোটে ...ঝড়েও
যায় অজান্তে ...অন্তরালে
নিঃশব্দে্ কতো রাত্রি চলে যায়
কারো অপেক্ষায় থেকে থেকে
শুধু একটাই প্রতীক্ষা "আসবে বলে "
অথবা একমাত্র  সন্তানের লাশ নিয়ে
বসে থাকা মায়ের দীর্ঘ আর্দণা্ত
"কেনো এতো রক্ত ঝড়ে
রক্ত দিয়েও  ?আজও "
অবক্ষয় ......নবচেতনা্র  বাণী
কত আসে ...পরিবর্ত্ণের
কতো প্রতিশ্রুতি ...ভোটের আগে
শুধু ক্ষমতা লাভের আসায়
বদলায় না কিছু .....
ধর্ষিতা নারী সমাজে ঠাঁই পায় না
পায় কি  সটিক ভাবে ?
অথচ সমাজের দুষ্ট দানবের
লালসায় শিকার তারা
আবর্জনা না সরিয়ে ...পরিচ্ছন্নতা  ..যেন আমাদের মিছিলের স্লোগান
পথে ,রাস্তার ধারে ,কিংবা
স্টেশনে শীত বস্ত্রহীন
অন্নহীন শিশুরা কাঁদে ....দুটো
পয়সা চায় ভাত খাবে বলে ...
..........পায় কি ?
টাকার অভাবে কতো দীপ
নিভে যায় ...অন্ধকারে
গভীর কোনো অজানায় ...
হারিয়ে যায় স্বপ্ন ......
কেন হারায় .....?
তবুও বাঁচে ...
বাঁচতে যে .....সবাই চায় ..l

অচেনা পথিক
03/01/16

শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

আবদার



গ্রামে ফেরিওয়ালা এসেছে
অনেক ধরণের চুড়ি ,মালা
চুল বাঁধার ফিতে,নেলপালিশ ,
ছোটোদের খেলনাপাতি  ,চিরুনী
সেভটিবিন ,আরো অনেক কিছু
রকমারী জিনিসে ভরা তার দোকান
গ্রামের প্রায় সব মহিলা
বিশেষ করে মেয়েরা  দলবেঁধে
ঘিরে ধরেছে তাকে
কেউ বা চুড়ি,কেউ বা চুল বাঁধার
 ফিতে ,কেউ বা সেভতিবিন
নিচ্ছে বোতাম না থাকা
জামায় লাগাবে বলে

"মা মা আমি ওই পুতুল টা
নেব !দাও না !"
ভিড়ের এক কোণে বসে থাকা
ছোট্ট মেয়েটি তার মা বলল
"না ওসব নিতে হয় না  মা
তোর তো বাড়িতে ভুলু আছে৷"
"না ওটা নো্ংরা  ....আমি নেব "
বলে কান্না শুরু করল
"চ এখান থেকে "
টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল তাকে
সেতো জানেনা
দিন আনা দিন খাওয়া
দিন মুজুরের জন্য যে
ওসব নয় ...
একশো টাকা দিয়ে কিনলে যে
কাল ওদের  না খেয়ে থাকতে হবে ...

অচেনা পথিক
27/12/15

আমি কৃষকের ছেলে


হ্যাঁ !আমি কৃষকের ছেলে
হ্যাঁ !আমার বাবা চাষা,
মাঠে চাষ করে
লাঙ্গল বায় ...দিন মজুরও খাটে
কখনো
তো ?

হ্যাঁ !আমি প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে
হ্যাঁ !আমাদের বাড়িতে এখনো কেরোসিনের হারিকেন জ্বলে
ইলেকট্রিকের আলো কি
আমরা চোখে দেখিনি
তো ?

তাই বলে কি হাল ছেড়ে দেবো
পড়াশুনা ছেড়ে মাঠে চাষ করবো
 আমার বাবার
মতো তোমাদের সব অত্যাচার
সহ্য করব ?
মুখ বুজে ...........

নাহয় তোমরা জানো অনেক কিছু
অনেক আইন কানুন
অথবা  ওসব তোমার বাবার কেনা
তাই বলে কি
প্রতিদিনই রক্ত চুষে খাবে আমাদের
জানি না বলে
নাকি কায়দা কানুন আমাদের জন্য
নয় ?

তোমাদের আছে অনেক জানি
অনেক টাকা ,অনেক বাড়ি ,গাড়ি
আমার কিছু নেই
শুধু এই কুঁড়ে ঘর আর লাঙ্গল ছাড়া
তাই বলে কি
আমাদের লাথি মেরে
 দূরে তাড়িয়ে দেবে ?

মনে রেখো
তোমাদের যে অন্ন যোগায়
তোমাদের সুখের জন্য যারা
রক্ত মাংস জল করে
তাদের ছেলে আমি
তুমি কি জানো
একটি ফসল ফলাতে কিকি
লাগে ?
কাকে বলে রোদ বৃষ্টিতে সারাদিন ভেজা ?
জানো কি হাড়কাঁপানো শীতে কিভাবে হাঁটু জলে ধান লাগতে হয়?
আমরা জানি

তবুও কেন সহ্য করবো
তোমাদের ভন্ডামি
শুধু তোমরা ক্ষমতা আছে বলে
সব কিছু কেনার
টাকা দিয়ে ??

অচেনা পথিক
28/12/15

শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮

শুধু তুমি পাশে থাকলে



মরীচিকার হাতছানি ....ছুটে চলা
মরু পথে ...শুধু স্বপ্ন নিয়ে ...
অন্ধকারে ...একটু আলোর আসায়
আর  আমার  কল্পনায়  .
ধোঁয়াশা  স্বপ্নে শুধু ভিজে মাটির গন্ধ
dairy  খাতায় প্রতিদিন
লিখে রাখা  ..না পাওয়ার  হিসাব
সব অভিমান ভুলে থাকতে পারি
শুধু তুমি পাশে থাকলে
প্রাণ  খুলে আবার বেসুরো গান
গাইতে পারি ....
নদীর মত বয়ে চলব
তারার মাঝে তোমায়  খুঁজব
তুমি থাকো  বা  নাই থাকো
আমার মাঝে তুমি থাকবে
আমার কবিতার ভাষা হয়ে
শুধু তুমি পাশে থাকলে
ডায়রির  পাতায়  মিশে যাবো তোমার
সকল দুঃখ কে নেবো
আপন করে ..হাসবো 
তোমার  একটু পাগলামি তে
শুধু তুমি পাশে থাকলে ......l.



                                 অচেনা পথিক
                                   22/12/15

মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

জানি একদিন



জানি একদিন ওই দুচোখ খুঁজবে           
   আমায় ...........
যেমনি করে খুঁজেছি আমি
একদিন থেমে যাবে ভাষা
    স্বপ্নের ...
যেমনি করে দেখেছি আমি
  যানি ওই দুহাত ছুঁতে চাইবে আমায়
যেমনি করে চেয়েছি আমি
      ভরে যাবে ওই দুচোখ অশ্রুতে
যে ভাবে কেঁদেছি আমি
    চোখের ভাষায় লুকিয়ে থাকা
স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে
      যে ভাবে ভেঙ্গেছে আমার
জানি ওই দুচোখ খুঁজবে আমায়
                একদিন .......
যেমনি করে খুঁজেছি আমি
     

বুধবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮

দেখা যদি হয়



সন্ধ্যা নামে যেখানে
একলা আকাশ সেখানে
থমকে দাঁড়ায় l
কত আশা ভালোবাসা
 এক পলকে কেন যে হারায় ?
কথা ছিল এক সাথে
পেরিয়ে যাবো ছায়াপথ ,
বাঁচবো ভালোবেসে
হাতে হাত রেখে করেছিলে শপথ l
আজও আছে ভালোবাসা
 শুধু হারিয়ে গেছে ঠিকনা ,
উড়ে গেছে পাখি বহুদূরে
        মেলে ডানা l
না ফেরার ঠিকানায় ....
তবুও যদি রাত শেষে
আবার তোমার সাথে দেখা হয় l

রং পেন্সিলে আজও
 মন যে তোমার ছবি আঁকে ,
স্মৃতি গুলো বারে বারে
আমায় পিছন ফিরে যে ডাকে l
আঁধার ঘনিয়ে আসে
মেঘ জমে আকাশে
অঝোরে বৃষ্টি হয় ,
পৃথিবী যে রঙ্গমঞ্চ
শুধু করি তাই বাঁচার অভিনয় l
তবুও তোমাতেই  পরে আছে যে  হৃদয় ,
রাত শেষে যদি আবার
তোমার সাথে দেখা হয় l

            

ভালোবাসি



বসন্তের আগমন ,
 সৌরভে ভরে যায় আম্র মুকুলের গন্ধে 
আমার হৃদয়ের উঠোন l
সবুজের আড়ালে নেড়া মাথায়
শিমুল ফুল উঁকি মারে  ,
আর পড়ন্ত বেলায় দক্ষিণা বাতাস
কোকিলের গানে আচ্ছন্ন করে l
"না গো আমি কোকিলের মতো
ডাকতে পারি না "
তবে তোমার তরে ...গ্রীষ্মের চাতকের
মতো প্রতীক্ষা আমার ,
তুমি যে ছন্দ ওগো জীবনের
আমার লেখা কবিতার l l

মৌসুমী বায়ু বার্তা আনে ভালোবাসার ,
অভিমান ভরা সুর যেন হায় কাছে আসার l
হয়তো ভাবছ তুমি
    বড্ড পাগল আমি l
"পড়াশুনায় মন না দিয়ে
মন শুধু থাকে পরে অবাস্তব চিন্তায় "
কি করবো বলো ,অ্যালকোহলের মতো
মিশে গেছো যে শিরায় শিরায় l l

"আয়নায় মুখ দেখলে তুমি পাগল
হয়ে যাও আমার মতো
তোমার প্রতিবিম্ব "
বাস্তব আর কল্পনা যে এক ওগো
আজ  আমার কাছে
মন যে লোহার খাঁচায় বদ্ধ l
       পড়াশুনার চাপে ...
উষ্ণতা যে আজও ওগো থার্মোমিটারেই মাপে l
তবুও হৃদয়ের সব অংশ জুড়ে ,
তুমি যে আছো আমার মনের জানলা ঘিরে l
তুমি যে মেঘলা আকাশের  চাঁদনী আমার
তারা তো আছে ,থাকবেও রাশি রাশি ,
সত্যি বলছি তোমায় আমি বড্ড ভালোবাসি l l
     

            

চাকুরীটা যে খুব দরকার



আজ কি বার ? ইস্ ভুলে গেছি
বল না রে অন্বেষা !
আজ কাল না সব কেমন যেন ভূলে যাচ্ছি
যেন মনে হচ্ছে সব কেমন গোলমেলে
সব উল্টো পাল্টা নিয়ম-কানুন
শুধু প্রশ্ন একটাই "কেন এরকম?"
এই দেখ না ..কত টাকা খরচ করে
গ্যাজুয়েট আমি ..60% মার্কসও আছে ।
আমাদের মতো দিন আনা দিন খাওয়া
পরিবারে বলতে একমাত্র আমিই
 এই পড়াশুনার লাইনে ।
বাবা বলেছেন আর কোনো মতেই চালাতে
পারবেন না ..একটা কিছু করতেই হবে এখন
যে কোনো একটা চাকুরী হলেই চলবে
পাঁচ কিংবা দশ হাজারের ।।

প্রায় প্রতিদিনই "কর্মক্ষেত্র" ও "জিবীকা দিশারী"
পড়ি ...আমার যোগ্যতার একটা চাকুরী চাইতো ।
যাই দেখি ...সবতেই অ্যাপ্লিকেশন ফি লাগবে
কত ফিলাপ করবো ...এতো টাকা কোথায় ?
তাও তিন চারটে করেছিলাম ..
সাথে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউও দিয়েছি তিন বার
সব কিছুতেই পাশ হলাম ....।
কিন্তু চাকুরীটা আর হলো না
কেন জানিস ?
আমি চাকুরীদাতাদের  তিন লাখ টাকা পেট পুজোয়
দিতে পারিনি ....তাছাড়া আমার কোনো বড়ো
নেতার সঙ্গে ভাবও নেই ।
কাকলিকে যে কথা দিয়েছিলাম একবছরের
মধ্যেই একটা চাকুরী আমি পাবো
পাইনি ....।
আবার ছোটো ছোটো দুটি বোনও আছে আমার
বাবা আর যে সেরকম  কাজও করতে পারে না
সংসার চালানো এখন দুর্বিসহ ।
বল কি করবো আমি ?
কি উপায় আছে এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবার ?
একটা  চাকুরী আমার যে খুবই দরকার ।।

রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮

ঘুম মেশিন




         

সময় কাটছে ..ঘড়ির কাঁটায়
ঘুম মেশিন ..অকেজো ..বর্তমানের পাতায় ।
ঘুমহীন রাতে ..রক্তাভ প্রভাতের আাগে
স্বপ্নরা থমকে দাঁড়ায় ..ঠিক চৌরাস্তায় ।।
মৃত পৃথীবির বুকে মৃত সভ্যতায় মরছে বিবেক
মরছে মনের কল্পনা ..ভাঙ্গা কাঁচের তৈরী আয়নায়
তুমি মুখ দেখো না আর তাই ।।
না না না ..ভাঙ্গা কাঁচে ঝাপসা অন্ধকারে
আর এগিয়ে যেও না ।।

ঘুম মেশিন ...স্তব্দ
সময় তবুও ছুটে চলছে ঘড়ির কাঁটায়
অশরীরি মন ..গল্প শোনায়
মিছিলের ভিড়ে বিজয়ের পতাকা উড়ে
মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে প্রতিবাদী হুংকার
বদলে যাও ..বদলে ফেলার ।।
রাত পোহাবে বলে ..রাত পাখি উঠছে ডেকে
তোমার আমার ভিতর প্রভাতের সূর্য্য তেজ উঠুক জেগে
....বদলে ফেলে ..বদলে ফেলার গান চলো গাই ।।

০২/১২/১৬

বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮

শারীরিক



কাছে ,আরো একটু কাছে
পাশে,আরো একটু পাশে
চোখ,চোখের ভাষা ...
চোখের পাতায় গল্প লেখা আছে
কানে দুলছে দুল,বাতাস ছু্ঁয়ে
উড়ছে তোমার চুল....।
কপলের ভাঁজে ঢেউ খেলা স্রোত
কিছুটা আবেক ,কিছুটা ভালোবাসায়
ভেসে গেছি রোজ...।
তোমারই চোখের তা্ঁরায়
আমার মুখের ভাষা যে হারায়
রক্তাভ গাল নরম দূর্বা ঘাসে
আরো কাছে ,আরো একটু এসো পাসে
মিশে গেছো দীর্ঘশ্বাসে ......আমার।
ঠোট দুটি ওই মিষ্টি কথা বলে
হাসির ঝিলিক মাঝে মাঝে ঝর্ণা হয়ে ঝড়ে
একটু এসো না কাছে লিখবো কবিতা
গল্প কবে শেষ হয়ে গেছে
শুধু আঁকতে বাকি এখনো তোমার ছবিটা।
এলোমেলো পথে চলছে জীবন
হারিয়ে ফেলে আজ তোমায় খুজছে যে মন।
আরো কাছে আর একটু কাছে
পাশে, আর একটু পাশে
তোমার ঠোটে চুম্বন এঁকেছি
গল্প ছলে না হয় তোমায় একটু ছুয়েছি
কিন্তু আমি তোমাতেই ছিলাম
হারাইনি তো জ্ঞান ,হারাইনি তো দিক
তবুও কেন প্রেমকে আমার
নাম দিয়েছো শুধুই শারীরিক ?

মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

আজ বা কাল



©জ্যোতির্ময় রায়



ট্রেনের জানালায় ফুরফুরে শীত ছোঁয়া বাতাস
দূর ,ওই যে দূরে সরে সরে যায় গাছ ,কথারাও নেয়  আজকাল দীর্ঘনিশ্বাস ।।

দূর,সে নয় দূর তবে।সাড়ে পাঁচ ইঞ্চিতে আটকানো দেওয়াল।
 শুধুই ফিলিংস রেখো ভুলে,ফুলে।আজ না হলেও দেখা হবে কাল ।।

ক্লান্ত রাতের স্বপ্ন গুলো ল্যাম্পপোস্টময় গন্ধ ছড়ায় ।
ভিড় ট্রেন ,কিংবা ভিড় বাসে ,ট্রাফিক পেরিয়ে সেও যায় ।।

ভুল ঠিকানায় মাঝে মাঝে পরে পা ,পিছলে গিয়ে শেখা।
রিক্স টা ফিক্স রেখে ।দিদি ,আজ বা কাল ফের হবে  দেখা ।।

শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

জাগো মা


  জাগো_মা
  *********
@জ্যোতির্ময় রায়
ওই দূরে ওই যে দূরে শঙ্খবাজে
ভোরের এই আলোতে কার রেডিওতে
যেন মহালয়া বাজে |
মা আসছে ..কে যেন গায় আগমনী
কে যেন জপে জাগরণের মন্ত্রখানি ।
"যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন
সংস্থিতা-নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমঃ নমঃ।"
জাগো মা ..জাগো দশভুজাদুর্দশাদামিনী
গ্রহন করো মা এই দীনের প্রার্থনাখানি ।
বিশ্বজুড়ে আজ শুধু যুদ্ধ ও মারামারি
ধর্ম নিয়ে আজ ধর্মগুরুদের ভণ্ডামি
সন্তানহারা মা যে একলা কেঁদে যায়
যারা নিরীহ তারাই শুধু সাম্রাজ্যবাদীদের
আগ্রাসনিতে প্রাণ যে হারায় ।
উগ্রবাদের দানব নৃত্য যে মা আজ সব খানে
কতো অভিশপ্ত প্রেমের ভ্রুণ ছুঁড়ে ফেলা হয়ে ওই ড্রেনে ।
উচুঁনিচু এই বিবাদ বিভেদ কেন মা আজও জগৎ জুড়ে
ভালোবাসা হারিয়ে কত প্রেমিক আজ ভবঘুরে ।
ধোঁয়াশা আজো কেন বলো মা ওই অন্ধকার ওই গ্রামে,
প্রতিদিনই ওই অন্ধকার গলিতে অসুররা যে
কতো মা বোন কে খায় ছিঁড়ে ।
তাই তো মা ডাকছি তোমায় আজ আমি
ঝাপসা পথে রোজ এক পা এগোই
গাইছি আজ আগমনী ।।
ধ্বংস করো ওই উগ্রবাদের ওই আগ্রাসি
দাও মুছে হিংসাবিবাদ ,দাও মুছে পৃথ্বীর আঁখি
নির্বলেরে দাও শক্তি ,করো সাহসী ।
শান্তি আসুক মা গো এই আর্তভুবনে
প্রতীক্ষায়িত যে আমরা যে মা তোমার জাগরণে ।।
জাগো মা ..জাগো ..সত্যিকরে জাগো
জাগো হে দশভূজা দুর্গতনাশিনী জাগো
করজোড়ে ডাকছে যে সবাই
এই আর্তি একটু শুনো জগজ্জননী মাগো ।।